ভূতের গল্প শোনাও | ভালো ভূতের গল্প

 ভূতের গল্প

ভূতের গল্প

আষাঢ় মাসের রাত। বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আইরিন এশার নামাজ পড়ে খিচুড়ি আর গরুর মাংস রান্না করে ডাইনিং টেবিলে এনে রাখল। সাথে আমের আচার, সালাদ, লেবু।

সবাইকে খেতে ডাকল সে। কলিংবেলটা বেজে উঠতেই নিয়ন, আয়ান আর নওমি দৌড়ে এসে বললো,

--- নিশ্চয়ই ছোটমামা এসেছে!

ছোটমামা আসলেই মজার মজার গল্প শোনা যায়। তাই ছোটমামা ওদের তিনজনেরই খুব প্রিয়।

ওদের বাবা- নাসির এসে দরজা খুলতেই দেখল মেহেদি দাঁড়িয়ে আছে।

--- খুব ভালো সময়ে এসেছো। তাড়াতাড়ি ভেতরে এসে হাতমুখ ধুয়ে নাও। তারপর আমরা সবাই একসাথে ডিনার করবো।

হাসিমুখে বললো নাসির।

আইরিন অবাক হয়ে বলল, বাইরে এতো বৃষ্টি আর তুই একটুও ভিজলি না, কী ব্যাপার? 

--- বুঝলে আপা, সে এক বিরাট রহস্য! পরে তুমি নিজেই রহস্যটা উদঘাটন করতে পারবে।

মেহেদি হেসে বলল। মেহেদি ওয়াশরুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হতেই আইরিন ডাইনিং টেবিলে ডাকলো সবাইকে। সবাই যখন খেতে বসলো তখন নিয়ন, আয়ান আর নওমি একসাথে চেচিয়ে উঠলো, 

--- ভূতের গল্প শুনতে চাই, মামা! ভূতের গল্প শুনতে চাই!

আইরিন বললো, 

খাওয়ার সময় গল্প করতে নেই। খাওয়া শেষ করে তারপর গল্প শোনাবে।

মেহেদি বলল,

--- ঠিক আছে, ঠিক আছে। এখনি শোনাচ্ছি। শোন তাহলে--- মফস্বল শহরের মস্ত এক শ্যাওড়া গাছে বাস করতো মস্ত বড়ো এক মামদো ভূত। এক বৃষ্টির রাতে তার ভীষণ ইচ্ছে হলো খিচুড়ি আর গরুর মাংস খেতে। কিন্তু সে দেখলো খারাপ আবহাওয়ার কারনে আশেপাশের সব হোটেল- রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। মনখারাপ করে সে যখন তার শ্যাওড়া গাছের কাছাকাছি চলে আসলো, তখনই তার নাকে খিচুড়ি আর গরুর মাংসের সুঘ্রাণ এসে লাগলো।....

হঠাৎ করে আইরিনের মোবাইল বেজে উঠতেই মেহেদি গল্প বলা থামিয়ে চুপ করে আইরিনের দিকে তাকাল। আইরিন অপর প্রান্ত থেকে তার ছোটভাই মেহেদির গলা শুনতে পেল,

--- আপা, বিকাল থেকেই প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো বলে তোমাদের ওখানে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ যেতে পারলাম না।

--- তাহলে আমাদের বাসায় এটা কে এসেছে?

বলে ভয়ার্ত স্বরে চিৎকার করে উঠলো আইরিন। এতোক্ষণ যেখানে মেহেদি বসা ছিলো সবাই একসাথে সেখানে তাকিয়ে দেখল- সেই চেয়ারটা খালি। সেখানকার প্লেটের খিচুড়ি আর গরুর মাংসও যেনো ম্যাজিকের মতো উধাও হয়ে গেছে!


(সমাপ্ত)


*খিচুড়ি খেকো ভূত*

~~~ তানিয়া সুলতানা রিমা


ভূতের এমন আরও গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post