রোমান্টিক ফেসবুক স্ট্যাটাস | রোমান্টিক ফানি স্ট্যাটাস

 রোমান্টিক হাসির স্ট্যাটাস

রোমান্টিক হাসির স্ট্যাটাস

ছেলের রুমের পাশে এসেই থমকে দাঁড়ালেন জয়নাল সাহেব। যে রুম থেকে সারাদিন চিল্লাপাল্লা শব্দ হয়, সেই রুমটা আজ নিরিবিলি লাগছে। ঘটনা বুঝার জন্য রুমের ভেতরে ঢুকলেন।


রুমটা আজ সাজানো গুছানো পরিপাটি করে রাখা। যেটা কখনই ছিলনা। জয়নাল সাহেব বেশ অবাক হলেন। ছেলের রুমের পরিবেশ দেখে।


হঠাৎ লক্ষ করলেন, বিছানার ওপর একটা খাম। জয়নাল সাহেব খামটা হাতে নিলেন। খামটা খুলতেই দেখলেন ছেলের হাতের লেখা একটা চিঠি।


চিঠিতে লিখা - 


❝❝❝


'প্রিয় বাবা' ,

তুমি যখন এই চিঠিটা পড়তেছ, তখন আমি অনেক দূরে।যেখান থেকে আর কোনদিন ফিরে এসে বাবা বলে ডাকা সম্ভব না। তুমি আর মা একদম কাঁন্না করবে না। বাবা আমি খুব খারাপ হয়ে গেছি। আমি চাইনা আমার জন্য তোমার মুখে চুনকালি পড়ুন। তাই আমি সু'ইসা'ইড করলাম। আমায় মাফ করে দিও বাবা।


(জয়নাল সাহেব হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। নিজেকে কোন রকম সামলে নিয়ে আবার চিঠি পড়তে শুরু করলেন।)


বাবা, আমি কেন সু'ইসা'ইড করলাম সেটা বলি। প্লিজ কাঁন্না করোনা। আমার সাথে পড়ে সুমাইয়াকে তো তুমি চেনই। আমাদের বাসায় প্রায়ই মাঝে মাঝে আসত নোটবুক নিতে। সত্যি বলতে, সুমাইয়া নোটবুক নিতে আসত না। সুমাইয়া আসত আমার সাথে সময় কাটাতে। সুমাইয়ার সাথে আমার রিলেশন ছিল। ওর সাথে আমার সবকিছুই হয়েছিল। সুমাইয়া আমার দ্বারা প্রেগন্যান্ট।


শুধু সুমাইয়া নয়, পাশের বাসায় থাকে, যাকে আমি ভাবি বলে ডাকি। তার সাথেও আমার গোপন সম্পর্ক ছিল। লোক সমাজ যাকে বলে প'রকীয়া। এই ঘটনা তার স্বামী যেনে গেছে। এখন তার স্বামী ডিভোর্স দিবে বলেছে। তাকে যদি ডিভোর্স দেয়, তাহলে আমাকে তারে বিয়ে করতে হবে।


এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে, তোমার মান সম্মান কিছুই থাকবে না। তাই সু'ইসা'ইড করতে বাধ্য হলাম। ভালো থেকো বাবা। আমায় মাফ করে দিও।


ইতি, 

'তোমার ছেলে'

----

বিঃদ্রঃ বাবা, উপরে যা যা পড়েছ, সবই মিথ্যা কথা। তোমাকে শুধু একটা কথাই বোঝানোর চাই,

“ পরীক্ষার রেজাল্টই জীবনের সবচাইতে খারাপ কিছু না, এর চাইতে অনেক খারাপ কিছু হতে পারে জীবনে। ফেইল করাটা তেমন খারাপ কিছু না। বাবা, আমি দরজার আড়ালে লুকিয়ে আছি। ”


❝❝❝


ছেলের সাহস দেখে, জয়নাল সাহেবের মেজাজ গরম হয়ে গেল। দরজার আড়াল থেকে ছেলেকে বেড় করলেন।


ছেলের এমন কাজে জন্য শাস্তি স্বরূপ, ছেলেকে টয়লেটের ভিতরে দিয়ে বাহির থেকে লক করে দিলেন।


ছেলে কয়েকবার টয়লেটের দরজা ধাক্কাধাক্কি করলো। কিন্তু জয়নাল সাহেব লক খুললো না।


-------

------------


৩ ঘন্টা পর,


টয়লেটের সামনে বাসার সকলে লাইন ধরে আছে। ছেলে এবার ভেতর থেকে লক করে বসে আছে। অনেক বলার পড়েও লক খুলছে না।


জয়নাল সাহেব অনেক বিনয়ের সাথে আদুরে গলায় বার বার শুধু একই কথা বলছে, 


– 'আমাদের সকলকে আর শাস্তি দিস না। তারাতারি দরজা খোল' 💩


(সমাপ্ত)...


-রম্যগল্পঃ 

-সুইসাইড_নোট

লেখকঃ_সুবোধ_মন্ডল


সব ধরনের রোমান্টিক হাঁসির গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post