প/র্ণ ভিডিও ভাইরাল | খারাপ গল্প

আমি খারাপ স্ট্যাটাস

আমি খারাপ স্ট্যাটাস

মায়া প/র্ণ ভিডিও দেখার জন্য মাঝরাতে নিজের ল্যাপটপটা হাতে নেয়। অনেক আগ্রহ নিয়ে ভিপিএন চালু করেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে৷


প্রথম ভিডিওটা চালু করতেই মায়া বিছানা থেকে লাফিয়ে কয়েক হাত পিছনে চলে যায়। 

যার ফলে সে বিছানা থেকে নিছেই পড়ে গেলো। ভয়ে ভয়ে মায়া কোনোরকম নিচ থেকে ল্যাপটপের দিকে উঁকি দেয়। এবং আবারো সে ভয়ে চোখ বুজে নিলো। কারণ,ল্যাপটপে তার নিজের ভিডিও দেখতে পাচ্ছিলো সে৷ 


নিজের সাদা চামড়ার লম্বা চওড়া প্রেমিকের সাথে গত ফেব্রুয়ারিতে এই আকামটা করেছে মায়া। ভালোবাসা দিবসে একটু শারিরীক চর্চা করার হয়তো ইচ্ছে জেগেছিলো। অথচ এখন জুন মাস,প্রায় ৪ মাস পর সে নিজেই তার শরীর চর্চার ভিডিও দেখছে। সে জানেও না কখন কে কোথা থেকে করেছে এই ভিডিও। ওই বাসায় কেও ছিলো না। তবে কে হবে?


 মায়া প্রচুর ডিপ্রেশনে পড়ে যায়,এবং ফাইনালি সন্দেহ করে তার প্রেমিক ফাহিমের উপর। মায়া ল্যাপটপে ভিডিও অফ করে তড়িঘড়িতে ফাহিমকে কল দেয়। কিন্তু ফাহিম কল ধরেনা। মায়া তখনি একটা নোটিফিকেশন এর শব্দে চমকে উঠে। দেখে মেসেঞ্জারে তার এক বান্ধুবি আদৃতা একটি ভিডিও পাঠিয়েছে। এবং সাথে লিখেও দিয়েছে," দোস্ত, সেই এনজয় করলি। আমাদের তো জানালিও না"। মায়া মেসেজটা দেখে লজ্জায় ইতস্তত হয়ে যায়।


 সে রাগে আবারো ফাহিমকে কল দিতে থাকে৷ কিন্তু ফাহিমের কল রিসিভ করার নামগন্ধও নেই। এদিকে কল কেটে যাবার পর আবার যখনি কল দিতে যাবে,তখনি মায়ার ফোনে তার কলেজ ফ্রেন্ড সাগরিকা রয় কল দেয়। যার ডাক নাম সাগরিকা শুধু। এদিকে মায়া কল ধরেনা,সে বুঝে গেছে কেনো কল দিচ্ছে। 


কিছুক্ষণ পর আবার কল দিয়ে বসে তার কলেজেরই নুরুজ্জামান। মায়া লজ্জার জন্য সেটাও ধরেনা। কলটা কাটা যেতেই মায়া ফাহিমকে আবার কল দিতে থাকে,এদিকে ফাহিম কল ধরছেই না। তখনি মায়ার ফোনে নুরুজ্জামান মেসেজ দেয়," বন্ধু,তোর বুকের সাইজ এতো বড় কিভাবে, আমি তো কল্পনাও করতে পারিনি"। 


কাটা গায়ে নুনের ছিটা মেরে দিলে হয়তো এর চেয়েও কম আঘাত লাগতো। মায়া শেষমেশ সহ্য করতে না পেরে,,,,,,


মায়া সহ্য করতে না পেরে ফোনটা এক আছাড় মেরে দেয়। এবং তৎক্ষনাৎ বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বড়লোক বাবার রাজকন্যা। তাই ব্লাক কারটা নিয়ে বের হয়েছে। রাজকন্যার ভাইরাল হয়ে গেছে, এখন রাজকন্যা ফাটছে আরকি।


মায়া সোজা রওনা দেয় ফাহিমের বাসার উদ্দেশ্যে। বাসার সামনে এসে দেখে একটা গাছের গোড়ায় কে যেনো নড়াচড়া করছে৷ মায়া গাড়ি থেকে নেমেই তার দিকে এগিয়ে যায়। আর সামনাসামনি যেতেই বুঝে ফেলে এইটা ফাহিম। 


মায়া রাগের মধ্যেই প্রশ্ন করে," আমার কল ধরলিনা কেন বা*ই*ন*চ*দ। সব তো শেষ করে দিলি আমার"। রাগের মাঝেই মায়া কথাগুলো বলে চিল্লাছে। 


এদিকে ফাহিম একটা কথাও বলেনা৷ সে গাছের গোড়ায় কি যেনো করছে। মায়া সেদিকে খেয়াল করে দেখে,ফাহিম ফাসির দড়ি বানাচ্ছে। মায়া ভয়ে দৌড়ে যায় ফাহিমের কাছে। এবং পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো," আমি তোমাকে ভালোবাসি ফাহিম। কিন্তু আমাদের অন্তরঙ্গ এর ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে৷ আমি কি করবো বুঝতেছিনা। সবাই কল মেসেজ দিয়ে জ্বালিয়ে মারছে। কে ভাইরাল করলো এসব। আমাকে বাচাও ফাহিম"। কথাগুলো কান্না করতে করতেই বলল মায়া। 


এদিকে ফাহিম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলা শুরু করে," আমি জানিনা মায়া। এইটাও জানিনা সেটা ভিডিও করেছে কে। তাছাড়া সেদিন আমি ফোন বাসায় রেখেই গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যত যাই করি,এই সমাজে মুখ দেখাবার মতো পরিস্থিতি নেই আমার। আমি সারাজীবনের জন্য চলে যাচ্ছি। তুমিও গেলে আসো"। 


হ্যাঁ, এইবার আপনি ঠিক ধরেছেন হয়তো। ওরা দুজনেই ফাসির দড়িতে ঝুলে যায়। এরপরের ঘটনা তো আর বলতে হবেনা,বুঝেই যাচ্ছেন মিডিয়া, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামে কিভাবে তাদের মৃত্যুর খবর ছড়াচ্ছে। 


যে নুরুজ্জামান গতকাল রাতে মেসেজ দিয়েছিলো তোর বুকের সাইজ এত বড় কেন। সেই নুরুজ্জামান আজ ফেসবুকে পোষ্ট দিচ্ছে,


" বেচে থাকতে মেয়েটির পাশে দাড়ালে হয়তো সে বেচে যেতো। আমরা মানুষরা বিবেক দিয়ে চিন্তা করিনা। আল্লাহ হেদায়েত দান করুক"।


-------সমাপ্ত-------


মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post