না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প | না পাওয়া ভালোবাসা

না পাওয়ার কষ্টের স্ট্যাটাস

না পাওয়ার কষ্টের স্ট্যাটাস

 প্রায় বিশ বছর পর এক্স গার্লফ্রেন্ডের পাঠানো ম‍্যাসেজটায় রীতিমতো আঁতকে উঠলাম।


"আমার কাছ থেকে নেওয়া চারশ টাকা ধারের কথা কি মনে আছে রাশেদ? ওটা এখন সুদে আসলে ফেরত চাই?"


লিজাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। মেয়েটা যে হেয়ালি করে এ ম‍্যাসেজটা পাঠায় নি, এটা বেশ ভালো করে আমার জানা। তাইতো "ডাল মে কুচ কালা হ‍্যায়!" ভাবনায় ম‍্যাসেজটার আর রিপ্লাই দেই নি। তবে ম‍্যাসেজটা সারাদিনই মাথায় ঘুরলো। আর সেই সাথে দু দশক আগের লিজাকে নিয়ে কত শত স্মৃতি, অনেকদিন পর চোখের সামনে ভেসে এলো। মিশ্র অনুভূতি নিয়ে একটা দিন কাটালাম।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর গ্রাম থেকে আসা একদল "ক্ষ‍্যাত" ভর্তি হয়। প্রায় সিকি দশক আগে আমিও ঐ দলের একজন হিসেবে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হলাম। আত্রাইয়ের হাতে গোনা দু একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ‍্যে এই আমার কাছে ঢাকাকে মনে হল ভীষণ ব‍্যস্ততার এক শহর। আমার বাবা নিতান্তই সাধারণ কৃষক। কিছু ধানি জমি আছে, ও দিয়েই আমাদের চার ভাইবোনের পড়াশোনার খরচ কষ্টে সৃষ্টে চালিয়ে যাচ্ছেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে এস এম হলের গন রুমের অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার মধ‍্যেও সিলেটের বালাগঞ্জ থেকে আসা লিজা আমার জীবনে যেন এক পশলা সুখ হয়ে এলো। মেয়েটা প্রথম থেকেই আমার সাথে যেচে মিশতে শুরু করে, ওর উদ‍্যোগেই বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক তৈরীর চেষ্টায়। কিন্তু ঐ যে আমার মধ‍্যে গ্রাম‍্যতা আছে! ঐ টার জন‍্যই প্রথম দিকে একটা জড়তা কাজ করতো। তাছাড়া লিজার বলা সিলেটি কথাও আমার বুঝতে সমস্যা হয়। আর অবশ্যই নওগাঁর ভাষাও লিজার কাছে সহজ বোধ‍্য নয়। কিন্তু তারপরও ভালোবাসার ভাষা মনে হয় ঐ একটাই! তাইতো সব বাধা উপড়ে একটা সময় পর আস্তে আস্তে দুজনেই দুজনের কাছাকাছি চলে এলাম।


ফার্স্ট ইয়ারের শেষের দিকেই লিজার সাথে আমার প্রেম হয়ে গেল। আমার জীবন তখন থেকে শুধুই লিজাময়। রোকেয়া হল, কলা ভবন আর বিসিএসের প্রস্তুতির জন‍্য পাবলিক লাইব্রেরী। আর হলের এক বড় ভাইয়ের বদান‍্যতায় পাওয়া আজিমপুরের টিউশনি। অনার্স পরীক্ষা দেওয়ার পর পযর্ন্ত সব কিছু মিলে বেশ ভালোই চললো।


মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার পরপরই কোন এক দিন লিজা জানালো এক "লন্ডনি" পাত্রের সাথে তার বিয়ের কথা চলছে। ছেলে বার এট ল! লন্ডনে পাত্রের অনেক ভালো অবস্হা ইত‍্যাদি ইত‍্যাদি। আত্রাইয়ের এক গরীব কৃষকের ছেলে এই আমি তখনো ধার দেনায় কষ্টে সৃষ্টের জীবনে আছি। তাইতো লন্ডন বা ব‍্যারিস্টারদের গল্পে খুব একটা মনোযোগ দিতে পারি নি। লিজার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে, আমার দেওয়া ফিরতি রেসপন্সটায় লিজা যার পর নাই অবাক


"আমাকে চারশ টাকা ধার দিবে লিজা। হাতে একটা টাকাও নেই। বিসিএস এপ্লিকেশনের লাস্ট ডেট আগামীকাল। আর তুমিতো জানো কেউই এখন আমাকে আর টাকা ধার দিতে চায় না!"


প্রায় চার বছরের সম্পর্কে লিজা আমাকে খুব ভালো করে জানে, যেমনটি আমিও ওকে বুঝি। তাইতো আমার সাথে আর কথা না বাড়িয়ে চারশ টাকা হাতে ধরিয়ে মেয়েটা হন হন করে চলে গেল। হ‍্যাঁ, আমার জীবন থেকে একেবারে ফাইনালিই ওর এই চলে যাওয়া।


এরপর সময় দ্রুত চলে যায়। লিজা ব‍্যারিস্টার জামাইয়ের সাথে লন্ডনের সংসারে থিতু হওয়ার চেষ্টায়। আর ছ‍্যাকা খাওয়া এই আমি দিন রাত বিসিএসের পড়াশোনায় ব‍্যস্ত হয়ে গেলাম। ফলশ্রুতিতে, এক সময় আত্রাইয়ের এক গরীব কৃষকের ছেলে সরকারের প্রশাসনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেলো। রাশেদ এখন ম‍্যাজিস্ট্রেট, এই খবরটা মনে হয় বন্ধুদের মাধ‍্যমে লিজাও জেনে যায়। তবে আমি নিজে থেকে আর কখনোই লিজার সাথে যোগাযোগ করিনি। শেষ হয়ে যাওয়া সম্পর্ক নিয়ে ঘাটাঘাটি করে কি ই বা লাভ! তার উপর স্বামী বাচ্চা নিয়ে লিজার ভর সংসার!


এডমিনে জয়েন করার দু বছরের মাথায় এক কলিগের ঘটকালিতে নিপার সাথে আমার বিয়ে হল। ঢাকার একটা বেসরকারি কলেজে সদ‍্য শিক্ষকতায় যোগ দেওয়া নিপা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ছিল। তারপর আর আট দশটা সেটেলড ম‍্যারেজের মতোই আমাদের দুজনের মানিয়ে নেওয়ার জীবন, রোমান্স ভালোবাসাটাও যতোটুকু সম্ভব করে যাওয়া। তবে চাকুরী জীবনের প্রথম এক যুগ আমার মাঠ পর্যায়ে পোস্টিং থাকাতে, নিপার সাথে ঠিক সেভাবে সংসারটা করা হয়ে উঠেনি। ব‍্যস্ততার জন‍্য ঢাকার বাসায় প্রতি সপ্তাহে আসাটা আমার জন‍্য দুরূহেরই ছিল।


আমাদের সংসারে এখন দুটো মেয়ে, সত‍্যই ব্লেসিংস। বড় মেয়েটা ক্লাস টেনে আর ছোটটা ক্লাস সিক্সে পড়ছে। এদের দুজনের দেখভাল আর সেই সঙ্গে সংসারটাকে কিন্তু নিপা এক হাতেই টেনে নিচ্ছে। আর এ জন‍্যই আমি তার প্রতি ভয়ানক রকম কৃতজ্ঞতায়। যদিও অজানা এক কারণে তা প্রকাশ করি না। আর নিপারও সম্ভবত আমার প্রতি বড় ধরনের কমপ্লেইন নেই। 


আমাদের মধ‍্যে গদগদ প্রেম ভালোবাসা না থাকলেও, সুযোগ পেলে বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়ে আসা, স্বাভাবিক রতিক্রিয়া কিংবা সংসার চালানোয় অবাধ স্বাধীনতাটা নিয়েই নিপা অনেক খুশি। আমি অবশ‍্য সংসারে কখনোই তেমনভাবে নাক গলাই না। ধরেই নিয়েছি ওটা নিপার ডিপার্টমেন্ট।


তবে মধ‍্য চল্লিশে এসেই আমার হাই ব্লাড প্রেসার কিংবা ডায়বেটিকসের সমস্যা ধরা পড়ায়, শারীরিক ভাবে একটু বেকায়দায় আছি। তাছাড়া চাকুরীতেও নানান প্রবলেম। এই যেমন পাবনায় পোস্টেড থাকা অবস্থায় স্হানীয় এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের রোষানলে পড়ে আমার চাকুরী যায় যায় অবস্হা হয়েছিলো। ওদের উষ্কানীতে পত্রিকায় বা মিডিয়াতেও নেগেটিভ রিপোর্টিং হয়। এরপর থেকেই মন্ত্রণালয়ের অপেক্ষাকৃত অগুরত্বপূর্ণ একটা পদে আছি। কিন্তু তারপরও সব মিলিয়ে আমি কিন্তু একেবারে খারাপ নেই।


সংসার জীবনের এই মধ‍্য গগনে এসে এক্স গার্লফ্রেন্ডের হঠাৎ পাওয়া এই মেসেজটা কিন্তু আমাকে মোটেও আলোড়িত করলো না। বিশ বছর আগে এক পক্ষের সিদ্ধান্তে চুকে যাওয়া সম্পর্কে, চারশ টাকা নেওয়া ধার শোধের দাবিটা আমার কাছে একটা বাহানা বলেই মনে হল। একবার ভাবলাম, স্ত্রী নিপার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো। তবে পরক্ষণেই চিন্তাটা বাদ দিলাম, অহেতুক স্ত্রীর হাতে একটা অস্ত্র তুলে দেওয়ার মানে খুঁজে পেলাম না। তাইতো সারা দিন ম‍্যাসেজটার উত্তর না দিলেও, সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে এক্সকে কাঁপা কাঁপা হাতে রিপ্লাই দিলাম "চারশ টাকা সুদে আসলে এখন কত চাও?"


"চার লক্ষ টাকা!" সাথে সাথেই দেওয়া লিজার এই উত্তরটায় মনে হলো, ফোন হাতে সারাদিন যেন আমার মেসেজটার উত্তরের অপেক্ষায় ছিল।


"হেয়ালি ছাড়ো! বলো কেমন আছো?" আমি টাকার প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাইলাম।


মুহূর্তেই লিজার উত্তর "আমার চারশ টাকা না পেলে কখনোই তোমার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া হতো না আর নাহলে তুমি আজকের এই অবস্হানেও আসতে পারতে না। তাইতো সেদিনের চারশ আজ চার লক্ষ কেনো চল্লিশ লক্ষ টাকা হওয়া উচিৎ। আর তোমার প্রশ্নের উত্তরে বলছি আমি মোটেও ভালো নেই। এখন ঢাকায় আছি, টাকাটা আমার খুব সত্বর প্রয়োজন। পাঠানোর ব‍্যবস্হা করো।"


ম‍্যাসেজ চালাচালির এই পর্যায়ে এসে বুঝলাম, লিজা সত‍্যই ভালো নেই। এরপর ফিরতি ফোন দিতেই অনেক দিন পর ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির সেই কন্ঠ শুনে আমি আপ্লুত। খানিকটা নস্টালজিক হয়ে উঠলেও নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলাম না। কথা বলার ইচ্ছাটা জাগলো। আমার জীবনের প্রথম প্রেম, প্রথম চুমু আর প্রথম পাওয়া উঞ্চতাকেতো আর এড়ানো যায় না। তবে লিজা আমাকে এক সময় চরম অপমান করেছিল, বিনা কারণে ছ‍্যাকা দিয়েছে এ কথাটা কিন্তু এক মুহূর্তের জন‍্যও ভুলি নি।


প্রায় আধ ঘন্টার আলাপচারিতা শেষে মনটা ভীষন খারাপ হলো। লিজার স্বামী মারা গেছে, বছর দুয়েক আগে। ওর আঠারো বছরের ছেলেটা লন্ডনে পুলিশী মামলায় এখন জেলে, মাদক সংক্রান্ত ঝামেলায়। ষোল বছর বয়সী মেয়েটারও না কি এক ক‍্যারেবিয়ান বয়ফ্রেন্ড। মেয়েটাও উচ্ছন্নে। 


লিজা নিজে ভালো কিছু করে না বলেই বাধ‍্য হয়ে তাদের বড় বাড়িটা বিক্রি করে ইস্ট লন্ডনে একটা ছোট ফ্ল‍্যাট কিনেছে। ওর ব‍্যারিস্টার স্বামী অনেকদিন আগে ঢাকার উত্তরায় একটি জমি কিনেছিল, সেই জমিটাও এখন অবৈধ দখলদারদের হাতে। লন্ডনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকতে হলে, উত্তরার জমিটা ওর বিক্রি করা দরকার। কিন্তু কিছুতেই দখলদারদের সাথে ও পেরে উঠছে না। উল্টো এবার নাকি জীবন নাশের হুমকিও পেয়েছে। কথাগুলো বলেই লিজার এক টানা কান্না, আমি কিছু না বলেই ভীষণ মন খারাপ করা অনুভূতি নিয়ে ফোনটা রেখে দিলাম।


আজ বাসায় ফিরতেই আমার স্ত্রী নিপাকে নতুনভাবে আবিস্কার করলাম। আমার মেয়ে দুটোও কি লক্ষ্মী! এখনো বাবা মায়ের ন‍্যাওটা। আমার সারাদিনের ক্লান্তি এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যায়, মেয়েদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসায়। আর নিপা সংসার চাকুরী ঠেলেও, বাসায় ফিরে আমি যাতে সবকিছু হাতের নাগালে পাই। সবসময়ই সেই ব‍্যবস্হা করে রাখে। এ নিয়ম চলছে বছরের পর বছর। 


অথচ আমি শেষ কবে নিপার খোঁজ নিয়েছি মনে করতে পারি না। ওর মন ভালো না খারাপ সেটা বোঝারও তোয়াক্কা করি না। তাইতো আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই আমার বলা "নিপা তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।" উত্তরে নিপার শুধুই অবাক দৃষ্টি।


পরদিন সকালে লিজাকে ফোন করলাম। ওর কাছ থেকে নেওয়া চারশ টাকা ধার শোধ দেওয়ার অভিপ্রায়ে। লিজা আমার সাথে একবার দেখা করতে চায়, কিন্তু আমার মন এতে সায় দেয় না। এর মূল কারণ লিজাকে একসময় আমি ভীষণ ভালোবাসতাম। তাইতো দেখা করার সাহসটা পাই না! আমার মেয়ে দুটো আর বউয়ের নিষ্পাপ মুখ বারবার ভেসে উঠে। অযথাই জীবনটাকে জটিল করার কোন মানে খুঁজে পাই না।


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ডিবি আমার হল জীবনের রুমমেট সালাম। সালামকে ফোন করে লিজার সমস্যার কথা বললাম। উত্তরার স্হানীয় কমিশনারও আমার পূর্ব পরিচিত, তাকেও বিষয়টি জানালাম। কমিশনারের মাধ‍্যমে স্হানীয় এমপি সাহেবও বিষয়টি অবগত হলেন। অনেক ঝামেলা ঝক্কি পেরিয়ে মাত্র দু সপ্তাহের মধ‍্যেই সালাম লিজাকে জমিটা বুঝিয়ে দিল।


জমি ফিরে পাওয়া ভীষণ কৃতজ্ঞ লিজা আবারো আমার সাথে দেখা করতে চায়। জমিটার দখল বুঝে পেয়েছে, এতেই আমি অনেক খুশি। ভালোবাসা প্রত‍্যাখান করা প্রাক্তনের সাথে দেখা করার আগ্রহ কিছুতেই আর পেলাম না। তাইতো হেয়ালি করে এক সময়ের ভীষণ ভালো লাগার ঐ মানুষটিকে প্রশ্ন করলাম "চারশ টাকা ধার কি এখন শোধ হয়েছে?" প্রত‍্যুত্তরে লিজার রিনিঝিনি সেই হাসিটাও আমাকে আজ প্রলুব্ধ করতে পারে নি। থাক না অতীত অতীতেই!


অফিস থেকে ফেরার পথে অনেকদিন পর আজ শপিং মলে ঢুকলাম। নিপার প্রিয় জামদানি শাড়ি নিলাম, নীল রঙয়ের। মেয়ে দুটোর জন‍্যও ম‍্যাচ করা দুটো জামা কিনলাম। শপিং মল থেকে বের হবার মুখেই দেখলাম এক মহিলা কাঁচের চুড়ি বিক্রি করছে। নিপার পছন্দের চুড়িগুলো নিয়ে বাসায় ফিরতেই আজ সবাই অবাক। নিপা মুখে কিছু না বললেও ওর চোখে মুখে খুশির আনন্দ। পুরো বাসাটাতেই আজ ভালোবাসার আমেজ। 


অনেক দিন পর আমার নিজের মধ‍্যেও অনেক ভালো লাগার অনুভূতি। প্রায় দু দশক আগের মিথ‍্যে ভালোবাসা আমাকে আজ সত‍্যিকারের ভালোবাসাটাকে মনে করিয়ে দেওয়াতেই। বাচ্চা দুটো আর বিশেষ করে বউকে উপেক্ষা করার দায় অনুভব করলাম। আমার ভালোবাসার মানুষগুলো নিঃস্বার্থভাবে আমাকে প্রতিনিয়ত ভালোবেসে যাচ্ছে, এই উপলব্ধিটায় নিজেকে ভীষণ ভাগ‍্যবান বলে মনে হলো। সত‍্যই সবার কপালে সুখ লেখা থাকে না। 


                                 (শেষ।)


-ধার_ও_শোধ!

-লেখনিতে_ইমাম_হোসেন


মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post