রহস্যময় মায়াজাল
আমার গর্ভে আমাদের বাচ্চা টা আর নেই
- what ! আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তুমি । এখন বলছো আমাদের বাচ্চা নেই! মানে কি এসবের?
- হ্যা , আজ তুমি অফিস ছিলে তখন আম্মু আমাকে হসপিটাল নিয়ে যায় তারপর জানতে পারি আমাদের সন্তান নেই ।
- নদী তুমি ফা*জলামি বাদ দাও , আমাদের একটা বাচ্চার খুব প্রয়োজন তাই তুমি এসব বিষয়ে একদম ইয়ার্কি করো না
- সাগর আমি একটুও ফা*জলামি করছি না । একদম সত্যি বলছি আমাদের বেবি নেই । কিভাবে এটা হয়েছে সেটাও জানি না ।
শেষ কথাটা বলেই নদী কান্না শুরু করে দেয় আর এতোক্ষণ যে কথাবার্তা গুলো হচ্ছিল , সে কথা গুলো নদী আর আমার , আমরা দুজনে স্বামী স্ত্রী । দুই বছর প্রেম করে পরিবারের সম্মতি নিয়ে চার বছর হলো বিয়ে করেছি ।
কিন্তু আমাদের কোনো বাচ্চা কাচচা হয়নি , হওয়ার সম্ভাবনাও কম । অনেক চেষ্টার পর জানতে পারি নদী প্রে*গন্যান্ট ।
যখন জানতে পারি নদী প্রে*গন্যান্ট তখন থেকেই ওকে অতিরিক্ত যত্ন নিতে শুরু করি ।
কিন্তু আজ অফিস শেষে রুমে আসলে নদী শুনালো নদীর গর্ভে বাচ্চা নেই অথচ ঠিক একমাস আগে ওর প্রে*গ*ন্যান্সি টেষ্ট করে । ডক্টর বলেছেন বাচ্চার বয়স সাত মাস তিন দিন এবং বাচ্চা সুস্থ আছে । সাগর নদীর থেকে মেডিকেল রিপোর্ট টা নিয়ে বিছানায় বসে দেখতে লাগলো ।
রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে
Result: patient p*regnancy wasn't positive due to infertility
সাগর রিপোর্ট টা পাশে রেখে বিছানায় মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলো , তার কি করা উচিত সেটা এখন জানা নেই।
- কিন্তু আমার পেটে কিছু একটা আছে , নাড়াচাড়া করে , লা*থি দেয় , আমি বুঝতে পারি আমার পেটে সন্তান আছে ।
নদীর কথা শুনে সাগর চমকে উঠে বিছানা থেকে নদীর কাছে যায় । নদী সাগরের একটা হা*ত নদীর পেটের ওপর রাখে ।
পেটে হাত বুলিয়ে সাগর মোটামুটি ভাবে বুঝতে পারে নদীর গ*র্ভে তাদের সন্তান আছে , তাহলে রিপোর্ট ভুল কেন আসলো ? সাগর নদীর পেট থেকে হা*ত সরিয়ে পেটে একটা চু*মু দেয় । তখনই আম্মু ডাক দেয় ডিনার করার জন্য ।
ডিনার শেষ করে আম্মু আমাকে তার রুমে ডাকে । নদী আমাদের ঘরে চলে যায় আর আমি যাই মায়ের কাছে ,মা আমাকে বসতে বললে আমি তার পাশে বসলাম । মা আমার হাত দুটো ধরে বললো :
মা- বাবা আমি কি কোনোদিন নাতি নাতনির মুখ দেখতে পারবো না?
সাগর তার মায়ের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি । আস্তে করে হাতটা ছাড়িয়ে মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে আসে । সাগর বুঝতে পারে বুড়ো বয়সে সবারই মন চায় একটা খেলার সাথী হোক ।
বুড়ো বয়সে একটু না একটু বাচ্চা ভাব চলে আসে তাইতো গ্রামগজ্ঞে মুরুব্বিরা বলে বুড়া আর গু*ড়া এক । আমি আমাদের রুমে চলে এলাম , এসে দেখি নদী বিছানায় উবু হয়ে শুয়ে আছে ।
আমিও আর কিছু বললাম না বাতি নিভিয়ে ওর পা*শে শুয়ে পড়লাম । নদী একটু আমার দিকে ফিরে আমাকে জ*ড়িয়ে ধরলো আর তখনই একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলো রুমে ।
নদী আমাকে জ*ড়িয়ে ধরাতে বুঝলাম নদী কান্না করছে , তাই ওকে শান্ত করতে পেটে হা*ত দিয়ে বললাম - তুমি কান্না করোনা ,, তাহলে বাবু কষ্ট পাবে । রিপোর্ট টা হয়তো ভুল ছিলো , আমরা কাল আবার যাবো হসপিটালে ।
এই দেখো আমাদের বেবি হাত পা নাড়ছে ,( সত্যিই ওর পেটে কিছু নাড়াচাড়া করছিলো )। নদী আমাকে আরো শক্ত করে ধরে কান্না থামাতে চেষ্টা করলো । একসময় আমি ও নদী দুজনে ঘুমিয়ে পড়লাম ।
মাঝরাতে নদী খেয়াল করে একটা ছোট্ট বাচ্চা নদীর বুকের ওপর শুয়ে আছে ।
শুধু শুয়েই নেই , বাচ্চা টা নদীর স্ত*ন থেকে দু*গ্ধ পান করছে । নদী চোখ খুলে দেখে সাগর বিছানার একদিকে ফিরে শুয়ে আছে আর দুজনের মাঝখানে একটা বাচ্চা শুয়ে নদীর স্ত*ন খাচ্ছে ।
নদী ভয় পেয়ে সড়ে গেলেই বাচ্চাটাও গলা ধরে ঝুলে থাকে কিন্তু নদীকে ছাড়ে না । নদী বাচ্চা টাকে যত ছাড়াতে চাচ্ছে বাচ্চা টা ততই নদীকে জড়িয়ে ধরে।
গল্প: বাচ্চা_রহস্য
(পর্ব-১)
গল্প:- বাচ্চা_রহস্য
পর্ব- ০২শেষ
মাঝরাতে নদী খেয়াল করে একটা ছোট্ট বাচ্চা নদীর বুকের ওপর শুয়ে আছে ।
শুধু শুয়েই নেই , বাচ্চা টা নদীর স্ত*ন থেকে দু*গ্ধ পান করছে । নদী চোখ খুলে দেখে সাগর বিছানার একদিকে ফিরে শুয়ে আছে আর দুজনের মাঝখানে একটা বাচ্চা শুয়ে নদীর স্ত*ন খাচ্ছে । নদী ভয় পেয়ে সড়ে গেলেই বাচ্চাটাও গলা ধরে ঝুলে থাকে কিন্তু নদীকে ছাড়ে না ।
নদী বাচ্চা টাকে যত ছাড়াতে চাচ্ছে বাচ্চা টা ততই নদীকে জড়িয়ে ধরে। সাগরকে ডাকতে গেলে বাচ্চা টা নদীর দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকায়, আবার গ*লা টি*পে ধরে ।
গ*লা টি*পে ধরায় নদীর শ্বাস ব*ন্ধ হবার উপক্রম শুধু উমম উমম শব্দ ছাড়া কিছুই বেরোয় না। প্রায় দেড় মিনিট পর বাচ্চা টা নদীর গ*লা ছেড়ে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকায় ।
যেটা দেখে নদী একদম স্থীর হয়ে যায় । অন্য দিকে একটার পর একটা স্ত*ন খায় বাচ্চা টি । নদীর ভয়ও হচ্ছিল কিন্তু কিছু করার নেই কারন এখানে সাগর ছাড়া কেউ নেই । আবার সাগরকে ডাকতে গেলে বাচ্চা টি নদীর গলা টি*পে ধরে।
স্থি*র হয়ে থাকার পর নদী দেখে এখন বাচ্চা টা তাকে কিছু বলছে না , শুধু দু*ধ পান করে । তাই এবার সে বাচচাটির দিকে তাকিয়ে দেখে দু*ধ পান করার পর বাচচাটি আরো ভয়ংকর হয়ে গেছে। যা দেখে নদী অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
বেলা নয়টা বেজে গেছে তবুও নদী ঘুম থেকে উঠছেনা দেখে সাগর নদীকে ডাকতে যায় । সাগর নদীকে ডেকে তুলতে গেলে নদী ঘুম থেকে উঠে না বরং গ*লায় একটা দাগ দেখতে পায় ।
দু*ধে আলতা শরীর নদীর , তাই দাগটা অনেক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে । নদীর গ*লায় এরকম দাগ দেখে সাগর কিছু টা চিন্তিত হয়ে নদীকে ধাক্কা মা*রে , তবুও নদীর কোনো হুশ নেই । সাগর নদীর এরকম অবস্থায় দেখে চিন্তা আরেকটু বাড়ে কারণ, সাগর ঘুমোতে যাওয়ার আগে নদীর গ*লায় এরকম দাগ দেখেনি । তাহলে এখন এই দাগ আসলো কোথা থেকে?
যখন দেখলো নদী সাগর সাগরের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না তখন শেষ মেষ নদীর নাক মুখে একটু পানির ছিটা দিতেই নদী কোনোরকমে উঠে বসলো , উঠে বসতেই রাতের কথা মনে পড়ে তাই গলায় হাত দিযে আবার নামিয়ে নেয় ।
যেটা সাগরের চোখ এড়ায়নি।
নদী সাগরকে কিছুই না বলে প্রতিদিনের মত একটা হাসি দিয়ে উঠতে চেষ্টা করে কিন্তু পারলো না বরং সাগর তাকে জিজ্ঞেস করেই ফেলে গ*লায় দাগ আসলো কোথা থেকে?
কথাটা শুনে সাগরের দিকে নদী অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গলায় হাত রাখলো , কিন্তু কিছু বললো না । নদী বিছানা থেকে নামতে গেলে সাগর হেল্প করে , তবে উত্তরের অপেক্ষায় আছে কিন্তু জোর করছে না নদীকে । নদী আস্তে আস্তে টেবিলের পাশে থাকা আয়নার সামনে গিয়ে দেখে দাগটা সত্যি অনেক গাড়ো এবং র*ক্তবর্ণ ধারণ করে আছে।
গলায় এরকম কিছু দেখে নদীর মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে তবে পড়ে যাওয়ার আগেই সাগর ধরে নেয় । নদীকে কোনো রকম আবার বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বালতিতে করে পানি এনে নদীর হাত মুখ ধুয়ে দেয় ।
বালতি রেখে এসে নদীকে ড্রেস চেঞ্জ করে দিতে লাগলো কিন্তু তখন নদীর স্ত*ন এর দিকে চোখ পড়লো সাগরের । পুরো স্ত*ন লাল হয়ে আছে , সাগর নদীর ড্রেস চেঞ্জ করে নদীকে কিছু খাবার খাওয়ায় সাথে কিছু মেডিসিন ।
নদী কে সাগর শুইয়ে দিয়ে বেলকুনিতে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকে আর ভাবনায় পড়ে - নদীর ঘার আর দুগ্ধ র*ক্তবর্ণ কেন ? কিন্তু কোনো রহস্য খুঁজে বের করতে পারেনি ।
এভাবেই দুপুরটা কে*টে যায় , দুপুরের পর নদীকে অনেকটা সুস্থ দেখতে পায় সাগর ,, তাই বিকেল সাড়ে চারটায় হসপিটালে যায় বাচ্চা চেকআপ করতে যাতে সঠিক রিপোর্ট বের করে নদীকে চিন্তামুক্ত করতে পারে এবং নিজেও চিন্তামুক্ত থাকতে পারে ।
কিন্তু আল্ট্রাসনো করার পর চিন্তা আরো বাড়ে কারন প্রতিবারই একই রেসাল্ট আসে , সেটা হলো :patient p*regnancy wasn't positive due to infertility
চিন্তা কমাতে গিয়ে আরো চিন্তা বাড়িয়ে , সন্ধ্যার আগে আগে বাসায় ফিরলো সাগর ও নদী । বাসায় এসে সাগর ফ্রেশ হয়ে বেলকুনিতে চলে যায় কিন্তু নদী রুমে বসে থাকে । সাগর ও নদী দুজনেই নিরব তবে মাথায় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ,, বাচ্চা পেটে নড়াচড়া করে কিন্তু রিপোর্ট এ বাচ্চা আসে না কেন?
এরকম তো হওয়ার কথা নয় , আবার নদীর ঘার ও বুকে দাগ আসলো কোথা থেকে ?
ভাবতে থাকে বুক ও ঘারে দাগের বেপারে নদী কিছু বলতে পারবে কারন সকালে নদী জাগতেই ঘারে হাত দিয়েছে । প্রশ্নের উত্তর পেতে সাগর বেলকুনি থেকে রুমে এসে নদীর পাশে বসে । নদীর পাশে সাগরকে নিশ্চুপ বসতে দেখে নদী সাগরের দিকে তাকালো।
- নদী একটা সত্যি কথা বলো , কোনো কিছু লুকিয়ে রাখবে না।
- হুম
- নদী তোমার ঘার ও বু*কে দাগ আসলো কোথা থেকে ?
- নিশ্চূপ ,,,,,
- নদী প্লীজ এড়িয়ে যেও না , কিছু তো একটা হয়েছে কিন্তু কি হয়েছে সেটা বলো ।
- নিশ্চুপ ,,,,
- আমার চোখের দিকে তাকাও ,,, তোমার কোনো ভয় নেই । আমি আছিতো তোমার সাথে , যা হয়েছে আমাকে বলো
সাগরের এরকম প্রশ্নে নদীর ভয়টা কমে গেলে সবটা বলে দেয় । সব শুনে সাগরের চিন্তা আরো বাড়তে লাগলো ,, কে এই বাচ্চা ? সাগর ভাবছে কিন্তু হঠাৎ মো*বাইলের শব্দে ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে মো*বাইল টা হাতে নেয় ।
হাতে নিয়ে দেখে সিম কোম্পানি থেকে মে*সেজ এসেছে , এই সিম কোম্পানি গুলোর কাজ নেই শুধু সারাদিন মে*সেজ। সাগর কিছু টা বিরক্ত হয় । তারপর খাবার টেবিলে যায় ,
গিয়ে দেখে আম্মুও আজ অনেক টা নিরব হয়ে আছে । একমাত্র ছেলের এই অবস্থা দেখে তিনি হয়তো চিন্তিতো কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে নদীকে নিয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম ।
নদী ঘুমিয়ে পড়লেও আমি ঘুমোলাম না শুধু চোখ বুজে রইলাম কারন বাচ্চা টা আজও আসতে পারে । যদি আসে তাহলে কিছু একটা করবে সাগর ।
কারন এসব বেপারে সাগরের কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা আছে । সময় বেরে আটটা থেকে বারোটা বেজে গেছে তবুও কিছু হয়নি এদিকে সাগরের চোখেও ঘুম ঘুম ভাব চলে এসেছে ।
অনেকটা ঘুমিয়েও পড়েছে কিন্তু উমম উমম শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। পাশে তাকিয়ে দেখে সাগরের স্ত্রী নদীকে ভয়ংকর একটা বাচ্চা গ*লা টি*পে ধরে আছে আর নদী ছটফট করছে ,বাচ্চাটার বয়স দুই থেকে তিন মাস হবে। সাগর বাচচাটির দিকে হাত বাড়াতে লাগলো কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাচ্চাটি সাগরের হাতে একটা কা*মড় বসিয়ে দিয়ে নদীকে ছেড়ে দেয় ।
এদিকে সাগর ফ্লোরে পরে যায় কিন্তু ফ্লোরে পরে গেলেও বাচ্চা টাকে আটকানোর জন্য সাগর মন্ত্র পড়তে শুরু করে।
সাগর : ঞ্রুড়িআ্যা*য়েশ্ন্চ আ্র্রে*ন্না উয়া ঞ্জা ঢ়ৃ*র্লিব্ য্রুর
মন্ত্র শেষ করার আগেই কে যেনো সাগরের পা ধরে একটা আছাড় মা*রল ।
সাগর উড়ে গিয়ে টেবিলের পাশে আয়নার উপর পড়ে , আর রুমে বাতি নিভে যায় । আয়নার উপর পড়ে গিয়ে আয়না ভেঙ্গে সাগরের পিঠে কয়েকটা জায়গায় ঢুকে যায় । সাগর কোনো রকম উঠে দাড়াতেই রুমের বাতি জ্বলে উঠলো , বাতি জ্বলে উঠলে বাচ্চাটিকে আর দেখতে পায় না ।
সাগর রুমের চারদিকে তাকাচ্ছে আর ভাবছে ,, কে এই বাচ্চা ? প্রতিদিন কেন আসে নদীর দু*গ্ধ পান করতে ? নদীর চেকআপে ভুল রিপোর্ট আসে কেন? মন্ত্র পড়ার সময় সাগর কে বাধা কে দিলো , আর কেনই বা দিলো ?
কয়েকটি প্রশ্ন চলে আসে সাগরের সামনে একটা প্রশ্ন আরেকটার সাথে জড়িত ।
কিভাবে সমাধান হবে এই রহস্যর ? সাগর কি পারবে এই রহস্যের সমাধান করতে ?
কে এই বাচ্চা ? প্রতিদিন কেন আসে নদীর দু*গ্ধ পান করতে ? নদীর চেকআপে ভুল রিপোর্ট আসে কেন? মন্ত্র পড়ার সময় সাগর কে বাধা কে দিলো , আর কেনই বা দিলো ?
কয়েকটি প্রশ্ন চলে আসে সাগরের সামনে একটা প্রশ্ন আরেকটার সাথে জড়িত । কিভাবে সমাধান হবে এই রহস্যর ? সাগর কি পারবে এই রহস্যের সমাধান করতে ?
নদীর কাশির শব্দে সাগর ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে । সাগর নদীর কাছে গিয়ে একগ্লাস পানি এগিয়ে দিলো ,
পানি খেয়ে নদী সাগরের দিকে তাকায় । নদী এখনো ভয়ে তটস্থ হয়ে আছে সেটা সাগর বুঝতে পেরে নদীর পাশে বসে নদীকে জড়িয়ে ধরে। খেয়াল করে নদী বুকের মাঝেও কাঁপছে তাই একটু ভালো করে জড়িয়ে ধরে। দুই মিনিট ,
পাঁচ মিনিট , দশ মিনিট , এভাবে প্রায় আধা ঘন্টা সাগর নদীকে জড়িয়ে ধরে রাখার পর আস্তে আস্তে নদীর ভয় কিছুটা কমে ।
ভয় কমে গেলে নদী হাতে গরম গরম কিছু একটা অনুভব করতে লাগলো । সাগরের পিঠ থেকে হাত সরিয়ে এনে দেখে র*ক্ত , বিছানায় অনেকটা র*ক্ত পরছে । নদী সাগরকে একটু ঘুরিয় বসিয়ে পিঠ থেকে তিনটা কাঁচের টুকরো বের করে ।
সাগর স্যাভলন , পানি মলম এনে দিলে নদী সাগরের পিঠে লাগিয়ে দেয় । সবকিছু ঠিকঠাক করে সে রাতের মতো দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ে । পরের দিন নদীর হাতে একটা তাবিজ বেঁধে দেয় সাগর । সেই থেকে বাচ্চা টা নদীর কাছে আর আসতে পারে না ।
সাগর ও নদীর দিন গুলো কা*টতে লাগলো , নদীর মধ্যে থাকা অবয়বটাও অনেক টা বড়ো হয়েছে । নদীর গর্ভে বাচ্চা আছে সেটা এখন তার শাশুড়িও জানে তাই নদীর কোনো অযত্ন করেনি , তার ধারণা এরকম হয় ।
সাগর প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে নদীর পেটে কান পেতে কথা বলে । এভাবে ভালোই দিন কাটছিলো , নদীর সাথে সেদিনের পর থেকে তেমন কিছু ঘটেনি কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন টিকলো না মাত্র পনেরো দিন পর নদী তাদের বেডরুম থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় ।
নদী রুমের ভেতরে গেলেই কান্নার আওয়াজ টা বাড়ে , যখন সাগর রুমে থাকে তখন আর আসে না । দিন যত যায় কান্না ততো বেশি করে , একদিন সাগরও সেই কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় । কোথায় থেকে কান্না আসে সেটা দেখা যায় না কিন্তু রুমের মধ্যে যে কেউ কাঁদে সেটা স্প*ষ্ট বোঝা যায় ।
সাগর অনেক চেষ্টা করেও সে কান্না থামাতে পারেনা । যখনি কান্না থামাতে কোনো মন্ত্র প্রয়োগ করে সেদিনই কিছু না কিছু একটা অনিষ্ট হয় সাগরের । সাগর ঠিক মতো মন্র পড়তে পারে না কে যেনো সাগরকে বাধা দেয় । তাই আজ সাগরের বাবার রেখে যাওয়া বইটার কথা মনে পড়ে যায় ।
বাবা বলেছিলো কোনো একদিন এই বইটা তোর কাজে দিবে । বাবার থেকেই সাগর কিছু কিছু মন্র শিখেছে কিন্তু বাবার মতো না।
তাই মৃ*ত্যুর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে সাগরের কাছে বইটা দিয়েছিলো যেটা কিনা আজ পর্যন্ত সাগর খুলে দেখেনি ।
সাগর পাকপবিত্র হয়ে বাবার দেওয়া বইটা লকার থেকে বের করে পড়তে লাগলো । সবকিছু অশরিরি নিয়ে ভয়ংকর ভাবে লেখা বইটাতে ।
বইটা যখন পড়ে তখন সাগরের শরির শিরশির অনূভব করে ।
নদীও বুঝতে পারেনা সাগর কি পড়ছে তবে রুমের মধ্যে একটা ঠান্ডা বাতাস বইছে সেটা বোঝা যাচ্ছে , এটা এসি অন থাকার ফলেও হতে পারে । একসময় সাগর খেয়াল করে রুমের মধ্যে কে যেনো গর্জন করছে
এমন একটা ভাব যেনো বইটা পড়তে বারন করছে সাগর কে । সাগর তবুও বইটা পড়ে যাচ্ছে কারন রুমের মধ্যে কান্নার আওয়াজ টা বন্ধ করতে হবে আপাতত । হটাৎ টেবিলের ওপর থেকে কাঁচের গ্লাস টা ফ্লোরে পরে ভে*ঙ্গে যায় ।
সাধারণ ভাবে পড়লে দুইটা তিনটা বা কয়েকটা টুকরো হতো কিন্তু গ্লাসটা এমন ভাবে পড়েছে সেটা গুড়ো গুড়ো হয়ে যায় । যেন সেটা কেউ গায়ের জোরে আ*ছাড় মে*রেছে ।
নদী গ্লাসের কাছে যেতে চাইলে সাগর বইটা পড়া বন্ধ করে নদীকে আটকায় । এদিকে বই পড়া বন্ধ করে দিতেই আবার সবকিছু স্বাভাবিক । সাগর বইটা লকারে রেখে নদীকে অযু করে আসতে বলে ।
নদী কারন জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেয়না সাগর । বই রেখে আসতে আসতে নদীও অযু করে চলে আসে ।
- নদী তোমাকেও এখন মন্ত্র পড়তে হবে ।(সাগর)
- আমি এসব মন্র পড়তে পারি না (নদী)
- চেষ্টা করলেই পারবে ,, বলো ' ঠ্র্তেৎষ্ন্তে ফ্য্যল্ঞেনিয়য়া উ্ষ্ঠ্য
-ঠ্রতেৎষ্তে ফ্যেল্নিয়য়া উষ্ঠ্য (নদী)
- হয়নি ,,, আবার চেষ্টা করো ,, ঠ্র্তেৎষ্ন্তে ফ্য্যল্ঞেনিয়য়া উ্ষ্ঠ্য ,, এভাবে বলো (সাগর)
-ঠ্র্তেৎষ্ন্তে ফ্যেল্নিয়য়া উ্ষ্ঠ্য (নদী)
- আবার বলো (সাগর)
-ঠ্র্তেৎষ্ন্তে ফ্য্যল্ঞেনিয়য়া উ্ষ্ঠ্য (নদী)
হুম এবার হয়েছে । আমি যখন বাচ্চা টার কান্না বন্ধ করার জন্য মন্ত্র পাঠ করবো তখন কেউ না কেউ আমাকে বাধা দেয় । যখন দেখবা আমাকে বাধা দিচ্ছে তখন তুমি এই মন্র উচ্চারণ করতে থাকবে (সাগর)
- বুঝলাম কিন্তু আমি বুঝবো কি করে তোমাকে কেউ বাধা দিচ্ছে ?( নদী)
- আমার বই পড়ার সময় যেমন গ্লাস ভে*ঙ্গে আমাকে বাধা দিয়েছে ঠিক তেমনি এবারো কিছু একটা করে আমাকে বাধা দিতে চাইবে কিন্তু তুমি সেটা করতে দিবে না ।(সাগর)
- আচ্ছা ঠিক আছে (নদী)
সাগর নদীকে মন্র শিখিয়ে দিয়ে ফ্লোরে নামাজের আসনের মতো বসলো । বসে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলো, নদীও সাগরের পাশে এসে বসে সেটা সাগরের চোখ এড়ায়নি।
অম্রূম্বীঞাল্ঝুরি উম্রোণ্ঞুঞ্জীযি ,,,,,,,,,,
সাগর আর মন্ত্র পড়তে পারলো না। নদী মন্ত্র না পড়ে সাগরকে টেনে উপরে তুলে নেয় । সাগর দেখে নদী হাওয়ায় ভেসে আছে আর নদী ভয়ে সাগরের হাত ধরে আছে যার জন্য সাগরও শুন্যে ভাসছে । নদীর শক্তি কমে আসলে আস্তে আস্তে সাগরকে ছেড়ে দেয় । সাগর কে ছেড়ে দিলে নদী একাই শুন্য দুই মিনিটের মতো ভাসতে থাকে ।
এরকম ঘটনায় সাগরের বোঝার বাকি নেই এটা কোনো শক্তিশালী অ*শরি*রি তাইতো নদী মন্র পড়ার আগেই নদীকে শুন্য তুলে নেয়। সাগর বুঝতে পারে অ*শরি*রি টা বাচ্চাটাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু তাতে আমার কি ? আমিও আমার বাচ্চা কে অনেক ভালোবাসি তাই যেভাবে হোক ঐ অশরিরি থেকে আমার বাচ্চার আম্মু কে বাঁ*চাতে হবে নয়তো একসময় আমার বাবুকেই কিছু একটা করে দিবে ।
তবে তাদের বেবি জন্ম নেওয়ার আগে অশরিরিটাকে রাগানো যাবে না তাহলে নদীর ক্ষতি করতে পারে , অশরিরিটাকে না রাগালে তেমন কোনো ক্ষতি আপাদত করবে না। নদী কে ভয় পেতে বারন করে , ধৈর্য ধরতে বলে বাচ্চা জন্ম নেওয়া পর্যন্ত । নদীও সাগরের কথায় সায় দেয় , সাগরও অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সবসময় নদীর কাছে থাকে ,
নদী ভয় না পায়।
এই ঘটনা ঘটার চারদিনের মধ্যে নদীর প্রশব বেদনা উঠে । হাসপাতালে নিলে নরমাল ডে*লি*ভারি তে নদীর ফুটফুটে একটা ছেলে হয় কিন্তু ছেলের চোখ দুটো টকটকে লাল ।
নার্সরা এরকম বেবি দেখে অনেক টা অবাক হয়ে যায় ,, এমনিতেই বাচ্চার নয় মাস পুর্ন হয়নি তারওপর বাচ্চার চোখ দুটো লাল । নদীর পাশে বাচ্চা রেখে একটু বাইরে গেলে নদীর কাছে সাগর এসে বসে । তখনই রুমের মধ্যে থেকে হাসির আওয়াজ আসে , সাগর খেয়াল করে তাদের সামনে থাকা নবজাতক শিশু টাও অদ্ভুত এক হাসি দিচ্ছে ।
সাগর এবার বড় ধরনের রহস্যের মধ্যে পড়ে যায় ,, তাদের নবজাতক শিশু টি কে ? জন্ম নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কিভাবে হাসতে পারে একটা বাচ্চা ? রুমের মধ্যেই বা কে হাসছে ?
সামনে থাকা নবজাতক শিশু টাও অদ্ভুত এক হাসি দিচ্ছে । সাগর এবার বড় ধরনের রহস্যের মধ্যে পড়ে যায় ,, তাদের নবজাতক শিশু টি কে ? জন্ম নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কিভাবে হাসতে পারে একটা বাচ্চা ? রুমের মধ্যেই বা কে হাসছে ?
নদীও অনেক টা অবাক ! কি করে এরকম টা হতে পারে ? নদী ও সাগর একজন আরেকজনের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকায় তাতে সাগর কিছু টা হলেও আন্দাজ করতে পারে , নদীর মনেও একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আস্তে আস্তে বাচ্চার হাসি বাড়তে থাকে সেই সাথে রুমেও হাসির আওয়াজ বেড়েই যাচ্ছে । রুমের হাসির সাথে যেন আমাদের বাচ্চাটা যেন হাসির প্রতিযোগিতা শুরু করেছে । হাসতে হাসতে একসময় আমাদের বাচ্চা টা হাওয়ায় ভাসতে শুরু করে । নদী বাবুর এই অবস্থা দেখে অনেক টা ঘাবড়ে গিয়ে কান্না শুরু করে । নদীর কান্নার আওয়াজ শুনে বাহির থেকে নার্স এসে পরে । এদিকে সাগরের বাবুটাও চোখের পলকে সাগরের কোলে এসে পড়ে । বাবুর সেই অদ্ভুত হাসি মিলিয়ে যায় , থাকে না বদ্ধ রুমের মধ্যে থাকা সেই অবাক করা হাসি । এমন একটা পরিস্থিতি যেনো আমাদের বাবুটা অদৃশ্য বাচ্চার সাথে কানেক্ট করা । নার্স এসে দেখে নদী কান্না করছে ,,, তিনি দেখেন সবই তো ঠিক আছে তাহলে পেশেন্ট কান্না করছে কেন? নার্স সব কিছু চেক করে আমার কাছে আসলো ।
- দেখুন সাগর ভাই ,,, দেশের অবস্থা তেমন ভালো না । করোনায় হাজার হাজার মানুষ মৃ*ত্যু হচ্ছে । দেশে লকডাউন চলছে তাও আপনি আপনার স্ত্রীকে হাসপাতালে এনেছেন যাতে বাচ্চা ও বাচ্চার মা ভালো থাকে । (নার্স)
- হুম (আমি)
- বাচ্চা যেহেতু নরমাল ডে*লিভা*রিতে হয়েছে তখন বাচ্চার আম্মু ও তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে । আপনি তাদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার বেবস্থা করুন কারণ হাসপাতালে অনেক ভাইরাসের রোগী আসে সো বুঝতেই পারছেন ।(নার্স)
- আচ্ছা আমি এমবুলেন্স এর বেবস্থা করছি ,,, আর ডক্টর এর সাথে কথা বলে আসি । (আমি)
- জি , ওকে (নার্স)
আমি রুম থেকে গিয়ে ডক্টর এর সাথে কথা বলে আসলাম । রুম থেকে বাহির হতে আম্মু ফোন দিয়ে জানতে চায় সে আসবে কিনা ? কিন্তু আমি বারন করি । নদীকে নিয়ে বাসায় আসতে আসতে সন্ধে হয়ে যায় ,, সাথে একজন নার্স নিয়ে আসি কয়েকদিনের জন্য যাতে নদীর দেখভাল করতে পারে । আমাদের বাবুর নাম আম্মু রাখে নিহান ।
নিহানের বয়স যখন আঠারো দিন তখন নার্স কে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই ,, এই আঠারো দিন নার্স আপু নদীর দেখাশোনা করেন । নাম ছিলো নিলা , নদী ও নিলার মধ্যে অনেকটা বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এখন নদীই সব কিছু করতে পারে , নিহানের ময়লা পরিষ্কার , খাওয়ানো , যাবোতিয় সব । তবে নিলা যাওয়ার সময় বাড়ির গেটের সামনে এসে আমাকে একটা কথা বলে থমকে দেয় ।
আমাদের নিহান নাকি যখন তখন অ*স্ফুট স্বরে হেসে ওঠে সেটা নাকি নিলা দেখেছে আর রুমে কে যেনো একটা ছায়া হাঁটাচলা করে । নিলা গাড়িতে উঠে গেলে আমি ভাবতে থাকি রুমে আবার কে হাঁটতে পারে ?
নিলার ডাকে ঘোর ভাঙ্গলে আমি গিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করি । নিলাকে ওর বাসায় পৌছে দিয়ে আমি বাসায় চলে এলাম । বাসায় এসে রুমে গিয়ে দেখি নদী শুন্য ভেসে হাসছে আর নিহান ঘুমোচ্ছে । আমি কাছে যেতেই আরো উঁচুতে , আমার হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় । উঁচুতে গিয়ে আরো জোরে হাসতে বলতে লাগলো ।
- হা,হা সাগর আমাকে ধরার এতো শখ ? আর ধরতে পারবি না । আমার কিছুই করতে পারবি না ।(নদী)
- কে তুই ? কেনো এরকম করছিস ,, নদীকে ছেড়ে দে (আমি)
- হাহা ছেড়ে দেবো ? দিলাম ছেড়ে ।
বলার সাথে সাথেই নদী ওপর থেকে ঠাস করে পরে যায় , ভাগ্যিস আমি ধরে ফেলি । নদী আমার কোলে বসে কেঁদে উঠলো । আমি নদীকে বিছানায় বসাতেই নদী ঠাস করে আমাকে একটা চড় মেরে দেয় । এতো জোরে চ*ড় মা*রে যে আমি আট দশ হাত দুরে ছিটকে পড়ি । ঘুমিয়ে থাকা নিহানও হেসে ওঠে । দেখতে দেখতে নিহান শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালো । দাঁড়ানো থেকে আবার হাওয়ায় ভাসতে লাগে ।
এটা যে সাধারণ অশরিরি না সেটা সাগর বুঝতে পারে । এতো দিন নদীর আশে পাশে ছিলো এখন ওর শরীরে প্রবেশ করেছে । কিন্তু নদীর শরিরে তো অশরিরি প্রবেশ করতে পারবে না । সাগর এবার নদীর দিকে তাকিয়ে দেখে হাতে সেই তাবিজ টা নেই । তাবিজ টা দেখি আলমারির নিচে পড়ে আছে । সাগর তাবিজ টা এনে নদীর দিকে এগোতেই নদী আবার উপরে উঠে যায় । নাগালের বাইরে যাওয়ার আগেই সাগর নদীকে লাফ দিয়ে জড়িয়ে ধরে । জড়িয়ে ধরার পর নদী ও সাগর একসাথেই বিছানায় উড়ে পড়ে । সাগর নদীর হাতে সেই তাবিজ বেঁধে দিতেই পুরো ঘর নিস্তব্ধ হয়ে যায় । নিহানের হাসি এবার কান্নায় পরিনত হয়েছে ও রাগ বারাচ্ছে । চোখ থেকে আগুনের ফুলকির মতো বেরোচ্ছে এরকম মনে হচ্ছে । আমি নদীকে রেখে উঠতেই নিহান আরো রেগে যাচ্ছে । পুরো রুমে বাতাস বইতে শুরু করে । আমি নিহানের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম , তাতে আরো ঝড় বাড়তে থাকে ।
- রাগ হয়ে কিছুই হবে না , আমি তোকে তারিয়েই ছারবো ( আমি)
- আমি যাবো না ।(নিহান)
- তোকে যেতেই হবে ,,(আমি)
সাগর চোখ বন্ধ করে চোখ খুলতেই হাওয়ায় ভেসে ওঠে । নিহানের চারদিকে ঘুরতে লাগলো যেনো কাউকে ধাওয়া করছে । হটাৎ সাগর ঠাস করে পড়ে যায় যেনো কেউ আছাড় মে*রেছে । সাগর উঠে আবার হাওয়ায় ভাসতে লাগলো ,
- আমাকে ধাওয়া করে লাভ নেই , আমায় রাগালে তুই তোর ছেলেকে হা*রাবি ।(নিহান)
- যাই হোক আজ তোর শায়েস্তা করবো (আমি)
সাগর নিচে নেমে এসে গ্লেসে করে পানি নিয়ে তার মধ্যে তিনটা লোহা রাখলো ,,, ।
- তুই যাবি নাকি তোকে হ*ত্যা করবো (আমি)
- হাহা তুই আমাকে হ*ত্যা করবি ? তোর সামনের দিনগুলো আরো খা*রাপ হতে চলেছে , দেখ তোর ছেলের কি করি ,।।(নিহান)
চোখের পলকের মধ্যে নিহানকে একটা আ*ছাড় মে*রে দেয় কিন্তু সাগর বিদ্যুৎ এর গতিতে ধরে ফেলে । নিহানকে ধরার পর সামনে দেখে একটা কালো ছায়া হেঁটে চলছে । রুমের মধ্যে সেই অদ্ভুত কান্নাও থেমে যায়।
- আর কয়বার বাচাবি তোর বাচ্চাকে ,,, আমি আবার আসবো তোর বাচ্চাকে নিতে , এই বাচ্চা নিতে আসবো আবার । হাহা ,,,
দেখতে দেখতে ছায়াটি চলে যায় । সাগর নিহানকে নদীর পাশে শুইয়ে দেয় । নিহান কান্না করছে কিন্তু সেটা সাধারণ বাচ্চাদের কান্না । আমি নিহানকে শান্ত করতে লাগি । নদি অজ্ঞান হয়ে আছে , এদিকে আমি নিহানকে শান্ত করছি আর ভাবছি ।
অশরিরিটা আমার বাচ্চাকে কেন নিতে চায় ? নিলা এতো দিন কেনো বললো না রুমের মধ্যে কালো ছায়া হাঁটা চলা করে ? রহস্য যেনো বেড়েই চলেছে ।
হয়তোবা কোনোদিন শেষ হবেনা এই রহস্য
সমাপ্ত