বাবা নিয়ে স্ট্যাটাস
হঠাৎ গভীর রাতে বাবাকে হাত মুখ ধুয়ে পোশাক বদলাতে দেখে কৌতুহলী ছোট্ট মেয়ের প্রশ্ন..
"কই যাও বাবা....?
সুগন্ধি গায়ে মেখে বাবা হাসেন, "আর বলেন অনেক বড় জায়গায় মিটিং আছে রে মা !"
"এতো রাতে..?
"হুম, রাতে ওনাকে ফ্রি পাই। দিনে অনেক ঝামেলার জন্য শান্তিতে কথা বলতে পারিনা।"
"আমাকে নেবে..?"
"তুমি যেতে চাইলে নেবো। "
"সত্যি..?" মেয়ের আনন্দ উপচে পড়ে। ভাবেনি বাবা রাজী হয়ে যাবে। দ্রুত উঠে পড়ে বিছানা ছেড়ে। বাবার কথামতো আলমারী থেকে সবচেয়ে ভালো পোশাকটা বের করে পড়ে নেয়।
বাবা পরম যত্নে মহা আয়োজন করে দুটো জায়নামাজ বিছিয়ে নিলে মেয়ে বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বলে," তোমার মিটিং এখানে..?"
"হম, এখানে। চলো, তোমাকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। তাঁকে বলবো, আল্লাহ, দেখেন আজ আমার মেয়ে আমার সাথে আছে !"
"আমি তো আল্লাহকে দেখিনা বাবা!"
"একদিন দেখবে, যদি এখন থেকে যোগাযোগ রাখো তাহলে । নইলে কোনোদিনই দেখতে পারবেনা। উনি হলেন সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে মহান । এই যে আমাদের যা কিছু দেখছো সবই তিনি দিয়েছেন। আমাকে তোমার মতো একটা মিষ্টি মেয়ে দিয়েছেন!"
"আর আমাকে তোমার মতো বাবা..!" খুশিতে কচি কণ্ঠে হেসে ওঠে মেয়েটা...
বাবার পাশে মেয়েটা গভীর মনোযোগী হয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। বাবার দেখাদেখি জমিনে মাথা ঠেকিয়ে বিড়বিড় করে বলে,"হে মেহেরবান আল্লাহ.. আমি আপনাকে দেখতে চাই !"
আল্লাহ পাক মেহেরবানী করে আমাদের এই চর্মচক্ষুকে একদিন তাঁকে দেখার মতো নেয়ামত দান করুন...
আমিন।🖤🖤🖤
- বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস
সে আমাকে ছেড়ে গিয়েছে তাতে যতনা কষ্ট পেয়েছি,তার চাইতে বেশি অবাগ হয়েছি আমার মায়ের আমার সম্পর্কে প্রশংসা শুনে
খুব কষ্ট করে দীর্ঘ এক বছর পিছে ঘোরাঘুরি করে, অবশেষে পাশের বাড়ির আন্টির একমাত্র মেয়েটাকে পটালাম।
আজকে দেখছি পাশের বাড়ির আন্টি আমার মায়ের সাথে গল্প করতে আমাদের বাসায় এসেছে।
ছোট বোনের মুখে শুনলাম মা নাকি আন্টির কাছে আমার খুব প্রশংসা করছে, শুনে খুব ভালো লাগলো, মনটা কেমন জানি আনচান করছে, বিয়েটা মনে হয় কনফার্ম হয়েই যাবে।
যাক অবশেষে পরের দিন জিএফ এর সাথে দেখা করতে সুন্দর ভাবে রেডি হয়ে বের হলাম, গিয়েই শুনি আমার সাথে আজ সে ব্রেকআপ করতে আসছে, কারণটা জানতে চাইলাম, বলতে চাচ্ছিলো না। অবশেষে কারণটা বললো.....
মা নাকি আমার জিএফ এর মায়ের কাছে আমার অনেক প্রশংসা করেছে, আমি নাকি শীতকালে ৭ দিনেও গোসল করিনা, পড়াশোনা তো মাথায় নাই বললেই চলে, টাইনা টুইনা পাশ করি, পেটের ছেলে না হলে অনেক আগেই বলে বের করে দিত, আমার পাগলামির জ্বালায় নাকি পুরো বাড়ি অতিষ্ঠ, আমাকে তারা পাগলা গারদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, আমি নাকি সারারাত আজে বাজে ছেলেদের সাথে মেলামেশা করি, জীবনেও ঘরের কোনো কাজে সহযোগিতা করিনা। আবার বাবা নাকি ছোট বোনের দিকে তাকিয়ে আমাকে এখনো ত্যাজ্য করছে না, ছোট বোনের বিয়ে হলে নাকি সেইটাও করতে পারে।
এত কিছু শোনার পর জিএফ কে আর কিছু না বলে আকাশের পানে চেয়ে, একটা বিচার দিলাম... হে আল্লাহ তুমি আমার মায়ের মত মা প্রতিটা ঘরে পাঠিয়ে দাও....যাতে বাংলাদেশে আর কোনো জনসংখ্যা বৃদ্ধি না হয়।
😔🥱
- বাবাকে নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস
শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম শ্বাশুড়ির মন বিস্মিত এবং দুঃখিত।মুখে হাসি নেই,কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে।ব্যাপার কি?
স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাশুড়ি মা বিড়বিড় করে কি যেন বলছে।ওনার কথায় স্ত্রী একটু রাগান্বিত হলো মনে হলো।কিছু কি ঘটেছে গেছে এই বাড়িতে?
স্ত্রী ফিরলো মুখ ভার করে।জিগ্যেস করলাম " কিছু হয়েছে? "
স্ত্রী মুখে মিথ্যা হাসি এনে বললো " না,কি আবার হবে।তুমি রাতে কি খাবে? "
" তুমি তো জানো আমি বাছবিচারহীন।তাহলে জিগ্যেস করছো কেন? "
" না এমনি।তুমি বসো আমি রান্না ঘরে মায়ের সাথে আছি "
এটা বলে স্ত্রী চলে গেলো।মনের খটকা আরো বাড়তে লাগলো।কথা বলার ভঙ্গিতে ফোনটা কানে রেখে রান্না ঘরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।স্ত্রী বললো
" এতোদিন পর লোকটা আসলো,আর বাড়িতে রান্নার কিচ্ছুই নেই! কি ভাববে লোকটা? "
মা দুঃখীত স্বরে বললো " তোর ভাইয়ের কলেজে টাকা দিয়ে খুব হাত টানের উপর আছি রে মা।কি করি বল তো "
স্ত্রী বললো " আচ্ছা,ডাল আর ডিম ভাজাই করো।ওর খাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নাই "
মা চাপা স্বরে বললো " নতুন জামাই আসলো বাড়িতে।অথচ ভালোমন্দ খাওয়ানোর সামর্থও নাই আমাদের! "
এসব শুনে ভীষণ ব্যথিত হলাম।আমাকে খাওয়ানো নিয়ে কেউ যে এতোটা ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারে সেটা আমার ধারণাও ছিলো না।
রাতেই বেড় হলাম বাজারের উদ্দেশ্যে।বাজার থেকে মাছ,তরিতরকারি, রান্নার উপকরণ যা লাগে সব কিনে বাড়ি ফিরলাম।হাত ভর্তি বাজারের ব্যাগ দেখে স্ত্রী বললো
" তুমি কি বাজার করলে? "
" হ্যা।আসার সময় দেখলাম বড় মাছটা রেখেছে, দেখে ভিষণ লোভ হলো।তাই নিয়ে এলাম "
ব্যাগ থেকে মাছটা বেড় করে উঠোনে রেখে বললাম " মা,কোথায় গেলেন "
মা এসে বাজার ভর্তি ব্যাগ দেখে বললো " ওমা,এসব বাজার কে আনলো? "
স্ত্রী বললো " কে আবার,তোমার জামাই আনছে "
মা বোধহয় লজ্জা পেলেন।কিছু বললেন না।আমি বললাম " মা আমি মাছটা কে'টে দিচ্ছি,আপনি ঝটপট রেঁধে ফেলুন তো।আপনার হাতের রান্না বহুদিন খাইনা "
মা উৎসুক হয়ে বাজার ভর্তি ব্যাগ নিয়ে রান্না ঘরে যেতে যেতে বললো " কি বোকা ছেলে দেখো তো,শ্বশুর বাড়িতে এসে বাজার করতে গেছে! "
রাতে সবাই মিলে হৈচৈ করে খাবার খেয়ে কিছুক্ষন গল্প করে শুতে গেলাম।
ঘরে এসে স্ত্রী টলমলে জল চোখে বললো " তুমি লুকিয়ে আমার আর মায়ের কথা শুনে এসব বাজার করে নিয়ে এসছো তাই না? "
হেসে বললাম " তো কি করবো?শ্বশুড়ি মা তো আমায় বাইরের মানুষ ভাবে।তাই লুকিয়েই শুনতে হলো "
" এসব কি বলো তুমি? মা শুনলে ভিষণ কষ্ট পাবে।এতো ভালোবাসে তোমায়! "
" ঠিকি বলছি।ভালোবাসলে আমার খাওয়া নিয়ে কেন এতো ব্যস্ত হতে হবে? আমি কি বাইরের লোক? কই তোমার খাওয়া নিয়ে তো ব্যস্ততা,মন খারাপ নিয়ে থাকেনি।খাওয়ার জন্য তো এখানে আসিনি।হাসি, আনন্দ একটু ভালো থাকার জন্য এসছি।বাবা মা তাদের সাধ্য মতো যা রান্না করে খাওয়াবে তাই খাবো "
স্ত্রীর চোখ ভর্তি জল,ঠোঁ'টে মিষ্টি হাসি।এ হাসি আমার ভিষণ প্রিয়।
গল্প সন্তান
লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়
- বাবাকে নিয়ে কিছু কথা
ছেলেটাকে বলেছিলাম " আমার পরিবার তোমায় মেনে নিবে না।ওনাদের চাকরিজীবী জামাই চাই "
" চাকরির চেষ্টা তো করছি।হচ্ছে না তো "
" কি করবে তাহলে? "
" তুমিই বলে দাও কি করবো "
" আমায় নিয়ে দূরে কোথাও যাওয়ার সাহস আছে তোমার? "
ছেলেটা বিষণ্ন মুখ করে বললো " পালাতে পারবো না।পরিবারের মত নিয়ে তবেই বিয়ে করবো।তুমি ওনাদের একমাত্র মেয়ে।তোমার বিয়ে নিয়ে ওনাদের মনে হাজারো অনুভূতি "
" তাহলে কি করবো? তোমায় ছাড়া থাকতে পারবো না।অন্য কারোর সাথে বিয়ে হলে সুই"সাইড করবো এই বলে রাখলাম।আমার জেদ তো তুমি জানোই "
তার ঠিক দু’মাস পর আমার বিয়ে ঠিক হলো।বিয়ের দিন সকালে ওকে ফোন করে বললাম
" আজ আমার বিয়ে "
ছেলেটা বললো " আমি সবাইকে মানানোর চেষ্টা করবো।তুমি ভেবো না,তোমার বিয়ে আমার সাথেই হবে "
দুপুরের দিক ও বাড়িতে এসে উপস্থিত।বাবার ঘরে আমার ডাক পড়লো।ঘরে যাওয়ার পর বাবা বললো
" এই ছেলেকে চেনো? "
মাথা নীচু করে বললাম " হ্যা "
ছেলেটা বাবার পা জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো আমাদের ভালোবাসার কথা।বাবার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।মা ইতোমধ্যে আমার গা"লে কয়েকটা চ"র বসিয়ে দিয়েছে।
সব শুনে বাবা বললো " দরজা খুলে দিচ্ছি,সোজা চলে যাবি।পেছন ফিরে তাকালে ঠ্যাং ভেঙ্গে রেখে দিবো।ওঠ,যা "
ও করুন চোখে আমার দিকে তাকালো।আমার বু"কে ততক্ষণে চিনচিন ব্যথা শুরু হয়েছে।যাওয়ার সময় শুধু আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।
মনে মনে ঠিক করলাম যাই হয়ে যাক,বিয়ে করবো না।আ"ত্নহ"ত্যা করতে হলে তাই করবো।
সন্ধায় বাড়ির সামনের রাস্তা ভর্তি শতশত মোটরসাইকেল হাজির হলো।আমি বিস্মিত হয়ে ঘরের বাইরে এলাম।পুরো বাড়ি থমথমে।বাবাকে ঘিরে দাঁড়িয়েছে চার পাঁচটা ছেলে।ও আমার কাছে এসে বললো
" বাবাকে মানাতে চেয়েছিলাম।পারিনি,তবে একদিন ঠিক পারবো।বিশ্বাস রাখো,তোমার পরিবার একদিন আমায় নিজের ছেলে করে নিবে। যাবে আমার সাথে? "
সেদিন বিয়ের আগ মুহুর্তে ও আমায় নিয়ে পালিয়েছিলো।আজ বিয়ের দুবছর পূর্ণ হলো।কোল জুড়ে ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছে।
সন্তান হওয়ার পর যখন মি মোটামুটি সুস্থ তখন ও আমায় নিয়ে বাইরে এলো।রাস্তায় মাইক্রো দেখে বললাম
" মাইক্রো কেনো?কোথায় যাবো? "
" শ্বশুর বাড়িতে "
" তুমি কি পাগল হয়ে গেলে? বাবা এতোটাই রেগে আছে যে এতোদিনে একটাবার খোঁজ ও নেয়নি "
" চলোই না "
ভয় ভয় নিয়ে গেলাম।বাড়ির সামনে আসতেই পুরনো অনুভূতি গুলো মনে পড়ে চোখ ভিজে উঠলো।মেয়েকে কোলে নিয়ে বাড়িতে ঢুকলাম।
দেখলাম বারান্দায় বাবা বসে দাড়ি সেভ করছেন।আমাদের দেখে বাবার চোখ শান্ত হয়ে গেলো।একপলক কোলের বাচ্চার দিকে তাকিয়ে ঘরে ঢুকে গেলো।বুঝলাম বাবার মন এখনো গলেনি।
তবে মা আমার মেয়েকে দেখে খুশিতে আত্মহারা।ইতোমধ্যে পাড়ার লোক জড়ো করে ফেলেছে।সবাইকে বলেছে " আমার মেয়ের রাজকন্যার মতো ফুটফুটে মেয়ে হইছে।আহা,আজ আমার কি যে খুশির দিন! "
মাকে বললাম " মা একটু দুধের ব্যবস্থা করো।ওর খিদে পেয়েছে "
মা ব্যস্ত হয়ে ঘরে গেলো দুধের খোঁজ করতে।অন্য ঘর থেকে বাবা মায়ের কথোপকথন শুনতে পেলাম।বাবা বলছে
" আর কতবার বলবো দিদিভাইকে নিয়ে আসো একটু? কি ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে,যাও নিয়ে আসো,আমি কোলে নিবো "
মা বিরক্তির স্বরে বললো " ওর এখন খিদে লাগছে,কান্না করতেছে।আগে যাও দুধ নিয়ে আসো "
" এখন দুধ কই পাবো! দাঁড়াও চার দোকানে গিয়ে খোঁজ করি "
" দোকান তো অনেক দূর,সময় লাগবে "
" দৌড়ে যাবো আর আসবো।বেশি সময় লাগবে না "
এতটুকু বলে বাবা দৌড়ে বেড়িয়ে গেলেন।ওনাদের মধ্যেকার এসব কথা শুনে আমার বু"ক ফে"টে কান্না আসতে লাগলো।নাতনিকে কাছে পেয়ে তাদের কতোই না আনন্দ,কতো খুশি! দুবছরের এতো রাগ,অভিমান গলতে দু মিনিট সময় ও লাগলো না।
রাতে বাবা কাতল মাছ কিনে আনলো।খাবার সময় মাছের মাথাটা বাবার প্লেটে দিলে বাবা গম্ভীর স্বরে বললো
" জামাইয়ের প্লেটে না দিয়ে আমায় দিচ্ছো কেন? "
কথাটা বলে বাবা নিজেই তার প্লেট থেকে মাথাটা তুলে স্বামীর প্লেটে দিলেন।বাবাকে এতো আনন্দিত এর আগে কখনো দেখিনি।
- মা বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস
" টাকা না দিলে কিন্তু গ"লায় দ"ড়ি দিবো।কেমন বাবা মা তোমরা,সামান্য টাকা চাচ্ছি তাও দিতে পারো না "
কথাটা শেষ হতে না হতেই গা"লে প্রচন্ড চ"র বসিয়ে দিয়ে মা বললো " তোর বাবার অসুখ।রোজ ওনার পেছনে এতো এতো টাকা যাচ্ছে।এরমধ্যে তুই এসে নাটক শুরু করলি? "
প্রচন্ড ক্ষোভ,রাগ নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলাম।অপমানের জবাব নিতে রাতে বাবার মানিব্যাগ থেকে ২৭০০ টাকা চুরি করে পালালাম।যেন খুঁজে না পায় তাই ফোন বন্ধ করে রাখলাম।
টাকাটা দিয়ে দুইদিন ইচ্ছে মতো ঘুরলাম,ফিরলাম।দুদিন পর বাড়ি ফিরে দেখি বাড়িটা শ্মশানের ন্যায় পড়ে আছে।মা দরজার কাছে বসে কাঁদছে।
কারণ জানতে চাইলে ছোট বোন বললো
" দাদা,তুই যে টাকাটা নিয়ে চলে গেছিস সেটা বাবার ঔষধের জন্য রাখা ছিলো।রাতে টাকা না পেয়ে ই"নজেকশনের ওষুধ আনতে পারিনি।তোকে হাজারবার ফোন করলাম,ফোন বন্ধ!বাবা গতকাল মা"রা গেছে "