- মেয়েদের নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস
পি"রিয়ড চলাকালীন সময়ে নিচের চারটি কাজ অবশ্যই বর্জন করুন(লজ্জা নয়,বাঁচতে হলে জানতে হবে )
১।পি"রিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠান্ডা জল, কোমল পানীয় এবং নারিকেল খাবেন না।
২।এইসময় মাথায় শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন না। কারণ এই সময় চুলের গোড়া আলগা হয় ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।শ্যাম্পু ব্যবহার এসময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
৩। এইসময় শশা খাবেন না। কারণ শশার মধ্যে থাকারস পি"রিয়ডের র"ক্তকে জ"রায়ু প্রাচীরে আটকে দিতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪। এছাড়াও লক্ষ্য রাখবেন, পি"রিয়ডের সময় যেন শরীরে শক্ত কিছুর আ"ঘাত না লাগে, বিশেষত পে"টে। পি"রিয়ডের সময়টায় জ"রায়ু খুব নাজুক থাকে ফলে অল্প আঘাতেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে জ"রায়ু ক্যান্সার, জ"রায়ুতে ঘাঁ কিংবা ব"ন্ধ্যাত্যের ঝুঁকি থাকে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পি"রিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠান্ডা জল পান করার ফলে পি"রিয়ডের র"ক্ত বের না হয়ে জ"রায়ু প্রাচীরে জমাট বাঁধতে পারে। যা পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জ"রায়ু টিউমার বা ক্যা"ন্সারের আকার ধারণ করতে পারে। তাই কুসুম কুসুম গরম জল খাবেন।
এই তথ্যটুকু আপনার স্ত্রী, মা, বোন, কন্যা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পোস্টটা নিজের টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে রাখতে পারেন। আপনার মাধ্যমে যদি একজন নারীও উপকৃত হয় সেটাও পরম পাওয়া।
জ'রায়ু ক্যা'ন্সার ও ব'ন্ধ্যান্ত মুক্ত হোক আমাদের মা, বোনেরা।
জয়ন্ত_কুমার_জয়
- মেয়েদের নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস
খাবারের প্লেট মেঝেতে আছাড় মে'রে স্বামী বললো " এসব কি রান্না করছো?কোনো স্বাদ নাই, লবণে পুড়ে গেছে "
ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে বললাম " আমি আসলে অতো ভালো রান্না পারিনা। একটু সময় দিন, ঠিক শিখে যাবো!"
স্বামী না খেয়ে উঠে চলে গেলেন।বিকেলে অফিস থেকে এসে ওয়াসরুমে গিয়ে চেঁচিয়ো উঠলেন
" নুশু,এই নুশু "
হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেলাম।বললাম " হ্যা বলুন? "
" ফ্লোরে এই জামাকাপড় পড়ে আছে কেন? "
আমতা আমতা করে বললাম " স্নান করার পর ঠান্ডা লেগেছিল খুব।পরে ছাঁদে শুকাতে দিবো ভেবেছিলাম। ভুলে গেছি।আমি নিয়ে যাচ্ছি কাপড়গুলা "
দ্রুত কাপড়গুলা বালতিতে ভরে নিলাম।স্বামী বললো
" সকালে তুমি একাই স্নান করো নাকি? আমি করি না? আমার ঠান্ডা লাগে না? "
রাতে খেতে বসে শ্বশুরমশাই আমার স্বামীকে বললেন " তুমি দেখি বউমার সাথে সবসময় রাগারাগি করো, ব্যাপার কি? "
স্বামী নির্লিপ্ত স্বরে বললো " ভুল করলে কথা শুনতে হবেই "
" এটা কেমন কথা? মানুষের কি ভুল হয় না?ও তো সব শিখে আসেনি,ভালোভাবে বললেও তো হয় "
স্বামী গম্ভীর স্বরে বললেন " ওর পরিবার আমার যোগ্যতায় তো এতটুকুও ছাড় দেয়নি।ভালো স্যালারি,বাড়ি,লম্বা,ফর্সা এসব দেখে তবেই তো মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছে।তাহলে আমি কেন ছাড় দিবো?ওনারা তো বুঝেননি একটা মানুষ সবদিক দিয়ে পারফেক্ট নাও হতে পারে "
লোকটার ব্যবহারে এতোদিন আমার ভিষণ রাগ,অভিমান,কষ্ট হতো।কিন্তু কথাগুলো শুনে মনে হতে লাগলো উনি তো ঠিকই বলেছেন।বিয়েতে ছেলের স্যালারি,যোগ্যতা দেখে তবেই তো পছন্দ করা হয়।যোগ্য ছেলে হয়ে কেন অপটু মেয়েকে সহ্য করবে?
রাতে শুতে গিয়ে স্বামী আমায় জ"ড়িয়ে ধরে বললো " শোনো বউ,তোমায় বিষয়টা বোঝানোর জন্য এতোদিন রাগারাগি করেছিলাম "
" আমাকে বুঝিয়ে কি লাভ? "
" ভবিষ্যতে আমাদের মেয়ের জন্যও তো ছেলে খুঁজতে হবে,তাই না?তখন কাজে লাগবে।সবদিক থেকে যোগ্যতা না খুঁজে আগে দেখবে ছেলেটা সৎ কিনা "
গল্প: শিক্ষা
লেখক: জয়ন্ত_কুমার_জয়
- মেয়েদের নিয়ে উক্তি
মেয়ে দেখতে এসে ছেলের কাকা বললো " এবার কাজের কথায় আসি,ছেলেকে কি কি দিবেন? "
মেয়ের বাবার মুখ সংকুচিত হয়ে গেলো।মেয়ের জামাইবাবু বললো
" আপনাদের কি কোনো দাবি আছে? "
ছেলের কাকা বললো " বেশি কিছু না।মেয়ের হাত,কান,গ"লা সাজিয়ে দিবেন আর ছেলেকে চার চাকা দিয়েন।ছেলের বড় চাকরি,যে সে গাড়ি তার সাথে যায় না "
মেয়ের জামাইবাবু বললো " ছেলের এতো বড় চাকরি,এতো মান সম্মান তাহলে মেয়ের বাড়িতে ভিক্ষা করে গাড়ি নিতে হবে কেন? "
কথাটা বলে জামাইবাবু হাসলো।কথাটা ওনাদের যথেষ্ট গা"য়ে লাগলো।ছেলের বাবা যথেষ্ট ভরকে গিয়ে মেয়ের বাবাকে বললো
" বেয়াই মশাই আপনি বলুন,মেয়ের সাথে কি কি দিবেন? "
মেয়ের বাবা সুক্ষ্ম হেসে বললো " মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছি।হাত,কাল,গ"লা যথেষ্ট সাজিয়েই পাঠাবো,এটা বলার মতো কোনো কথা না।আর হ্যা, মেয়ের জন্য আমার যথেষ্ট টাকা জমা রাখা আছে।আপনারা চেয়ে সেটা হারালেন।না চাইলে যা চেয়েছিলেন তার থেকে বেশিই পেতেন "
ছেলের বাবা বিনীত ভঙ্গিতে বললো " আহা,আপনি চটে যাচ্ছেন কেন? টুকটাক আলাপ তো হবেই বিয়েতে।মেয়ের সাথে যা দিবেন তাই নিবো,সমস্যা নাই "
মেয়ের বাবা উঠে দাড়িয়ে গম্ভীর স্বরে বললো
" মেয়ে তো দিবোই না।পারলে যা খাওয়াইসি সেটাও বেড় করে নিতাম।আমার মেয়ে ফেলনা না,যে উপঢৌকন দিয়ে বিয়ে দিতে হবে "
গল্প: পণ
লেখক: জয়ন্ত_কুমার_জয়