ভালোবাসার মানুষকে হারানোর কষ্ট | ভালোবাসা মানুষ

 নীল ক্যাফের ভালোবাসা

নীল ক্যাফের ভালোবাসা

রিক্তা বললো, " আজ থেকে তিনমাস আগে আপনার সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল মনে আছে?বিয়েতে মত ছিল না আমার তাই বিয়ের চারদিন আগে আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে পালিয়ে গেছিলাম। " 


সাদ্দাম কিছু বললো না। চুপচাপ জুসের গ্লাসে নল চুবিয়ে জুস খেতে লাগলো। রিক্তা খানিকটা সময় চুপ থেকে আবার বললো, 


" আমরা বিয়ে করে মিরপুরে থাকতাম। ওর একটা চাকরি ছিল তাই ভালোই চলছিল আমাদের ছোট্ট ভালোবাসার ঘর। " 


সাদ্দামের জুস খাওয়া শেষ। সে তাকিয়ে আছে রিক্তার দিকে। রিক্তা বললো, 


" দুজন মিলে কতো স্বপ্ন দেখতাম, কতকিছু মনের মধ্যে সাজিয়ে রাখলাম। কিন্তু একদিন সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। আফসোস। " 


সাদ্দাম দুবার কাশি দিল, হাত দিয়ে গলাটা চেপে ধরার চেষ্টা করলো। চোখ বড় বড় হয়ে গেল তার। 


রিক্তা সামান্য হাসলো, নিজের ব্যাগটা হাতে নিয়ে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল। তারপর সাদ্দামের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো, 


" আমি জানি আমাকে আপনার অনেক পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু আপনাকে তো বলেছিলাম আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি। তবুও আপনি আমাদের শান্তিতে থাকতে দিলেন না। কি ভেবেছিলেন? আমার স্বামীকে হ'ত্যা করলে আমি আপনার কাছে ফিরে যাবো? আপনি আমার স্বামীকে খু'নটা না করলেও পারতেন। "


সাদ্দাম শুধু জিব নাড়ছে। রিক্তা বললো,

" আপনি যখন চিকেন আনতে চেম্বারে গেলেন তখনই জুসের মধ্যে বিষ দিয়েছি আমি। এবার আপনিও ওপাড়ে চলে যান। " 


সাদ্দাম রেস্টুরেন্টে বসে কাঁপছে। রিক্তা খুব দ্রুত রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেল। 


________(অণুগল্প) (সমাপ্ত) __________

ভালোবাসার স্ট্যাটাস বাংলা

 ক্রাশের বিয়ে ঠিক হয়েছে একজন সরকারী চাকরীজীবীর সাথে!!!শুধু এতটুকুই শুনেছি!বিয়ের দিন চেয়েছিলাম বাংলা সিনেমা টাইপ কিছু একটা করবো!!কিন্তু,বিয়েতে পুলিশ আর রেবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্ল্যান পাল্টে পেট ভরে বিয়ে খেয়ে এলাম!!!


এখন ভরা পেটে ২ টা ডার্বি খেয়ে মা/তা/ল মা/তা/ল ফিল করছি!!ক্রাশের বাড়ির সামনে গিয়ে চৌধুরী সাহেব বলে চি/ৎকা/র করলে কেমন হয়?


অনেক চিন্তার ভিরে হটাৎ,পাশের বাড়ির নাবিলা এসে আমার সামনে দাঁড়ালো..! বলল,তানভির অনেক দিন ধরে একটা কথা বলবো বলবো ভাবছি!!


--বলো...!শুনছি!


--আমি...আমি তোমাকে ভালোবাসি তানভীর!!! 


কথা শুনে হাত থেকে ডার্বি পরে গেলো!চোখে ঝাপসা দেখতে লাগলাম!তারপর জ্ঞা/ন হারিয়ে ফেললাম!!


জ্ঞা/ন ফিরলে নিজেকে নাবিলাদের বাসায় আবিষ্কার করি!!মাথার পাশে নাবিলার ২ বছরের বড় বোন ইসরাত বসে আছে!নিষ্পলক তাকিয়ে আছে আমার দিকে..!বাধ্য হয়ে বললাম,এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?


--আপনি করে না...আমাকে তুমি করে বলো!!!


কিছুক্ষণের জন্য অবাক হলাম!!সেদিন তুমি করে বলার কারণে এই ছেরি ম্যাসেঞ্জারে ব্ল/ক দিছিলো!আর আজ কি না নিজেই বলছে তুমি করে বলতে!!


--আমি তুমি করে কেনো বলবো আপনাকে?


ইসরাত আমার মুখে আঙুল রেখে বলল,কারণ,i love you!!!


আমি এখন আর অ/জ্ঞা/ন হলাম না!বরং আরও সুস্থ হয়ে গেলাম!বাড়ি ফেরার পথে সাদিয়া নামের এক মেয়ে এসে চিঠি গুঁজে দিলো হাতে!পুরোটা পড়ে বুঝলাম এটা প্রেমপত্র!!! পত্রের শেষে T + S লেখা ছিলো...!


বিকেলে মারিয়া আর নুসরাতকে ঝ/গ/ড়া করতে দেখলাম!একজন আরেকজনের চু/ল টা/না/টা/নি করছে আর বলছে তানভীর আমার, তানভীর আমার!!!


বাসা থেকে মা ফোন করে বলল,তাড়াতাড়ি বাড়িতে আয়!মরিয়ম ছাঁ/দের রে/লিং/য়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে"!তুই ওকে ভালো না বাসলে এখনি লা/ফি/য়ে ম/রে যাবে!


বন্ধু ফোন দিয়ে বলল, মিম... বট গাছের ডালে দ/ড়ি বেঁ/ধে আমার অপেক্ষা করছে!৫ মিনিটের মধ্যে না আসলে ফাঁ/স লাগিয়ে ম/র/বে!


কি করবো কিছুই বঝতে পারছি না!


তবে,বিয়ের আগে ক্রাশ বলেছিলো,আমার থেকে আরও ভালো ভালো মেয়ে পাবেন!!! 


হয়তো এসব তার কথারই বাস্তবায়ন!!!


সব ধরনের ভালোবাসার গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post