সত্যিকারের ভালোবাসা নিয়ে স্ট্যাটাস
--অন্ধ মেয়েকে বিয়ে করবেন আপনি।
--কেনো অন্ধরা কি মানুষ না। ওদের কি ভালোবাসতে মন চায়না বলো।
--হুমমম চায় কিন্তু অন্ধরা তো কোন কাজেই আসেনা।
--এতো কিছু বলতে পারবোনা তোমাকে। শুধুমাত্র একটি কথাই বলে চাই ইতি তোমাকে আমি ভালোবাসি। তোমার সঙ্গে থাকতে চাই।
ইতি : মি. হাসিব আবেগ দিয়ে ভালোবাসা হয়না।
হাসিব : আবেগ দিয়ে বলতেছি না। সত্যি তোমাকে আমার চাই বউ হাসিবে।
ইতি : আমি বলি কি আপনি সুন্দর একটি মেয়ে দেখে বিয়ে করুন। কারন সেই মেয়েটি ভাত রান্না করে খাওয়াবে, আপনার পোশাক ধুয়ে দিবে। আপনার সেবা যত্ন করবে।
হাসিব : শোন আমি নিজের কাজ নিজেই করতে পারি। আমার দরকার নেই রান্না বান্না করার আমার দরকার নেই পোষাক ধোয়ার! আমার শুধুমাত্র দরকার তোমাকে।
ইতি : আপনি কি পাগল নাকি।
হাসিব : হুমমম আমি তোমার জন্যে পাগল।
ইতি : আপনার সঙ্গে কথায় পারবোনা।
হাসিব : তোমার বাবা মায়ের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কালকে আমাদের বিয়ে।
ইতি : আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি।
হাসিব : একটা কেনো হাজারটা করো। সব কিছুর উত্তর দিবো।
ইতি : আপনার পরিবারের মানুষ আমাকে মেনে নিবেতো।
হাসিব : আমার পরিবারে আমি ছারা কেউ নাই।
ইতি : ওহ। আচ্ছা আপনি দেখতে কেমন সেটা তো বললেন না?
হাসিব : আমি দেখতে সুন্দর না তোমার মতো। আমি দেখতে কালো।
ইতি : শুনেছি কালো মানুষেরা অনেক ভালো হয়। সেটা আপনার সঙ্গে কথা বলেই বুঝলাম।
হাসিব : তাইইই।
ইতি : হুমম।
হাসিব : আচ্ছা শোন কাল আসবো আবার তোমার বাসায় বর সেজে এই পযর্ন্ত ভালো থেকো।
ইতি : ঠিক আছে আমি বউ সেজে অপেক্ষায় থাকো।
"এই পযর্ন্ত সেই দিন হাসিব ও ইতির কথা হয়।
" পরের দিন হাসিব বর সেজে বিয়ে করতে চলে আসে ইতির বাসায়। তো বিয়ের কাজ শেষ করে হাসিব ইতিকে নিয়ে নিজের বাসায় চলে আসে।
ইতি : আচ্ছা স্বামী আমাকে কেমন দেখাচ্ছে।
হাসিব : তোমাকে রাজ রাণীর মতো লাগতেছে। আর আমাকে রাজ কুমারের মতো।
ইতি : ইশশ যদি আমি দেখতে পাইতাম কতো ভালো লাগতো আমার।
হাসিব : চিন্তা করিওনা ইনশাআল্লাহ তোমার চোখ একদিন আমি ঠিক করবো।
ইতি : তাইইই।
হাসিব : হুমমম।
ইতি : আমার চোখ দরকার নাই তুমি পাশে থাকলেই হবে স্বামী।
হাসিব : তোমাকে কথা দিচ্ছি মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত তোমার হাতটি ছারবোনা আমি।
"হাসিবের এমন কথায় ইতি কান্না করে ফেলে। আসলেই ভালোবাসা দেহ বা সুন্দর্য দেখে হয়না। একটি ভালোবাসার মতো মন থাকলেই যথেষ্ট।
অনু_গল্প :
অন্ধ_বউ
মি_হাসিব
সত্যিকারের ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা
--বিয়ের ৩ মাসের মাথায় আমার স্বামী রোড এক্সিডেন্ট করে। যার কারনে ওর দুটি পায়েই কেটে ফেলতে হয়।
--তাই আমাদের ডিভোর্সের কথা উঠে একদিন।
--শোন রুপন্তি তুমি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নাও।
রুপন্তি : হঠাৎ এই ডিভোর্সের কথা উঠলো কেনো হাসিব আমি কি জানতে পারি।
হাসিব : আমি একটা পঙ্গু মানুষ। না পারবো তোমার খাওয়াতে না পারবো ভালো পোশাক পরাতে।
রুপন্তি : তোমার মনে আছে বাসর ঘরের কথাটি। দুজন দুজনে কথা দিয়েছিলাম যতোই ঝর আসুক কখনো হাত ছারবো না দুজনের।
হাসিব : আরে পাগলি ওটা কথার কথা। দেখো আমাদের বিয়ের মাত্র ৩ মাস হয়েছে। কোন বাচ্চা ও হয়নি। আমি চাই তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখের সংসার করো।
রুপন্তি : কশে একটি থাপ্পড় দিবো তোমাকে। যদি আর একবার এই কথা বলো।
হাসিব : আরে পাগলি তোমার পুরা ভবিষ্যৎ পরে আছে এখনো। এই পঙ্গুর সঙ্গে থাকার দরকার নেই।
"এই কথা শুনে রুপন্তি বেশ রাগান্বিত হয়ে বলে "
রুপন্তি : কেনো জানি আমার মনে হচ্ছে। এইসব তোমাকে কেউ বলে বলেছে আমাকে। সত্যি করে বলো কে বলছে এই কথা গুলা আমাকে বলতে।
হাসিব : কেউউউ না।
রুপন্তি : সত্যি বলবা নাকি আমি....?
"রুপন্তির রাগের মাত্রা বেরে যাওয়ার করনে হাসিব সত্যি টা বলে দেয়"
হাসিব : আসলে রুপন্তি তোমার মা আমাকে ফোন দিয়ে অনেক কথা বলছে। আমি যেনো তোমাকে ডিভোর্স দেই। আমার সঙ্গে থাকলে তোমার ভবিষ্যৎ খারাপ হবে এই সব।
"হাসিবের কথাটি শেষ হওয়ার আগেই রুপন্তি ওর মাকে ফোন দিয়ে বলতে থাকে "
রুপন্তি : হ্যালো মা..আর যদি কখনো আমার সংসার ভাঙ্গার জন্যে আমার স্বামী কে এই সব কথা বলো তাহলে আমি আইনের ব্যবস্থা নিবো। তখন বুঝবোনা তোমরা আমার পরিবার। কথাটি মাথায় রাখিও।
--তাই বলে একটা পঙ্গুর সঙ্গে চিরকাল থাকবি নাকি হ্যা (রুপন্তির মা)
রুপন্তি : সে পঙ্গু হলেও আমার স্বামী বুঝছো। হ্যা আমি চিরকাল থাকবো এই পঙ্গুর পাশে। ফোন রাখো আর কখনো আমাকে ফোন দিবানা।
হাসিব : এইই পাগলি মায়ের সঙ্গে কেউ এইভাবে কথা বলে। মাতো সত্যি বলছে সব।
রুপন্তি : চুপ তুইও একদম চুপ করে থাক। তুই বুজিসনা তোকে কতোটা ভালোবাসি আমি।
হাসিব : হুমম বুঝি।
রুপন্তি : তাহলে এই বলিশ কেনো।
হাসিব : আচ্ছা সরি আর কখনো বলবোনা.
I love you💘
রুপন্তি : I love you to আমার পাগল☺
"যে থাকার সে হাজারো সমস্যার মাঝে হাতটি শক্ত করে ধরে থাকবে। আর যে থাকবেনা সে একটু অজুহাতেই চলে যাবে।
অনু_গল্প :
রুপন্তির_ভালোবাসা_
মি_হাসিব