স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা
(এমন স্ত্রী পেতে ছেলেদের ভাগ্য লাগে)💔
- হ্যালো!
- হ্যাঁ বলো।
- বলছি, তোমার কি আসতে দেরী হবে?
- না, গিন্নী! এই তো রাস্তায়! কেন? মিস করছ?
- ঢঙ্! বলছি, আসার সময় বিরিয়ানি এনো দু'প্যাকেট।
- গিন্নী, তুমি তো জানো মাসের শেষে কতটা টানাটানি থাকে! এইসময় বিরিয়ানি?!
- না মানে, শাশুড়িমা আসলে শ্বশুরমশাইকে বলছিলেন ওনার একটু বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে হয়েছে। আমায় কিছু বলেন নি, আমি সন্ধ্যেবাতি দিতে গিয়ে শুনে ফেলেছি। সত্যিই তো মানুষ দুটো কোনোদিন মুখ ফুটে কিচ্ছু বলে না। তুমি নিয়ে এসো বিরিয়ানি, প্লিজ!
- সবই তো বুঝলাম। কিন্তু…
- কোনো কিন্তু নয়, তুমি নিয়ে এসো। মাসের বাকি কটা দিন আমি সামলে নেব। আমাদের জন্য এনো না। আমাদের জন্য রুটি আর আলুমরিচ বানাচ্ছি।
- বাবা মা টের পাবে না তো যে আমরা রুটি খাচ্ছি?! টের পেলে ওদের বিরিয়ানি খাওয়ার আনন্দটাই বিস্বাদ হয়ে যাবে গো।
- না গো, বাবা মা তো সাড়ে ন'টার মধ্যে খেয়ে শুয়ে পড়ে। আমরা তো দশটায় খাই। অসুবিধা হবে না। একবার ভাবো তো, তোমার ছোটবেলায় মাসের শেষে যখন এমন টানাটানি হত, তখন তুমি কিছু চাইলে মা, বাবা হাজার কষ্ট করেও, নিজেরা না খেয়ে হলেও সেই শখপূরণের চেষ্টা করত। আজ সেই দায়িত্ব আমাদের!
- এটা বেশ বললে! সত্যিই তো। এমনটা তো ভাবি নি। শোনো, তুমি তোমার মা'কে মানে আমার শাশুড়িকে ফোন করে দাও তো! ও বাড়িতে দুটো পার্সেল যাবে। যেন রিসিভ করে নেয়। পেমেন্ট করা থাকবে।
- ও বাড়িতে? কিসের পার্সেল?
- বিরিয়ানির। দুটো বিরিয়ানি নিচ্ছি আমার বাবা মায়ের জন্য, আর দুটো বিরিয়ানি অনলাইনে অর্ডার করে দিচ্ছি তোমার বাবা মায়ের জন্য!
- এই না না। মানে ও বাড়ির জন্য…. আসলে…
- শোনো গিন্নী, তুমি আমার বাবা মা'কে যেমন করে আগলে রেখেছ, ভালোবেসেছ, আমিও ঠিক তেমনি করেই তোমার বাবা মা'কে আগলে রাখার চেষ্টা করব। বুঝেছ?
- বুঝেছি!
- আলু মরিচটা বেশ জমিয়ে বানাও, গিন্নী। আসছি।
- এসো, তাড়াতাড়ি।
-সমাপ্ত