পরকিয়া প্রেম কতটা ভয়ংকর | পরকিয়া স্ট্যাটাস ২০২৪

 দেবর ভাবির পরকিয়া

দেবর ভাবির পরকিয়া

আমার বর আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে রুমে নিয়ে আসে। 

ওই মুহুর্তে আমার বরের গায়ে কোনো কা*পড়ই ছিলো না। 

আমার জা ও আসে। কোনো রকম ওড়না একটা গা*য়ে চেপে।


তারপর আমার বর আমার জাকে বলে ব*টি নিয়ে আসো।

ওনি ব*টি নিয়ে আসে। 

আর আমার গ*লার কাছে ধরে বলে যদি কখনও কাউকে বলিস বা চিৎকার করিস মে*রে ফেলবো।


আমি ওই সময়টাতে অনেক অসহায় ছিলাম আর মৃ*ত্যুর ভয়ে চুপ ছিলাম।


তারপর আমার জা গোসল করে এসে আমাকে কো*রআন ধরাই আর আমার বর ওই অবস্থাই ব*টি নিয়ে আসে।


আমাকে কোরআন ধরে বলতে বলে আমি ও জীবনের ভয়ে কো*রআন ধরে বলি।


আর তারা আমাকে ছাড়ে৷ 

ওই সময়টাতে আমি এতটাই বোকা ছিলাম যে আমি কাউকে আর বলি নি। শুধু নামাজ পড়ে আল্লাহকেই বলতাম।


আর ভয়টা ছিলো কো*রআন ধরছি তাই। 

পরের দিন সকালে সব নরমাল।এমন ভাব যেন কিছুই হয়নি।


কয়েকদিন পর জানতে পারলাম আমার জা ক*নসিভ করছে। 

আমার ভাসুর শুনে তো খুশি৷


রাতের বেলা আমার বর আমার জাকে বলতেছে যে বা*চ্চা নস*ট করে ফেলো। 

আমার জা বলতেছে ৩ টা করলাম আর কয়টা করবো এটা রেখে দি। তাছাড়া তোমার ভাইয়ের নামে চালিয়ে দিলাম। 

এটা নিয়ে আমার বর আর তাদের মধ্যে ঝ*গড়া হয়।

তারা ১০ দিন আর কেউ কারো সাথে মাতে নি।


তো আমার জা ইদানীং আর আমার সাথে তেমন ভে*জাল করে না। 

২০১৩ সাল শুরু হলো আমার জায়ের ৭ মাস। এখন আর আমার যা মনে শা*রী*রিক স*ম্পক করতে পারে না। 

একদিন আমাকে বলে

আমার জা আমি সুস্থ হওয়া পযন্ত ওর সাথে স*হ*বাস করিস৷


বলেতে ভুলে ওই ঘটনার পর থেকে আমার বর আর জা সবকিছু ও*পে*নলি ক*রে। 

আগে আমার থেকে লুকাতো এখন আর লুকায় না।


যা করে সামনা সামনি।


আমার বুকটা ফে*টে যেতো। 

মাঝে মাঝে তারা চু*মু খেতো আমার সামনে। 

ল*জ্জা লাগছে আমার এগুলো বলতে।


এরপর আমার জায়ের ম*রা বাচ্চা হয়।


ওই দিন আমার অনেক খুশি লেগেছে। 

আমি তাকে বললাম আপনি ঠিক মতো বাচ্চা ও জ*ন্ম দিতে পারেন না। 

কারন আমার বাচ্চা ম*রে যাওয়ার পর আমাকে অনেক কথা বলত।


ওমা সে বরকে বলে দেয় আমার বর আমাকে অনেক মা*রে৷


মা*র খাওয়ার পর আমি ১ম বিয়ের ১০ বছর পর একা একা বাপের বাড়ি চলে যায়।


পরের দিন আমার বর আনায় নিতে আসে যদি কিছু বলে দি।


আমি আসার কিছুখন পর শশুর বাড়িতে খবর পায় আমার বাবা মা*রা যায়।


গেলাম ৪০ দিন ছিলাম। মন দিন অনেক খা*রাপ ছিলো। 

মাথার উপর থেকে বাবা নামক ছায়াটা সরে যায়।


আসলে যার বাবা নাই সে বুজবে বাবা কি জিনিস।


এদিকে আমি আবার ক*ন*সিভ করি।


এবার ক*ন*সিভ করার সাথে সাথে বাপের বাড়ি চলে আসি।


কিন্তুু পরে শুনলাম আমার জা নাকি বাচ্চা টা ন*সট করার জন্য আমার বরকে চাপ দিতো। 

এনিয়ে তাদের অনেক ঝ*গড়া হয়।


তো দিন এভাবে যাচ্ছে।


৭ মাসের সময় কি কাজে আমি শশুর বাড়িতে যায়। 

১ রাত ছিলাম পরের দিন সকালে আমার জা আমার সাথে ঝ*গড়া করে অনেক বলার মতো না। 

তো আমি পুকুর ঘাটে হাতধোয়ার জন্য গেছিলাম আমার জার ছেলেটা পুকুরে নামার সময় ঘাটের উওর পড়ে যায় আর আমি ও তার ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় সাথে সাথে র*ক্ত পাত শুরু হয়।


আমি শুধু ওমা*গো ওমা*গো বলে চিৎকার করছিলাম৷


আমাকে হাসপাতাল নেয় সি*জার করে বাচ্চা বে*র করে কিন্তুু বাচ্চা টা পেটেই মা*রা যায়।


১৫ দিন হাসপাতালে ছিলাম। 

এরপর মনে মনে সিদ্ধান্ত নি আর ওর সংসার করবো না।


কারন আমি তিক্ত হয়ে গেছি।


একদিন আমার জাকে বলতে শুনি ওকে ছে*ড়ে দাও আমরা বিয়ে করে নি। 


গল্প: অসহায়

পর্ব ১


গল্প: #অসহায়

 পর্ব ২শেষ 


তার পর যখন সিদ্ধান্ত নিলাম আর সংসার করবো না। 

বাপের বাড়ি চলে আসলাম একে বারে৷


আর যাবো না পরিবারের সবাইকে সবকিছু বললাম। 

মা আমার কাহিনী গুলো শুনে কাঁদতে কাঁদতে শে*ষ কারন এগুলো কিভাবে সহ্য করলাম। আর এত বছর কাউকে কিছু বলিনি কেন।


এরপর এগুলো শুনে সবাই থানায় মা*মলা করতে বলে আর চট্টগ্রাম এর রাউজান থানায় মা*মলা করলাম।


তার মধ্যে আমার জা কথা উঠালো আমি নাকি নগদ ১ লাখ টাকা আর সোনা নিয়ে পালাইছি৷


তো আমাদের গ্রামের মেম্বার চেয়ারম্যান ধরে সালিশ হলো। 

মাঝখান থেকে তারা আমার নামে এতটা ব*দনা*মি উঠাইছে সব ব*দনা*মি আমার।


এর মধ্যে আমি ও আমার ভাসুরকে সব বলে দি।


২০১৩ টা এভাবে কা*টলো। 

অবশেষে সালিশ বৈঠক শেষে থানা পুলিশ সব শেষে ডিভোর্স হয়ে গেলো।


২০১৪ সালে ২০ জানুয়ারি ডিভোর্স হলো৷ 

আর কোটে আমি আমার বরকে বললাম আল্লাহ কোনোদিন এগুলো মাফ করবেনা।


আমার কাবিনের টাকা টা ও দেয়নি৷ 

যাইহোক আমি মাফ করে দিয়েছি৷


২০০৪ সালে বিয়ে হয় আর ২০১৪ সালে ডিভোর্স। নসুব খা*রাপ ছিলো৷


বাপের বাড়িতে ছিলাম আর খুব মানুসিক যনএ*নায় ভুগছিলাম।


আর এসময় টাতে আমার মা আমাকে সাপোর্ট দেয়।

তার থেকে পারিবারিক ভাবে আবার বিয়ের চাপ দেয় কিন্তু কোনো রকমে বিয়েতে ইচ্ছে নেই।


কারন ঘৃ*না ধরে গেছে সংসার জীবন আর পুরুষ দের উপর।


তারপর ২০১৫ সালে শুনলাম আমার ভাসুর মা*রা যায়। স্টোক করে।


আর পরিবার সবসময় বুজাতো জীবন এভাবে চলে না বিয়ে টা করে নে।


কিন্তুু রাজি ছিলাম। ২০১৬ সালে একটা বিয়ের সমন্বধ আসে৷ 

লোকটার বয়স ৬০ এর মত বউ মা*রা গেছে ২ টা ছেলে আছে। 

লোকটা ওমানে থাকে আর ও খানে ব্যবসা আছে।


রাজি ছিলাম না বলে ফিরিয়ে দি। 

আর চারদিক থেকে আরো বিয়ের প্রস্তাব আসতো। 

কিন্তুু মন কোথায় শায় দিতো না।


এরপর ২০১৭ তে লোকটা আবার আসে বিদেশ থেকে আর আবার সমনধ টা আসে।


তো লোকটা আমায় দেখতে আসে। 

আসার ওর লোকটা আমায় বলে আমি কখনও আমার ১ম বউকে ভুলতে পারবো না। 

কিন্তুু তোমাকে ভালোবাসতে ও কমতি রাখবো না।


তবে একটা কথা আমার ছেলেকে গুলো কে একটু ভালোবাসলেই হবে। 

আর কিছুই চাওয়ার নেই। 

সেদিন হয়ত ওনার চোখের ভাষা বুজতে পেরেছিলাম।


যাই হোক ২০১৭ তে আমার বিয়ে হয় ওনার সাথে। 

তার পর আমি এক অন্য রকম জীবনে পা দি।


এই সংসারে ও জা আছে আমার কিন্তুু ওনি আমার মায়ের থেকেও ভালো। 

আমি নিজের চাইতে আমার এ জাকে বেশি ভালোবাসি৷ 

২০১৭ র রোজার পর আমি ওমান চলে আসি। আর আমরা যে আগের বিবাহিত এটা আসলে আমরা ভুলে যায় 

ওনি আমাকে এতো ভালোবাসে মনে হয় যেন ১৮ বছরের যু*বতি আমি।


আর ছেলে গুলো ও আমাকে মায়ের মতো করে। আমার মাথায় ও আসে না যে তারা আমার গর্ভের নই।


দেশে আর যায়নি। 

তবে ২০২৬ এ যাবো শুনেছি আমার আগের জা নাকি ওনার বরের মৃ*ত্যুর পর আমার সাবেক বরকে বিয়ে করেছে৷


আর আমার জায়ের নাকি জ*রা*য়ু ক্যা*নসার ধরা পড়ছে। 

আর কিছু জানি না।


তবে আমি আগে আল্লাহকে অনেক গালি দিতাম আমার জীবনটা এমন কেন।


কিন্তুু এখন শুকরিয়া জানাই তখন যদি ওরকম কস্ট না করতাম হয়ত এখন সুখ হতো।


আমার ছে*লে গুলো এখন আমাকে পা*গল করে দিচ্ছে তাদের নাকি বোন লাগবে৷


আমার বড় ছেলের বয়স ২২ আর ছোটটার ১৮।


বেশির ভাগ কাজেই তারা আমাকে সাহায্য করে৷ 

আলহামদুলিল্লাহ।


ভালোবাসায় পরিপূর্ণ আমার সংসার । 

দোয়া করবেন আমার জন্য।


আর অবশেষে সুখ জীবনে ধরা দিয়েছে।


সমাপ্ত।


বাস্তব জীবনের ঘটনা ও গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post