প্রতিটা মানুষের গল্প গুলো যানা উচিত | কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা

  •  অবহেলার কষ্টের স্ট্যাটাস

অবহেলার কষ্টের স্ট্যাটাস

আমার স্বামী প"রকীয়া করে,গভীর রাতে ফিসফিসিয়ে কার সাথে যেন কথা বলে।বিষয়টা বাবা-মা কে জানালে মা বললো 


" ওই শয়তানের মুখে জুতা মে"রে এক্ষুনি বাড়ি চলে আয় "


বাবা বললো " হারামজাদারে এমন মামলা দিবো বাপের নাম ভুলে যাবে "


ফোন কে"টে দিলাম।লোকটাকে যে বড্ড ভালোবাসি, ছেড়ে যাওয়া তো সম্ভব না।


নিজের কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করলাম।স্বামী যতক্ষণ বাসায় থাকে সাজগোছ করি, পরিপাটি থাকার চেষ্টা করি।স্বামীর সাথে হেসেখেলে কথা বলি।আগে যতটা সময় দিতাম তার থেকেও বেশি সময় দেওয়া শুরু করলাম।প্রতিদিন নতুন নতুন রান্না শিখে ওনাকে খাওয়ানো শুরু করলাম।ওনার টাকাতেই ওনাকে ছোটখাটো উপহার দিতে চেষ্টা করলাম।


কেননা আমার ধারণা ছিলো যে পুরুষ ঘরে শান্তি পায় সে কখনো বাইরে শান্তি খোঁজে না।হয়তো আমি তাকে তেমন সময় দিতে পারিনি।হয়তো সারাক্ষন রান্নাঘরে থাকার ফলে আমার শরীরে পেঁয়াজের গন্ধ,তেল চিপচিপে মুখ এসব তাকে মোহিত করতে পারেনি।যতোই হোক,পুরুষ মানুষ নারীকে সবসময় পরিপাটি হিসেবে দেখতে চায়।


অন্ধকার এই যুদ্ধে জয়লাভ করলাম।স্বামী হয়তো বুঝতে পারলেন আমি তাকে কতটা ভালোবাসি,বিশ্বাস করি।তিনি গতরাতে আমার পা ধরে বলল

" তোমার সাথে আমি অন্যায় করেছি।একটা মেয়ের সাথে কথা বলেছি,তাকে মনের কিছুটা যায়গা দিয়েছিলাম "


" সেই কিছু যায়গাটা কি এখনো দিয়ে রেখেছো? "


উনি আমায় জ"ড়িয়ে বললো " আমার ভুল হয়েছে,প্লিজ ক্ষমা করে দাও "


" তোমাকে ভালোবাসি।ক্ষমা তো করতেই হবে।তবে একটা কথা,বউ আর প্রেমিকা এক হয় না।আমার পুরো সংসার সামলাতে হয়। শরীরে সুগন্ধের বদলে হয়তো পেঁয়াজ রসুনের গন্ধ লেগে থাকে,ঘামে শরীর কালো হয়ে থাকে।যে পুরুষ ভালোবাসে সে এসব মেনে নিয়েই ভালোবাসবে।যাক বাদ দাও,সব পুরুষ তো এক হয় না।তুমি যেমনই হও,তোমায় ভালোবাসবো "


গল্প অন্যরকম_ভালোবাসা

জয়ন্ত_কুমার_জয়

  • মেয়েদের কষ্টের স্ট্যাটাস

ডিভোর্সী হয়ে বাবার বাড়ি পড়ে আছি দেড় বছর হয়। আমার সাড়ে তিন বছরের ছেলেটা দুই বছর হলো বাবার গলার স্বর পর্যন্ত শুনতে পায়নি। শুনেছি লোকটা এরমধ্যেই অল্পবয়সী একটা মেয়েকে বিয়ে করে সুখে আছে। আর আমি? দিন-রাত ভাবির খোঁটা আর মায়ের কথা শুনে দিন কাটছে আমার। ছোটো ছেলেটা কত বায়না ধরে! কখনো খেলনা কিনে দিতে বলে কখনো কোনো খাবার। আমি হতভাগা মা কিছু দিতে পারিনা আমার সন্তানকে। নাহ ওর বাবা কোনো দায়দায়িত্ব নেয়নি ছেলের। প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলাম বলে, আমার পরিবারের লোকজনও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমার উপরের রাগ বোরহানের উপর ঝাড়ে তারা। এমনকি আমার ভাবি ও মা প্রায় বলে আমার ছেলেকে তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু কীভাবে পাঠাবো আমি? যেখানে একটা কল পর্যন্ত করে না সে, সেখানে আমার ছেলেকে কত আদরে রাখবে সেটা ভালোই অনুমান করা যায়। আমি বেঁচে থাকতে আমার ছেলে সৎ মায়ের অত্যাচার সহ্য করবে তা-ও এতটুকু বয়সে সেটা আমি কী করে মেনে নিবো? 

" রাবেয়া! এই রাবেয়া তোর ছেলেকে নিয়ে যা তো। সবকিছু এলোমেলো করে দিলো ছেলেটা। "

ওই যে ভাবি ডাকছে। নিজের বাড়ি অথচ পরের বাড়ির মেয়েও কতকিছু বলে। রান্নাঘরে বসে ছিলাম আমি। ঘরে গিয়ে দেখলাম ভাবির মেয়ে মানে আমার ভাইঝির একটা খেলনা দেখে আমার ছেলে চেয়েছিলো শুধু তাতেই থাপ্পড় দিয়ে দিয়েছে ভাবি। বোরহান আমাকে দেখেই ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বললো,

" মা আমাকে ওই খেলনাটা কিনে দাও না।"

নাহ কোনো কিছু কেনার সামর্থ্য আমার নেই আগেই বলেছি। বোরহানের বাবা আমাকে বিয়ের পরে আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেননি। তাই চাকরি করার কোনো যোগ্যতা পর্যন্ত আমার নেই। ছেলেকে কোলে তুলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে রান্নাঘরে এসে বসলাম আবারও। ভালো তো দু'জনেই বেসেছিলাম, তাহলে বোরহানের বাবা সব দায়িত্ব আমাকে দিয়ে কেনো এভাবে ছেড়ে দিলো আমাকে? আমি তো সংসার করতে চেয়েছিলাম। ইচ্ছে করে তো ডিভোর্স চাইনি। তবুও কেনো এই সমাজে ডিভোর্সী বলে সবাই আমার দিকে শুধু আঙুল ওঠায়? কই বোরহানের বাবাকে তো কেউ ডিভোর্সী বলে না। এলাকার কিছু ছেলেদের জন্য রাস্তায় বের হতে পারি না। আজেবাজে প্রস্তাব দেয়, ইশারা করে। ভাবি শুনলে বলে," ডিবোর্সী মেয়েকে তো ওইসব প্রস্তাবই দিবে,তোকে তো আর বিয়ে করার জন্য কেউ বলবে না। "

এসব শুনে আমার মা পর্যন্ত কিচ্ছু বলেন না। তখন খুব কষ্ট হয়। অথচ তারা নিজেরাই তো নারী। একজন নারী হয়ে অন্য নারীকে কীভাবে হেয় করে তারা? আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় মেয়েরাই মেয়েদের বড়ো শত্রু। অনেক ছেলেদের তো মজা করে এটা বলতে শুনি," ডিভোর্সি কোনো মেয়ে থাকলে দায়িত্ব নিতে চাই। " কিন্তু কেনো এই উপহাস? আজ যদি সেই ছেলেদের বোনের সাথে এরকম হতো, তখন তারা কী করতো? হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান হয় না তেমনই সব মেয়েও একরকম না। ডিভোর্স হয়ে গেছেই মানেই কেউ সেচ্ছায় সংসার ত্যাগ করে না। কেউ কেউ শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সংসার করার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু সমাজ সেসবে থোড়াই কেয়ার করে। তথাকথিত এই ভদ্র সমাজে প্রেমিকের সাথে বন্ধ ঘরে সময় কাটানো মেয়েদের দিকে কেউ আঙুল উঠায় না। তাদেরকে কেউ বলে না তারা সমাজের কলঙ্ক অথচ বৈধভাবে সংসার করা মেয়েটাকে তালাকের পরে শুনতে হয়, সে সমাজের কলঙ্ক! আমি চাই এই সমাজ আমাদের হেয় চোখে না দেখুক। পুরুষরা আমাদের নিয়ে উপহাস না করে যোগ্য সম্মানটুকু দিক। আমরাও মানুষ। আমাদেরও সম্মানা আছে, দুঃখ আছে, কষ্ট আছে। আমাদেরও অধিকার আছে মাথা উঁচিয়ে বাঁচার। হ্যাঁ! আমি একজন ডিভোর্সী বলছি। 


-অণুগল্প

-ডিভোর্সী_বলছি

-তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া

  • ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস

স্বামীকে ডিভোর্স দিবো।একগুঁয়ে,রাগী এবং আনরোমান্টিক মানুষের সাথে আর নয়।কোর্ট থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হলো।


এই ছয় মাস আমরা আলাদা বাড়িতে রইলাম।ছয় মাস পর দেখা হলো কোর্টে।


দূর হতে লোকটাকে দেখে বু"কে কেমন যেন চিনচিন ব্যাথা হতে লাগলো।কেমন যেন পাগলের মতো হয়ে গেছে।চুল এলোমেলো,দাঁড়িতে মুখ ভরে গেছে।চোখে ভাবলেশহীন দৃষ্টি।


এই কয়দিনে কি অবস্থা হয়েছে লোকটার!দেখে ভিষণ মায়া হলো।উনি আমার দেখে কপালের চামড়ায় ভাজ ফেলে বললো


" তোমার কি শরীর খারাপ? অনেক শুঁকিয়ে গেছো।চোখের নিচে কালি জমে গেছে "


প্রতিত্তোরে আমি কিছু বললাম না।উনি আমায় হতভম্ব করে দিয়ে শতশত লোকের সামনেই আমায় জড়িয়ে ধরে বললো


" আমি ভালো নেই।তুমি প্লিজ আমার কাছে চলে আসো।তোমায় ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হয়।বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছে করে একগুঁয়ে,রাগী হয়ে থাকি না।আমার স্বভাবটাই এরকম।তবুও কথা দিলাম এরপর থেকে তোমার জন্য নিজেকে চেঞ্জ করার চেষ্টা করবো।না পারলে তুমি গা"লে দুটো চ"র মে"রে দিও।তবুও চলে যেও না "


লোকটার মায়া ভরা কথাগুলো শুনে আমার চোখে জল চলে এলো।আর ডিভোর্স দেওয়ার সাহস হলো না।মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম 


" আমি থাকবো বোকা ছেলে।কোথাও যাবো না "

গল্প একাকিত্ব

লেখক জয়ন্ত কুমার জয়

  • কষ্টের কিছু কথা ভালোবাসার


(সম্ভব হলে প্রতিটি মেয়েকে গল্পটি পড়তে বলতাম)

 বিয়ের কেনাকাটা করতে এসে মেয়েটি বললো " কেনাকাটার বাজেট কত বলা যাবে?তাহলে সে হিসেবে কেনাকাটা করতাম "


মেয়েটির ছোট্ট একটা পরিক্ষা নিতে ইচ্ছে করলো।বললাম " বাজেটের কোনো সমস্যা নাই।মন মতো কিনুন "


মেয়েটি মুচকি হেসে বললো " আচ্ছা "


এরপর মেয়েটির সাথে ঘুরেফিরে কেনাকাটা করলাম। প্রয়োজনের চেয়ে একটি অতিরিক্ত জিনিসও উনি নিলেন না।আলতা কিনতে গিয়ে বললাম 


" আলতার কালারটা সুন্দর।বরং এক কাজ করুন, দুইটা নিন "


মেয়েটা ভ্রু কুঁচকে বললো " শুধু শুধু দুইটা কেনার কি দরকার?একটা দিয়েই তো এক বছর পার হয়ে যাবে "


বুঝতে চেয়েছিলাম মেয়েটার খরচের হাত কিরকম।বাজেট সমস্যা নেই শুনে উনি সবকিছু বেশি বেশি কিনেন কিনা সেটা পরিক্ষা করতে চেয়েছিলাম।পরিক্ষায় মেয়েটি স্টার মার্ক তুলে পাস করে গেলো।


পরম তৃপ্তির নিশ্বাস ফেললাম।চাঁদের টুকরো মেয়ে পেয়েছি।এই মেয়ে সংসার বুঝবে,স্বামীর ইনকাম অনুযায়ী খরচ করতে জানবে।বউ হিসেবে এমন মিতব্যয়ী মেয়েই তো সব ছেলের কল্পনায় থাকে।


গল্প পরিক্ষা 

লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়


শিক্ষামূলক গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post