তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রনা | না পাওয়া ভালোবাসা

  না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প

না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প

আজ দীর্ঘ ৩টা বছর পর প্রিয় মানুষটাকে দেখলাম। বাচ্চা কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ডাক্তারের চেম্বারের সামনে। প্রচন্ড ঘামতেছে আর অস্থির হয়ে এ্যাটেন্ডেন্সকে বলতেছে একটু তাড়াতাড়ি করেন। 

৩ বছর পর দেখে একটু থমকেই গিয়েছিলাম আর এমন জায়গায় দেখা হবে কল্পনাও করতে পারি নাই। ওর অস্থিরতা দেখে আর থাকতে পারলাম না দ্রুত উঠে গিয়ে তার দিকে যেতে লাগলাম পরক্ষণেই মনে পরলো সে চিনে ফেলবে তো আমায়।  

তাই দ্রুত পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরে নিলাম৷ 


কাছে গিয়ে বলবো আসুন আমার সাথে আমি চেম্বারে ঢুকিয়ে দিচ্ছি বাট ওর পাশে যাওয়ার সাথে সাথে শরীরের স'ম'স্ত শ'ক্তি শেষ হয়ে গেলো। আর পারছিলাম না দাড়ায় থাকতে। 


তখন সৃতি(আমার অতীত) বলতেছে কি হয়েছে আপনার? কিছু বলবেন? ওর ভয়েস এতদিন পর শুনার পর পা'গ'ল হয়ে যাচ্ছিলাম মনে হচ্ছিলো চিৎ'কা'র দিয়ে বলি আমি তোমাকে 

এখনো ভালোবাসি কিন্ত সেটা তো সম্ভব না। 

এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে চেম্বারে ঢুকাচ্ছি তখনি ওর জামাই চলে আসলো।


সত্যিই তো ওর জামাই অনেক সুন্দর আর যাই হোক আমার থেকে শত কোটি গুন সুন্দর🥰।  


এরপর ওদের চেম্বারে তখনি ঢুকিয়ে দিলাম কারন ডাক্তার ছিলেন আমার দুলাভাই তাই সিরিয়াল ছাড়াই ঢুকিয়ে দিলাম। 


আর আমি বাইরে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম৷ কিছুক্ষণ পর বের হলো বের হয়ে সৃতি বলতেছে অনেক ধন্যবাদ আপনি না থাকলে আজকে অনেক দেরী হয়ে যেতো।


তারপর চলে গেলো। আমিও একটা রিক্সায় করে বাসায় চলে আসলাম অ'ঝো'রে কা'ন্না শুরু করলাম রুম আ'ট'কি'য়ে। হঠাৎ একটা নোটিফিকেশন আসলো চেক করতে গিয়ে দেখি ৩ বছর আগে বন্ধ হওয়া আইডির সবুজবাতি জ্ব'লে'ছে একটা ছোট্ট ম্যাসেজ

 " কি মনে করেছো মাস্ক পড়লে চিনতে পারবো না?😢💔

-love -ভালোবাসা

স্বামী স্ত্রীর রোমান্টিক গল্প

আমার বিয়ে হয় ৪ বছর প্রায়। মানে আমাকে দেখে ছেলেপক্ষের এতো পছন্দ হয়েছিল যে তারা কাবিন করিয়ে রেখেছেন আগে। শর্ত দেওয়া হয় অনার্স এ ওঠার পর ওনারা উঠিয়ে নিয়ে যাবেন।শর্ত মোতাবেক আমি শশুরবাড়ি আসি ১মাস গত হয়েছে।

আমার স্বামী একটা মারাত্মক নমুনা।তার জালায় আমার জীবন অতিষ্ঠ। আমার স্বামী প্রচুর নিলজ্জ একজন মানুষ। শশুরবাড়ির সবাই স্বাভাবিক ভালো মনের মানুষ। 

সমস্যা শুধু আমার স্বামীর।উনি সবসময় সবার সামনে সোনা,ময়না ,কলিজা,বেবি হানি এগুলা বলে ডাক দেয়।ভরা সমাবেশে আমাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যান, লজ্জায় আমার জীবন শেষ। পরিবারের সবাই যখন খাবার খাইতে বসি তখন সবার সামনে খাওয়াইয়া দেয় আবার হাতে কিস করে বড়দের সামনে। যখন তখন যেখানে সেখানে তার রোমান্স করতে ইচ্ছা করে,এমনি আমার মা বাবার সামনেও সে এমন করে, মাঝে মাঝে সবার সামনে আমাকে জোর করে কোলে নিয়ে বসে থাকে। লজ্জায় কেউ কিছু বলতেও পারে না। অন্যমেয়েদের সাথে করে না। কিন্তু আমার সাথে অতিরিক্ত ভাই।

ঘরে বাইরে সব জায়গায় সবকিছু মানানসই না এটা ওনারে বোঝানো কঠিন।

আমি বাপের বাড়ি জাইতে পারি না কারণ আমি যদি বাপের যাই উনি নাকি বিছানায় শুয়ে স্টক করবেন।আমারে না দেখলে ওনার কানা কানা লাগে আরো অনেক কাহিনী।পরশু আমি আমার বান্ধুবির সংসারে একটু পারিবারিক সমস্যা ছিল এজন্য ওর সাথে একটু বেশি সময় ফোনে কথা বলছিলাম এই জন্য সে অফিস থেকে চলে আসছে।বাসায় আইসা আমাকে জড়িয়ে ধরে মিনিমাম দুই ঘণ্টা বাচ্চাদের মত কান্নাকাটি করছে,বলছে আরেকটা ফোন কিনে দিবে একটা বান্ধুবিসহ বাকি সবার জন্য আরেকটায় শুধু ওনার সাথে কথা বলা লাগবে।

ওনার অন্য কোনো সমস্যা নাই খুব ভালো মানুষ কিন্তু প্রচন্ড নিলজ্জ। স্বামীরা নিলজ্জ হবে স্বাভাবিক কিন্তু সবার সামনে এমন করে। দয়া করে কিছু সাজেশন দেন ওনারে বোঝানো মুশকিল।


সব ধরনের ভালোবাসার গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post