খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
-রাকিব,আমার খুব ভয় করছে।
কাজটা করা কি আদৌ সত্যিই ঠিক হবে?
-মিথিলা,তুমি এই চিনলে এতদিনে আমাকে?
এই বিশ্বাস করো তুমি আমাকে?
=দেখ রাকিব,
এখানে অবিশ্বাসের কি আছে?
আমি কি না বলছি?
বিয়ের আগে কি এটা করা ঠিক,তুমিই বলো?
-আচ্ছা ঠিক আছে তোমাকে কিছু করতে
হবে না।
তুমি পিওর থাক।
-এই কাজটা করলে তুমি খুশি?
=হ্যাঁ, আমি তোমাকে ভালবাসি মিথিলা আর তোমাকেই বিয়ে করবো।
বিয়ের আগে পরের কথা কেন আসছে এখানে?
-ঠিক আছে,কাল তুমি মোড়ে দাড়িয়ে থেক..
আমি চলে আসব..
-আচ্ছা,এখন বাসায় যাও।
আমিও যাব..
-আচ্ছা যাও..
পার্কের কোণার বে/ঞ্চে বসে কথা বলছিলো
রাকিব আর মিথিলা।
এবার দুজনেই অনার্স ২য় বর্ষে পড়াশুনা করে।
কলেজ জীবন থেকে রাকিব মিথিলা একজন আর একজনকে ভালবাসে।
রাকিব অনেকদিন ধরেই মিথিলা কে সে/ক্সে/র জন্য সবরকম ভাবে জোর করছে।
মিথিলা ব্যাপারটাকে এড়িয়ে চলার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই রাকিব বিশ্বাসের কথাটা টেনে এনেছে।
তাই মিথিলা অপারক হয়ে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে রাজি হয়ে যায়।
পরের দিন..
-রাকিব কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মানে কার বাসায় যাচ্ছি?
-আমার একটা আপুর বাসায়।
ওরা তিন দিনের জন্য কক্সবাজার যাচ্ছে।
সম্পূর্ণ বাসা ফাঁকা থাকবে,বাসা পাহারাও দাওয়া হবে আর আমাদের কাজও নিখুঁত ভাবে সম্পূর্ণ হবে।
-ওহ..
এখান থেকে কতদুর উনাদের বাসা?
-এই তো চলে এসেছি প্রায়।
এই গলির পরের গলিতে।
-ওহ..
অতঃপর বাসায় ঢুকল মিথিলা রাকিব।
চিন্তার ফোঁটা ফোঁটা ঘাম জমছে মিথিলার কপাল জুড়ে।
অন্য দিকে রাকিবের বেশ আনন্দেই লাগছে,এতদিনের সব প্ল্যান সার্থক হবে কিছুক্ষণের মধ্যে।
এতক্ষণে রাকিব দুকাপ কফি নিয়ে এসেছে,দুজনে
কফি খাচ্ছে আর কথা বলছে।
কফি শেষ করতে না করতে রাকিব ক্ষু/দা/র্ত বাঘের মত ঝাপিয়ে পড়ে মিথিলার উপর।
কিছুক্ষন পর..
মিথিলা বিছানায় শুয়ে আছে উ/ল/ঙ্গ অবস্থায়।
ব্যাথার মৃ/দু কাতরানি শোনা যাচ্ছে।
রাকিব গোসল সেরে চলে এসেছে।
-আগে তো ভয় পেয়েছিলে,কিন্তু এখন দেখেছ এতটাও খারাপ না এটা..
-তোমাকে একটা কথা বলব রাকিব?
-হুম বল।
-তুমি আমাকে ঠকাবে না তো?
-তুমি এতটুকু বিশ্বাস রাখতে পারো আমার উপর?
-আমার খুব ভয় হচ্ছে তাই বললাম,কিছু মনে কর না।
মিথিলা রাকিবের থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসে।
আবার দুদিন পর রাকিব জোর করে মিথিলা কে ওই বাসায় নিয়ে যায় আবার নিজের কু/শ্রী/ত যৌ/ন চাহিদার পাশবিক নি/র্যা/তন করে।
মিথিলা ভালবাসা আর বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে গিয়ে নিশ্চুপে সহ্য করে এইসব।
এক বছর পরে..
-রাকিব কাল তোমার সাথে যে মেয়েটিকে দেখলাম ওটা কে?
-কোথায় দেখেছ?
-রিক্সায় করে যাদুঘরের সামনে নামছিলা..!
-ওহ..
ও তো আমার কাজিন।
গতকাল গ্রাম থেকে এসেছে তাই ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলাম।
তুমি আমাকে মিছেমিছি সন্দেহ করছো..
-ওহ তাই নাকি?
-হুম..
আমি তোমাকেই ভালবাসি মিথিলা।
-সেটা তো আমি জানি।
কাল যখন তোমাকে ফোন দিলাম তখন তুমি কোথায় ছিলা?
-বাসায়।কেন তোমাকে বলছি না?
-হ্যাঁ বলেছিলে।
কিন্তু তুমি কফিশফে আরিশার সাথে কি করছিলা?
-তুমি আমাকে এত সন্দেহ কর কেন?
আরিশা তো আমার ফ্রেন্ড,ওর সাথে একটু কফি খেতে গিয়েছিলাম।
এত সন্দেহ নিয়ে সম্পর্ক রাখা যায় না।
তুমি থাক তোমার মত আর আমি থাকি আমার মত।
-দাড়াও রাকিব..
তুমি কি আমার দেহকে ভালবেসে ছিলে,নাকি
আমাকে?
-তোমাকে।
-আর মিথ্যা বলতে হবে না রাকিব।
কাল রিফাত আমাকে সবকিছু বলে দিয়েছে।
তুমি রিফাতের সাথে বাজি ধরে আমাকে ভালবাসছো।নিজের নোং/রা চাহিদা মেটানোর জন্য আমার দেহটা নিয়ে খেলার সুযোগ তৈরি করার নিখুঁত অভিনয় করেছিলে?
ছিঃ রাকিব,তুমি এত নিচ..
-সব যখন জেনেই গেছ তাহলে এটা বলার জন্য এখানে ডেকেছো কেন?
-শুধু এটা বলতে যে,আমার মত আর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট কর না।
হয়ত তোমার সাময়িক যৌ/ন চাহিদা মিটানোর তাগিদে একটা মেয়ের সারা জীবনের স্বপ্ন, আশা ধূলিস্বাদ করে দিও না।
পরের দিন সকালে বাসার পিছনে আমগাছে ঝু/ল/ন্ত মিথিলার লা/শ পাওয়া যায়।
হয়ত রাকিব নামের জা/নো/য়া/র/টা অন্য কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করতে ব্যস্ত।