ভালোবাসার নামে নষ্টামির শাস্তি | প্রেম ভালোবাসা কি

প্রেম ভালোবাসার গল্প

প্রেম ভালোবাসার গল্প

 -জানু একটা জিনিস চাইবো তোমার কাছে(সিয়াম)

-কি জিনিস(মেয়েটি)

-না করবানা তো

-দেওয়া সম্ভব হলে দিবো না হলে না।বলো

-রুম ডে*ট করতে চাই আমি।না করবা না কিন্তু

-আমার পক্ষে এসব সম্ভব না সিয়াম

-না আমার এটা চাইই চাই।কত ছে*লে কতবার রুমডে*ট করে আর আমি তো শুধু একবারেই চাইছি এসব করতে।

-বলছি তো পাবোনা আমি।অন্যসব মেয়েদের মতো আমি না যে তোমার ২ টা মিষ্টি মিষ্টি কথায় নিজেকে তোমার বি*ছানায় বিলিয়ে দেবো।এসব আর চাইবা না কখনো।অন্য যা চাও দিবো

-তোমার বু*কের ছবি দিবা তাহলে

-কেনো বারবার এসব বলে পবিত্র সম্পর্ক টাকে নোং*রা করছো।আমি এসব দিতে পাবোনা।যা ইচ্ছা করো।বিয়ের পর করিও এসব(মেয়েটি)

-ধ্যাত আজ থেকে আমাদের সব সম্পর্ক এখানেই শেষ।তুমি আর আমাক মেসেজ করবানা।(সিয়াম)

-তুমি কেন এমন করতেছো বলোতো(মেয়েটি)

-কেন এমন করবোনা বলোতো।আমার কি ইচ্ছা করেনা কারো বু*কেরর মাঝে হারিয়ে যেতে।একান্তে কারো সাথে কিছুটা সময় কাটাতে।আমার ফ্রেন্ডরা প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে ডে*টে যায় আর তুমি।একবার যেতে চাইছি সেটাই পারো না।তাহলে কি ভালোবাসো আমাকে।লাগবেনা তোমার এরকম ভালোবাসা।ভালো থেকো আর কখনো ফোন দিবানা আমায়

বলেই সিয়াম ফোনটা কেটে দিলো।এতক্ষন সে তার গার্লফ্রেন্ড সাদিয়ার সাথে কথা বলতেছিলো।

আগে ভালোই ছিলো তাদের সম্পর্ক রাগ কিন্তু কিছুদিন থেকে সিয়াম পাল্টে গেছে একটু না অনেক টুকুই।কথায় কথায় ওসব বলে।

-দোস্ত এবারের গার্লফ্রেন্ডটা সেই সে*ক্সিরে।কিন্তু কোনো মতেই নিজের করে নিতে পারছিনা।কিসের এতো অহংকার ওর আমি সেটাই দেখবো।একদিন শুধু কাছে পাই।সেদিন ভিডিও করে আজীবন রুম ডে*ট করেই যাব।(সিয়াম)

-সিয়াম এখনো সময় আছে বন্ধু ভালো হয়ে যা(বিপুল)

-আরে তুই কি যে বলিস আমি খা*রাপ নাকি।শোন বর্তমান সত্যিকারের ভালোবাসার দাম কেউ ই দেয়না।তাই সত্যি ভালোবেসে কোনো লাভ নেই।আগের ৩ জনের সাথে যা করেছি সাদিয়ার সাথেই তাই করবো।

-এসব নিয়ে আমার সামনে আর কখনো কথা বলবিনা।যদি এসব বলিস তো আমি ভুলে যাব যে তুই আমার বন্ধু(বিপুল)

-ওকে ওকে ম্যান কুল।(সিয়াম)

-একদিন বুঝবি তুই কত বড় ভুল করতেছিস।সেদিন ভুল শুধরানোর সময় টুকুও পাবিনা মনে রাখিস(বিপুল)

-হয়েছে হয়েছে সেদিন দেখা যাবে। (সিয়াম)

এদিকে সাদিয়ার সাথে সারাদিনে কোনো কথা হয়নি সিয়ামের। সাদিয়া অস্থির হয়ে আছে।একটু ফোনের শব্দ হলেই দৌড়ে ফোনের কাছে চলে যায় কিন্তু বারবার হতাস হয়ে ফেরে।

সাদিয়া আর থাকতে না পেরে নিজেই মেসেজ দেয় 

-সিয়াম আমি রাজি তোমার কথায়

-আমি জানি আমার জানু রাজি হবে।হুদাই এতক্ষন কষ্ট দিলা আমাকে।এসবের কোনো মানে হয় সাদিয়া।

-হুম সরি।কোথায় যেতে হবে আমাকে

-আমি একটু পর মেসেজ করে সব জানাচ্ছি কাল সকালে চলে আসিও

-ইয়েস ইয়েস দোস্ত এটাকেও বে*ডে আনার ব্যাবস্থা করে ফেলেছি

-তোকে বলছিনা আমার সামনে এসব না বলতে(বিপুল)

-সরি দোস্ত।কাল কথা হবে বাই।(সিয়াম)

পরের দিন বিপুল সহ আরো ৩ বন্ধু বান্ধবি মিলে আড্ডা দিচ্ছে

-দোস্ত সিয়াম টা কি থেকে কি হয়ে গেলো।আজ আমার রুমের চাবি নিছে।কোন মেয়েকে নাকি আনবে।(সাকিল)

-একদিন এই ভুল গুলো বুঝতে পাবে কিন্তু শুধরানোর সময় থাকবেনা তার হাতে।(বিপুল)

-দোস্ত আমার বয়ফ্রেন্ড টাও কয়দিন থেকে রুম ডে*ট রুম ডে*ট করে মাথা খাচ্ছে।কি করবো বুঝতেছিনা।আগের মতো কথাও বলতেছেনা সে।(নিরা)

-ভুলেও এই ফাদে পা দিবিনা দোস্ত।আর আমি মনে করি এসবের জন্য তোরাই দায়ি।একটা ছে*লে কখনো সরাসরি রুম ডে*ট করার রুম ডে*ট করার কথা বলার সাহস পাবেনা।এই সাহস দিয়েছিস তোরা।রাতে বু*কে না নিলে নাকি ঘুম ই আসেনা।এত ঢং আসে কোথা থেকে।তারপর কি*স দাও এখানে দাও ওখানে দাও আরো কতো কি।তারপর বয়ফ্রেন্ড যখন পিক চায় তখন দেখিস যে কোন ছবিতে তোর বু*কটা সুন্দর ফুটে উঠে শ*রীরটা সুন্দর দেখা যায়।এরকম করেই আস্তে আস্তে হ*ট পিক নেওয়া সে*ক্স সম্পর্কে কথা বলা।মেসেজে আরো কতো কি হয়।আর একপর্যায়ে বয়ফ্রেন্ড রুম ডে*ট করার কথা বলে।কেন কিস করতে হবে বু*কে নিয়ে ঘুমাতে হবে।কোনোদিন কি তোর মায়ের দেওয়া কি*স নিয়ে ঘুমাতে যাস।আসল ভালোবাসা কি*স করা বু*কে নেওয়া এসবের মধ্যে।ভালোবাসা থাকলে একটু কথাতেই ভালোবাসা ফুটে ওঠে এর জন্য কারো বে*ডে যাওয়া লাগেনা।সেদিন যদি প্রতিবাদ করতি তাহলে তোর বয়ফ্রেন্ড এসব করা তো দুরের কথা বলার সাহস টাই পেতো না।পড়ন্ত বিকেলে বয়ফ্রেন্ডের সাথে হাটছিস কখনো নদীর পাড়ে।একসাথে হেটে দেখিস কিরকম অনুভূতি লাগে।বয়ফ্রেন্ড একবেলা না খেলে যত রাগ করা অভিমান করা শুরু করে দেস।আরো কতো ঠংএর কথা তুমি না খেলে আমি খাবনা।আরো কতো কি।অথচ এক বেলা নামাজ না পরলে তোদের কিছু যায় আসেনা।পারলে এ রাগটা নামাজের জন্য দেখা ভালো হবে।তারপর বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড এর সাথে রাগ করে সারাদিন না খেয়ে থাকিস আর অন্যদিকে তোদের মা টা মনে করে তরকারিটা বা ভাত টা হয়তো খা*রাপ লাগছে তাই রাগ করে খায়নি।তখন শত অভাব থাকলে তোদের বাবাকে ফোন দিয়ে ভালো খাবার আনিও তো ছেলেটা বা মেয়েটা এসব আর কতো খাবে।আমরা বড় আমরা সহ্য করে খেতে পারি কিন্তু তারা তো ছোট।তখন তোদের বাবাটা আস্তে করে হ্যা বলে ফোনটা রেখে দেয়।আর তোরা তাদের কথা না ভেবে ভালোবাসার মানুষের কথা ভাবিস।হায়রে ভালোবাসা আজ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে।অনেক কিছু বললাম ক্ষমা করে দেস।আজ আসিরে কাল দেখা হবে।

একটু পর সাদিয়া সাজিদের দেওয়া ঠিকানায় চলে যায়।ওখানে গিয়ে সাজিদ কে ফোন দেয়

-হ্যালো,কোথায় তুমি(সাদিয়া)

-এসো গেছো সোনা

-হুম

-১ মিনিট ওয়েট করো আসতেছি আমি।

-ওকে তারাতাড়ি আসো।সন্ধ্যার আগে বাসা ফিরতে হবে।

-ভিতরে আসো।(সিয়াম)

-হুম।তোমার জন্য একটা ঔষধ নিয়ে এসেছি জানু।এটা খেলে তুমি আরো শক্তি পাবে(সাদিয়া)

-তাই নাকি।তুমি দেখছি আমার থেকে একধাপ এগিয়ে।(সিয়াম)

-তো কি করবো।একটা বারেই তো তাও যদি ভালোমতো না পাও তাহলে কি ভালো লাগবে বলো।

-থ্যাংকস সোনা।দাও খাইয়ে দাও(সিয়াম)

ঔষধ টা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর সিয়ামের মাথা ঘোরা শুরু করে আর শরীরটাও অবস হতে থাকে।চোখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেনা

-কি হলো বু*কে নিবিনা আমাকে জা*নোয়ার।সেই কবে থেকে আমি এই দিনটার অপেক্ষা করে আসতেছি তোকে নিজ হাতে মা*রবো বলে।মেয়েরা মনে হয় দুই টাকার বস্তু যে তাদের নিয়ে একটু খেললি আর ছেড়ে দিলি।আজ আর রেহাই পাবিনা তুই।তোর মত প*শু বে*চে থাকলে অনেক মেয়ে তোর ফাদে পা দিবে।আর তুই ম*রলে অত্যন্ত একটা প*শু কমে যাবে পৃথিবি থেকে।

পরেরদিন রাস্তার পাশে খুব বিশ্রি ভাবে কা*টা একটা লা*শ পাওয়া যায়।যৌ*নাঙ্গ*টা কে*টে ফেলেছে সাথে ঠোট ২ টাও।বিপুল ভার্সিটি যাওয়ার সময় মানুষের ভির দেখে সেখানে গিয়ে দেখে এরকম অবস্থা। মুখটা ভালো করে দেখলো সে কিন্তু চিনতে পাচ্ছেনা।হয়তো অনেকটা ক্ষোভ ছিলো হ*ত্যা কারির তাই এরকম করে মে*রে*ছে।

এরপর বিপুল লা*শটা*র মুখের একটা ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে দেয়।সাথে লোকেশনও দিয়ে দেয়। কেউ চিনে থাকলে যেন এ জায়গায় চলে আসে।

-হ্যালো দোস্ত কোথায় তুই।ভার্সিটি আয় তারাতাড়ি।(নিরা)

-হুম যাচ্ছি।

৫ মিনিট পর ভার্সিটি পৌছে যায় গিয়ে দেখে ভার্সিটির গেটের পাশে মানুষের ভিড়।ভিড় ঠেলে ভিতরে যেতেই দেখে সিয়ামের নিথর দে*হটা পড়ে আছে।হাতের আ*ঙ্গুল গুলো কে*টে ফেলেছে।মুখে ব্লেড দিয়ে সব জায়গায় কে*টে*ছে।বিপুল সহ তার বন্ধু বান্ধবি গুলো দেখতেছে আর চুপ হয়ে চোখের পানি ফেলতেছে।তাদের বুঝতে বাকি থাকেনা যে এটা সিয়ামের গার্লফ্রেন্ডের কাজ।

পুলিশ এসে লা*শটা নিয়ে গেলে নিলা বলতে শুরু করে

-দোস্ত খু*নটা আমি করেছে।(নিরা)

সবাই অবাক হয়ে একসাথে বলে ওঠে 

-মানে????

.

.

.

.

.

বাস্তব_কাহিনী

পার্টঃ~১

রায়হান


বাস্তব কাহিনী

পার্টঃ ২ ও শেষ

.

.

-তুই মে*রে-ছিস মানে কি নিরা(বিপুল)

-তুই ফেসবুকে যে ছেলের ছবিটা শেয়ার করলি

ওই ছেলেকে আমি আর ওর আগের গার্লফ্রেন্ড সহ

শে*ষ করে দিয়েছি।সিয়ামের মতো ওই ও একটা জা*নোয়ার।এর আগে বিভিন্ন কৌশলে আরো ৩ টা মেয়ের জীবন শে*ষ করে দিয়েছে জা*নোয়ার টা।কি ফাদেই না পা দিতে গেছিলাম যদি না কাল ওর আগের গার্লফ্রেন্ড এর সাথে দেখা না হতো।এমনকি ভিডিও পর্যন্ত তৈরি করে ব্লা*কমেইল করে বি*ছানায় নেওয়া শুরু করে দিয়েছে জা*নোয়ার টা।তাই সবাই মিলে পরিকল্পনা করে করেছি এসব।আর কোনো মেয়ের জীবন শেষ করতে দিবোনা এরকম করে।

-এখন যদি পুলিশ বুঝতে পারে তখন কি করবি(সাকিল)

-সব বলে দিবো আমরা।না হয় ম*রবো এর বেশিতো কিছু হবেনা।আর এদেশের পুলিশ সব টাকার কাছে বিক্রিত।কত ধ*র্ষক ব্লা*কমেই*লার আজ ঘুরে বেড়াচ্ছে সমাজে কই তাদের তো কিছু করতে পারেনা।তাই মৃ*ত্যুর পরোয়া আমি করিনা।আল্লাহ যার মৃ*ত্যু যেখানে লিখছে তাই হবে এসব শুধু ওছুলা মাত্র(নিরা)

-বাহ দোস্ত তুই তো দেখি অনেক সাহসি হয়ে গেছিস।এরকমি থাকবি সারাজীবন তাহলে জীবনে অনেক লাভবান হবে দেখিস(বিপুল)

-তোর সাথে থাকতে থাকতে শিখে গেছি দোস্ত।তোকে আজীবন বন্ধু হিসেবেই পাশে চাই।থাকবি প্লিজ।(নিরা)

-হুম।পাবি প্রমিস।(বিপুল)

-দোস্ত দেখ এটা।আমার বি*ছানায় পাইছি।আর আমি একটা জিনিস বুঝতেছি না।সিয়ামের দে*হটা আমার রুমে থাকা কথা যদি তার গার্লফ্রেন্ড এ মে*রে থাকে।কিন্তু এখানে আসলো কি করে।অথচ চিঠিটায় স্পষ্ট বলা যে তার গার্লফ্রেন্ড মে*রেছে(সাকিল)

-দে দেখি আমায়।(বিপুল)

এরপর বিপুল চুপ করে পড়তেছে।নিরা সাকিল দেখতেছে

-আমার বাবা একজন ব্যবসায়ি।আমি আমার বড় বোন আর মা বাবা নিয়েই আমাদের পরিবার।বেশ ভালোই চলছিল আমাদের দিন।আপুর সাথে প্রতিদিন ঝগড়া করা ছাড়া যেন পেটে ভাত এ যেত না।যতই ঝ*গড়া করে তার মধ্যে ভালোবাসা ছিলো।কখনো খাইনা একজন আর একজনকে ছাড়া।কিন্তু এই জা*নোয়ার টা সব হাসি কেড়ে নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে।বাবার কাধে যখন নিজের মেয়ের লা*শ বহন করতে হয় তখন সেই বাবাই বোঝে যন্ত্রনা টা কতটা।এই জা*নোয়ার টার জন্যই আমাদের সুন্দর জীবনে অন্ধকার নেমে আসে।সবাই জানে আপু এক*সিডেন্ট হয়ে মা*রা গেছে কিন্তু আমি জানি কেন মা*রা গেছে আপু।সেদিন আপু না বললে হয়তো কখনো জানতাম এ না। আপুর পেটে জা*নোয়ার টার বাচ্চা ছিলো কিন্তু সে আর আপুকে গ্রহন করতে রাজি না।আপু ফোন দিলে অপমান করে ফোন ধরে না।শেষ পর্যন্ত আপু সহ্য করতে না পেরে এই পথটা বেছে নেয়।আজ কতদিন হয়ে গেছে আপুটার সাথে ঝগড়া করিনা।

-

আমার বোনটাও বাসা থেকে বার হওয়ার আগে আমার জন্য একটা চিঠি রেখে গেছে।যদি আগে চিঠিটা দেখতাম তাহলে ম*রতে দিতাম না আপুকে।আমার আপুর নাম হচ্ছে সুমাইয়া

-পা*গলী বোনটার কথা খুব মনে পরছে,, আর ও যে পা*গলামী করতো ওগুলো।

.

কপালে চুমু না দিলে আম্মুকে ডাকা,, ভাত তুলে খাইয়ে না দিলে কান্না করা। টাকার ধান্দায় কাছে আসে। বিভিন্ন পা*গলী ধরনের আবদার। আরও কত কি।

এগুলো আনমনে ভাবতে ভাবতে কখন যে রাস্তার মাঝে চলে এসেছি, খেয়ালই নেই।

.

হয়ত হটাৎ এক ধমকা ঝটকায় হুশ ফিরবে,, আর ধাক্কা টা আমার সাথেই লাগবে। আমার নিথর দে*হটা ছিটকে গিয়ে পাশের দোকানের সামনে গিয়ে পড়বে। অনেক লোক ভীড় করবে সাথে সাথে।

.

এখন কি হবে রে সাদিয়া???

আমি তোর প্রমিজ টা রাখতে পারলাম না রে আপু। ক্ষমা করে দিস।

তুই না বলছিলি ভার্সিটি থেকে যেন তারাতাড়ি ফিরি।কিন্তু পারলাম নারে।

আমি যে আবার তোর কাছে ফিরতে চাই আপু। আবার তোকে আদর করব। অনেক ভালবাসবো। ভাত তুলে খাইয়ে দিব। কপালে চুমু দিব।

.

ইয়ে আল্লাহ এমন কেন করলো সিয়াম আমার সাথে,?? আমি যে আবার আমার আপুর কাছে যেতে চাই। আমাকে যেতে দাও আমার আপুর কাছে

.

ও যে একটা পা*গলি মেয়ে। আদর ছাড়া একদম থাকতে পারব না। ও যদি একবার শুনে ওর আপু নামের বন্ধুটা পৃথিবীর বুক থেকে হা*রিয়ে গেছে তখন ও কি করবে। ওকে আদর করার মতো যে আর কেউ থাকবো না। আমাকে প্লিজ ফিরিয়ে দাও আমার আপুর কাছে। আমার ছোট্ট বোনটা যে আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না, খুব কাঁদবো ও।

আমাকে আমার বোনের কাছে ফিরিয়ে দাও।

.

.

.

আমি আজ ম*রে গেছি ৭ দিন হলো। হয়তো আমার লা*শটা কেউ বাড়ি নিয়ে গেছে। আমার বন্ধু বা অন্য কেউ। অনেক যত্ন করে দা*ফন করা হয়েছে। অনেকেই আমার দে*হটা দেখতে আসছে। মা বাবা অনেক কাঁদছে।

.

আর আমি পা*গলীটার কাছে বলে এসেছি ৩ ঘন্টার ভেতর ফিরবো কিন্তু ১ সপ্তাহ হয়ে গেল আমি এখনো ফিরলাম না। পা*গলী বোনটা বোধ অনেক রেগে আছে,, আমি কেন এখনো ফিরলাম না। এতদিন চলে গেল কেন এখনো ওর কাছে ফিরলাম না। কেন আর আপু বলে ডাকলাম না।

.

পা*গলীটা বোধ হয় আমার পথের দিকে তাকিয়ে আছে আর আমার অপেক্ষা করছে। (সুমাইয়া)

-সেদিন অনেক কেদেছিলাম আপুর জন্য।মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই যে এই সিয়ামকে বা*চতে দিবোনা।তাই প্রেমের নামে এসব করি আর এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করি।জানি সিয়াম একদিন রুম ডে*ট করতে বলবে।হ্যা ও আজ হেরে গেছে।আজ আপুর জন্মদিন হয়তো আপু তার গিফ্ট টা পেয়ে গেছে আজ।(সাদিয়া)

এটুকু পড়ে বিপুল নিরা সাকিলের চোখে পানি এসে গেছে।তারা যেন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।

-একটা ছেলের লা*লসার জন্য আজ তাদের পরিবার টা ক*ষ্টে ভুগতেছে।কেউ বা অপেক্ষায় আছে তাদের মেয়ের জন্য আর কেউ অপেক্ষায় আছে তার আপুর জন্য।হয়তো এখনো সাদিয়া রাত জেগে থাকে তার আপুর কথা ভেবে।সিয়াম কেমনে পারলো এটা করতে।অনেক সুধরানেোর চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি।যা হয়েছে ভালোই হয়েছে(বিপুল)

-হুম।তবে আমারর একটা কথা আছে দোস্ত।এদের দুই জন নাহয় শে*ষ হলো কিন্তু সারা দেশে এরকম লা*লসাময় লক্ষ লক্ষ ছে*লে আছে তাদের কে কিভাবে ঠিক করবি।তাদের লা*লসায় পড়ে যে এরকম আরো অনেক সুখি পরিবার ন*ষ্ট হয়ে যাবে।

-সবাইকে শুধরাবো হু*মকি দিবো।না শুধরালে মে*রে ফেলবো এরকম করে।(বিপুল)

-মা*রবি মানে(নিরা)

-হ্যা মা*রবো।যেভাবে সিয়াম কে শেষ করেছে এরকম করে শেষ করবো।তোরা কি ভাবছিস সাদিয়া একাই শেষ করতে পারবে এই জা*নোয়ার টাকে।জানিস অনেক বুঝাইছি একে কিন্তু কাজ হয়নি কোনো।তাই শেষ পর্যন্ত এটা না করে পারলামম না।(বিপুল)

-ওয়েট ওয়েট।তুই চিনিস সাদিয়া কে।(নিরা)

-হ্যা চিনি।তোদের যে ফেসবুক বেস্টফ্রেন্ডের কথা বলছিলাম সে হচ্ছে সাদিয়া।আর আমরা দুজনে মিলে মে*রেছি একে

-তারমানে কালকে মাস্ক পড়া ছেলেটা তুই ছিলি।(নিরা)

-হ্যা আমিই সাকিলের রুম থেকে ওকে নিয়ে আসি রাতের আধারে।আর সাকিল অপেক্ষা করে কলেজ গেইটেরর এখানে।যখনি ফাকা পাইছি ফে*লে দিয়ে চলে আসছি আমরা।(বিপুল)

-ওহ গুড।তাহলে আজ থেকে আমাদের নতুন মিশন শুরু করবো।তারা যে লা*লসায় মেয়েদের জীবনটা শে*ষ করে দেয় সেই লা*লশায় মা*রবো তাদেরকে।(নিরা)

পরের সপ্তাহে আরো ৩ টা লা*শ একই ভাবে যৌ*নাঙ্গ কা*টা উল*ঙ্গ অবস্থায় পাওয়া যায় রাস্তার পাশে।পুলিশ কিছুই বুঝতেছেনা। কে আর কেন মা*রছে এরকম করে।হয়তো কখনো বুঝবে আর বুঝেও হয়তো ধরতে পাবেনা তাদের।হয়তো পেলেও পেতে পারে।তারপরও সমাজ সাপোর্ট করবে বিপুল সাদিয়া সাকিল নিরাদের।কেননা তারা সমাজের মানুষ হয়ে সমাজে যে ম*য়লা গুলো থাকে তা পরিষ্কার করছে।

আসলে ভালোবাসারর রুপটা বাস্তবতা হলেও এদের শাস্তি কিন্তু বাস্তবে হয়না।এদের শাস্তি ঐ সব মেয়েরাই দিতে পারবে যারা এরকম ব্লা*কমেইলের শিকার।তারাই পারে এই কু*ত্তা গুলোকে উচিৎ শিক্ষা দিতে। আর আপুদের কে বলছি যে ভালোবাসাকে নোং*রা না করে সুন্দর করে তোলেন।আপনাদের প্রতিটা সিগন্যাল ছেলেদের অনেক কিছু বুঝায় দেয়।আগের পার্টে এক ভাই কমেন্টে বলছিলো যে ভালোবাসায় এসব না করলে নাকি।গার্লফ্রেন্ড কে গার্লফ্রেন্ড মনে হয়না বোন মনে হয়।আমি বলবো গার্লফ্রেন্ড বোনের থেকে কোনো অংশে কম কিসে।সে শুধু গার্লফ্রেন্ড এ না বোন+ভালো বন্ধুও।আর যে মা বাবা এতটা বছর কষ্ট করে বড় করলো তাদের কথা না ভেবে যারা নিজেকে বয়ফ্রেন্ডেরর বু*কে একটু সময়ের লা*লসার জন্য সপে দেয় আমি মনে করি তাদের মতো পা*গল পৃথিবিতে আর কেউ নেই।ভালোবাসার বিরোধীতা আমি করছি না।বিরোধীতা করছি সেই ভালোবাসার যে ভালোবাসায় গার্লফ্রেন্ড এর হাত ধরার বদলে শ*রীরের বিভিন্ন জায়গায় হা*ত দেয়।ভালোবাসা প্রকাশ করতে কখনো ইনব*ক্সে গিয়ে সে*ক্স নিয়ে কথা বলতে হয়না।যাদের কাছে এসব ভালোবাসা বলে প্রাধান্য পায় একদিন বুঝতে পাবে তারা যেদিন তাদের নিজের বোনটা এরকম নোং*রামির শিকার হবে।নাকি তাও তারা শুধরাবে না।তা আমার জানা নেই।

.

.

.

........সমাপ্ত............


এমন আরও অনেক গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post