রোমান্টিক ফানি স্ট্যাটাস | বিয়ে নিয়ে ফানি স্ট্যাটাস

  •  ফানি পোস্ট মেয়েদের

ফানি পোস্ট মেয়েদের

বাসরঘরে ঢুকতেই বউ আমাকে সালাম করে জিজ্ঞেস করল, " কেমন আছেন লাবিব ভাইয়া? "

ভাইয়া শব্দটা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না, ইচ্ছে করছিল দেয়ালে মাথা ঠুকে সুইসাইড খাই।


বিয়েটা করেছি পারিবারিকভাবে। বর্তমান যুগে বিয়ে করতে গেলে সবাই অল্পবয়সী মেয়ে খুঁজে, আমার বেলায়ও অন্যটা হয়নি। পারিবারিক মতামতে বিয়ে করলাম ক্লাস নাইনে পড়ুয়া এক সুন্দরী মেয়েকে। বাসর রাতে বউ আমাকে ভাই বলাতে একদম থ হয়ে গেলাম৷ প্রশ্ন করলাম, " আমাকে ভাই বলছো কেন? "

সে স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিল, " আপনার আম্মু আমাকে বলেছে, আজ থেকে উনাকে 'মা' বলে ডাকতে। "

" হ্যাঁ, এটাই তো স্বাভাবিক। মা'ই তো ডাকবে! "

বউ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, " তো আপনার মা যদি আমারও মা হয়, তাহলে তো আমরা ভাই-বোন তাইনা? "

বউয়ের যুক্তি দেখে দু-চোখ থেকে আবেগে আধা ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল৷ অধিক শোকে পাথর হয়ে খাটের এক কোণে বসে রইলাম। 


" এই যে ভাইয়া, শোনেন! "

'ভাইয়া' ডাকটা শুনে দুঃখে আমার কলিজা ফেটে কিডনিতে গিয়ে লাগল। জন্ম থেকে এই পর্যন্ত যতটা মেয়ের প্রতি ক্রাশ খেয়েছি, সবগুলো মেয়েই আমাকে 'ভাইয়' ডেকে আমার প্রপোজ করাতে পানি ঢেলে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমার বউও ভাইয়া ডাকাটা বাদ দিলো না৷ এ জীবন রেখে কী লাভ! ইচ্ছে হচ্ছে মেয়েটাকে বিষ খাইয়ে আমি সুইসাইড করি৷ নিজেকে সামলে সাড়া দিয়ে বললাম, " হ্যাঁ, বলো বইনা৷ "

" একটা বিড়াল এনে দিবেন? "

বউয়ের মুখে এমন কথা শুনে অবাক হয়ে ওর দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে বললাম, " বিড়াল দিয়ে কী করবে শুনি? "

" ভাবী বলেছিল বাসর রাতে বিড়াল মারতে যেন ভুল না করি। "

একটা মানুষ কী করে এতোটা গাধীরাম হতে পারে চিন্তা করতে লাগলাম। চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে আমার হাতে একটা ধাক্কা দিয়ে মাইশা বলল, " এনে দিন না একটা বিড়াল৷ "

ছলছল নয়নে ওর দিকে তাকালাম৷ মেয়েটার চেহারা বেশ মনোমুগ্ধকর, মায়া-মায়া ভাব আছে৷ কিন্তু মাথায় যে ঘিলু বলতে কিছু নেই সেটা আমার আর বুঝার বাকি রইল না। বললাম, " আচ্ছা ঠিক আছে, কালকে বাজার থেকে একটা বিড়ালের বাচ্চা এনে দিব তোমাকে। "

" কিন্তু ভাবি তো বলল, প্রথম রাতে বিড়াল মারতে৷ "

রেগে গিয়ে বললাম, " তো ভাবির বাড়ী থেকে একটা বিড়াল নিয়ে আসলেই পারতা, আমার মতো সাদাসিধে ছেলেটার সাথে কেন এমন করছো? "

বউ চুপচাপ শুয়ে পড়ল বিছানায়৷ বউয়ের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে আজও আমাকে ব্যাচেলারদের মতো রাত কাটাতে হবে। সব ইচ্ছে মনের মধ্যে ধামাচাপা দিয়ে মাঝখানে একটা কোলবালিশ দিয়ে আমিও শুয়ে পড়লাম৷ 

মাঝরাতে বউ আমাদের মাঝের কোলবালিশটা সরিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, " ভাইয়া, আমার না খুব ভয় লাগছে। "

আমি কথা না বাড়িয়ে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম, " মাঝরাতে এখানে ভূত আসে, আলাদা কাউকে দেখলেই ঝাপটে ধরে৷ ভালো করে জড়িয়ে ধরো আমাকে। "

আহ, কী রোমান্টিক অনুভূতি! মনে হচ্ছে এই বুঝি ব্যাচেলর লাইফটা কেটে গেল আমার।


বউয়ের মুখে ভাইয়া ডাক শুনতে শুনতে কান আমার ঝালাপালা। ছুটি থাকা সত্ত্বেও বেরিয়ে গেলাম অফিসের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পরপর মাইশা আমাকে কল দিচ্ছে। রিসিভ করতেই বলছে, " বাসায় কখন আসবেন ভাইয়া? বাসার ফেরার পথে বিড়াল আনতে ভুলবেন না কিন্তু! আজকে যে করেই হোক বিড়াল মারতে হবে। "

কথায় কথায় ভাইয়া বলাটা বোধহয় মাইশার একটা বদ অভ্যাস৷ কিছু বলার সাহস হচ্ছিলো না কোনোবারই। শুধুমাত্র "হ্যাঁ" বলেই কল কেটে দিচ্ছি প্রতিবার। 

 বিকেলে যখন ক্যান্টিনে খাওয়াদাওয়া করে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আম্মুর কল। রিসিভ করতেই বললেন, " বাবা, মাইশা আমাকে শুধুশুধু প্রশ্ন করছে, ভাইয়া আসবে কখন? আসার পথে মাইশার ভাইয়াকে কল দিয়ে নিয়ে আসিস তো। "

আবেগে দুচোখ বেয়ে আঁড়াই ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল। " ঠিক আছে৷ " বলে কল কেটে দিলাম।


একটা খাঁচাতে বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে বাসার কলিংবেলে হাত চাপলাম৷ দেখলাম মাইশা দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখেই মাইশা জোরে বলতে লাগল, " আম্মু, দেখো ভাইয়া এসেছে৷ "

হাত থেকে বিড়ালের খাঁচাটা রেখে ওর মুখ চেপে ধরলাম। সে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে চোখগুলো এদিক-সেদিক ঘুরাছে৷ কিছু বলার চেষ্টাও করছে। মুখ চেপে ধরে টেনেহিঁচড়ে আমার রুমে নিয়ে গেলাম৷ বললাম, " তুমি আম্মুর সামনে আমাকে ভাইয়া ডাকবে না। "

" কেন! কী হয়েছে? আজ সারাদিন তো 'ভাইয়া' বলে আপনার কথাই বললাম৷ "

আবারও বললাম, " ঠিক আছে, কারোর সামনে আমাকে ভাইয়া ডাকবে না বুঝেছো? "

" আচ্ছা ঠিক আছে। "

শান্তভাবে আমার পাশে মাইশা বসে বিড়ালটা নিয়ে খেলা করছে। কিছুক্ষণ পর মাইশা বলল, " বিড়ালটা খুব কিউট, এটাকে আমি আর মারবো না। আদর করবো। "

আমি আর কিছু বললাম না। 


প্রথমবার যখন শশুরবাড়িতে গেলাম। লক্ষ্য করলাম ভাবির সাথে বসে মাইশা কী যেন গুঁজুর-গুঁজুর করছে। আঁড়ি পেতে শোনার চেষ্টা করলাম। ভাবি বলছে, " কিরে! বিড়াল মারলি? "

মাইশা উত্তর দিলো, " উনি বিড়াল কিনে এনে দিয়েছিলেন, কিন্তু বিড়ালের বাচ্চাটা দেখে খুব মায়া হলো তাই এটাকে বাসাতেই রেখে দিয়েছি। "দুঃখে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হলো। লক্ষ্য করলাম ভাবি মিটিমিটি হাসছে।

অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছালো৷ কিন্তু মাইশার মুখের ভাইয়া ডাকটা সরাতে পারলাম না আর৷ যাইহোক, ব্যাচেলর লাইফ থেকে তো মুক্তি পেলাম। তবে মেয়েটা আমাকে ছাড়া কিছু বুঝেনা কিন্তু, সবসময় পিঁছু পড়েই থাকে। 


বিয়ের পাঁচ মাস যেতেই লক্ষ্য করলাম মাইশা ঘনঘন বমি করছে৷ আম্মুও কেমন জানি দুষ্টূমির নজরে আমার দিকে তাকায়৷ বেশ হাসিখুশি পরিবারের সবাই, কিন্তু কেমন জানি সবাই এড়িয়ে চলছে আমাকে৷ রাত হতে মাইশাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলাম, " আচ্ছা, সবাই আমাকে এভাবে এড়িয়ে চলছে কেন? "

বিশ্বাস করেন ভাই, এরপর যা শুনলাম আমি তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। মাইশা মিটিমিটি হাসলো, আমার বুকে মুখ লোকালো। আস্তে করে বলল, " আপনি মামা হতে চলেছেন। "

ভাইয়া🤐😔।


           (গল্পটি -সমাপ্ত।)

গল্পঃ বউ_যখন_ভাইয়া_বলে😐

  • ফানি স্ট্যাটাস বাংলা

একদা শাশুড়ি আমার কাছে এসে করুন স্বরে বললো ফেসবুক একাউন্ট খুলে দিতে। আমি কিছুক্ষন তার দিকে তাকিয়ে থেকে বললাম,

_ আচ্ছা মা, দিচ্ছি।

নিজের মোবাইল নম্বর ইউজ করে একটা জিমেইল খুললাম। তারপর ফেসবুকে ফার্স্ট নেইম দিতে যাবো এমন সময় উনি বললেন,

_ নাম কি দিচ্ছিস?

_ কেনো মা? আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নামই তো দিচ্ছি। আসমা বেগম।

_ না না! এই নাম দিস না। 

চোখ কপালে তুলে বললাম,

_ তো কি নাম দিবো?

_ সুন্দর দেখে নাম দে। যেনো নাম দেখেই সবাই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়। 

আমি অংকে কাচা। তবুও ক্যালকুলেশনে নেমে গেলাম। কেমন নাম দিলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসতে পারে? বহুত কষ্টে ঠিক হলো " প্রিন্সেস আসমা " প্রিন্সেস টা শাশুড়ির অনুরোধে এড করতে হলো।

এবার বিবাদ বাজলো বয়স নিয়ে। তিনি তার অরিজিনাল বয়স কোনোভাবেই দিবেন না। ১৯৭২ এ জন্ম। কিন্তু এত বয়স জানলে কেউ পোস্টে ভালো কমেন্ট করবে না। আমি অসহায় ভঙ্গিতে বললাম,

_ এমন কিছু না, মা। এত কিছু কেউ দেখেই না!

_ তোকে কে বলেছে? পাশের বাসার ভাবীর ৫০ এর কাছাকাছি বয়স। উনার ফেসবুকের বয়স ২৭। আমাকে দেখিয়েছে সবাই তার পোস্টে সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে। বিউটিফুল, নাইস এসব লিখে। তুই বয়স কমিয়ে দে।

ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করলাম, 

_ কত বয়স দিবো? 

_ ২৬ দে।

আমার চোয়াল ঝুলে পড়লো। নিজের বয়সই তো ২৮! তবুও বাধ্য হয়ে শাশুড়ির বয়স ২৬ দিতে হলো।

বয়স মাথায় রেখে স্কুল, কলেজ ইত্যাদি এবাউট এ দেওয়া হলো। ওয়ার্কে দেওয়া হলো " পাপ্পাস প্রিন্সেস! "

এবার প্রোফাইল পিকচারের পালা। মনে মনে চিন্তা করছি, অন্য কোনো মেয়ের ছবিই এড করতে বলে নাকি! নাকের ওপর বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে আমার। শাশুড়িকে দেখেও কিছুটা চিন্তিত মনে হচ্ছে। 

_ ছবি সুন্দর না হলে তো লাইক পড়বে না। তাইনা বৌমা?

উদাস কন্ঠে বললাম,

_ জ্বি মা।

গভীর চিন্তায় আচ্ছন্ন শাশুড়ি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেন, 

_ বৌমা, ইউক্যাম মেকাপ নাকি কি জানি আছে একটা। ওটা মোবাইলে নামিয়ে দেও।

আমার মাথা চড়কির মতো ঘুরছে। কাঁপা হাতে প্লেস্টোর থেকে এপটা নামিয়ে দিলাম। শাশুড়ি খুশিমনে এবার মোবাইল হাতে তার ঘরে চলে গেলেন। আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

রাতে জামাইয়ের বুকে শুয়ে মোবাইল গুতাচ্ছি। উনিও মোবাইল গুতাচ্ছে। হঠাৎ চোখ দুটো গোল আলু বানিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো,

_ " এই আদিবা! মাকে একাউন্ট খুলে দিয়েছে কে?"

এক লাফে শোয়া থেকে উঠে বসলাম। 

_ " কেনো কি হয়েছে? "

জামাই ফোন এগিয়ে দিলো আমার দিকে।

দেখলাম শাশুড়ি তার ছেলেকে রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। তাড়াতাড়ি রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলাম। ডিপিতে ভালোমতো চোখ পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ!

চোখে আই লাইনার, ঠোঁটে লিপস্টিক দাওয়া এক যুবতির ছবি। 

তাতে ২০০+ লাইক। ৬০+ কমেন্ট।

এর মধ্যে একটা কমেন্ট এমন,

_ " তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি একি মোর অপরাধ? "

শাশুড়ির রিপ্লাই,

_ " খুঁজে পাবে নাক মোর মতো সুন্দরী, ভেঙ্গে ফেলো দৃষ্টির বাঁধ। "

শাশুড়ির_ফেসবুক__বিভ্রান্তি

ফানি স্ট্যাটাস বাংলা ২০২৪

বিয়ের তেরদিনের মাথায় মাঝরাতে বউ ঘুম থেকে তুলে বললো, 

-- 'তোমারে আমার প্রেমিক জব্বারের কথা কি বলেছিলাম?'

আমি ঘুম ঘুম চোখে অবাক হয়ে আছি। প্রেমিক থাকতেই পারে কিন্তু সেই প্রেমিকের কথা বলার জন্য রাত তিনটায় নিশ্চই আমাকে তুলবেনা। 

আমি শুধু গম্ভীর ভাবে বললাম, 

-- 'কোন জব্বার?'


বউ হাই তুলতে তুলতে বললো, 

-- 'আমার খালাতো ভাই জব্বার' 

বলেই পাশ ফিরে ঘুমিয়ে গেলো।

'

'

'

'

দুই দিন টেনশনে খাওয়া দাওয়া ছাড়া শেষে ভালোমত খোঁজ নিয়ে দেখি জব্বার নামে বউয়ের কোন খালাতো ভাই নাই। 

বউরে বললাম, 

-- 'তোমার তো জব্বার নামে কোন খালাতো ভাই নাই।'

সে হাসি হাসি মুখ করে বললো, 

-- 'ওর নাম জেবু।'

আমি শুধু জব্বার ডাকতাম, 

-- 'জেবু নামে খোঁজ করো পেয়ে যাবা।'

বিয়ে করে মানুষ টেনশন মুক্ত হয় আমি পরলাম বিরাট টেনশনে। আবার খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি জেবু নামে কেউ আছে কিনা শেষে দেখি সত্যি আছে তবে তার বয়স চার বছর তিন মাস।

স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বউরে বললাম, 

-- 'তোমার জেবু তো চার বছরের বাচ্চা।'


বউ হাসতে হাসতে বললো, 

-- 'ওইটা ছোট জেবু ওর বড় ভাইয়ের নাম ছিলো জেবু।সে ঝগড়া করে বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, ফলে বড় ছেলের নামে ছোট ছেলের নাম রাখা হয়।'

.

টেনশনে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে আবার খোঁজ নিলাম এখন দেখি ওদের সন্তান একটাই। পিচ্চির নামই জেবু তাছাড়া ওর খালার বিয়ে হইছে দশ বছরের মত তাদের আর কোন সন্তান নাই। 


অধৈর্য হয়ে বউরে চেপে ধরলাম,

-- 'বিষয় কি?'


সে উদাস গলায় বললো, 

-- 'তোমারে টেনশনে দেখতে বড় মজা লাগে। টেনশনে তুমি কার্টুনের মত চারিদিকে ছুটাছুটি করো।'


তার কথা শুনে এবার সত্যি সত্যি টেনশনে পরে গেছি। 🥺

-----------

লেখা... SM.শরীফ Islam

  • ফানি ফেসবুক বায়ো

নতুন নতুন বিয়ে করলে বউ এর সাথে সবারই রোমান্স করতে একটু বেশীই মন চায়। 

আমি ও তাই করতেছিলাম। 

বিয়ে করছি ১ সপ্তাহ হইছে, গতকাল শশুর বাড়ীতে গেছি।

তিন দিন শশুর বাড়ী থাকতে হবে, গতকাল সারারাত শালা শালীরা প্রচুন্ড বিরক্ত করছে, ঘুমাতেই দেয়নি।

একটু পর পরই শালী এসে দরজায় নক করে বলে দুলাভাই চা খাবেন? বার্গার খাবেন? এই খাবেন সেই খাবেন, বলে আমার মাথা টা খারাপ করে দিয়েছিলো, 

এদিকে শালা বাবু আমার পাশে বসে তার খৎনার কাহিনী শোনাচ্ছ। 

কোন স্টাইলে কান্না করছে,কেমনে হাটা চলা করছে,কেমনে ঘুমাইছে, আর কি কি করছে,একেবারে 

A টু Z পর্যন্ত বলছে।

রাত সাড়ে তিনটা বাজিয়ে ফেলছে।

ওই দিকে আমার উনি আরামছে লম্বা একটা ঘুম দিছেন, মাইনকার চিপায় আমারে রেখে।

না পাড়তাছি কিছু বলতে না পাড়তাছি সহ্য করতে।

যাক ৩ টা ৪৭ মিনিটে শালাবাবুর কাহিনী বলা শেষ হইছে 

শালারে রুমে থেকে বের করে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে গেছি, 

ঘুমটা আসতেই বউ ডাকা ডাকি শুরু করে দিছে, 

সকাল ৮ টা বেজে গেছে, অনেক জোরাজোরি করে ও আরেকটু সময় ঘুমাতে পারিনি,। 


১০ টার সময় না কি আমার চাচা শশুর এর বাসায় নাস্তা করতে হবে মেহমানদারী করতে হবে তাই এখনই ঘুম থেকে উঠতে হবে।


কি আর করা ঘুম ঘুম চোখে উঠলাম, গোসল করতে যাবো বউ বাতরুম দেখিয়ে দিলো, এর ভিতরে হঠাৎ মাথায় শয়তানী বুদ্ধি ডুকে গেলো, 

ইচ্ছে করে লুঙ্গি বাহিরে রে রাথরুমের ভিতরে ডুকে গেছি। 


তারপর বউ কে ডেকে বললাম লুঙ্গি টা দাও, বউ বলে দাঁড়াও দিচ্ছি, আমি মনের আনন্দে গোসল শেষ করে বউ এর জন্য অপেক্ষা করতাছি কখন লুঙ্গি নিয়ে আসবে। 


শয়তানী বুদ্ধি টা হলো, যখন বউ লুঙ্গি নিয়ে আসবে তখন বউ কে টেনে ভিতরে ডুকিয়ে কয়েকটা কিস টিস দিমু আর কি🙈🙈🙈


আবার বউ কে ডাক দিলাম কোথায় গেলা লুঙ্গি টা দিয়ে যাও, বলে বাথরুমের দরজা খুলে হাত বাড়িয়ে রাখছি। 

বউ বলে দিচ্ছি, এত পর বউ লুঙ্গি নিয়ে আসলো,

আমার হাতে লুঙ্গি দিতেই বউ এর মুখ না দেখে আমি বউ এর হাত ধরে ফেলছি।


হাত ধরে টানাটানি বউ টানে বাহিরের দিকে আমি টানি ভিতরের দিকে,

পুরুষ মানুষ তো তাই বউ টানাটানি করে পারেনি,

টেনে হেঁচড়ে ভিতরে ডুকিয়ে দরজা বন্ধ করতে যাবো 

তখন জোরে ওমা গোওওওওওওওও বলে চিৎকার মারছি।

শশুড় বাড়ীর সব বাথরুমের সামনে জড়ো হয়ে গেছে, 

হইছে কি বউ লুঙ্গি দিতে দেরী হচ্ছে বলে শাশুড়ী নিজেই লুঙ্গি দিতে চলে আসছিলো😷

বউ মনে করে আমি এই কামটা করে ফেলছি,🥺🥺

শাশুড়ী হাসতে হাসতে বাতরুম থেকে বের হয়েছে 

আমি তারাতাড়ি বাথরুমের দরজা বন্ধ করে ভিতরে বসে আছি।

সব ঘটনা শাশুড়ী সবাইকে বলতেই হাসাহাসির প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলো,

শালা শালী হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে 


এই দিকে আমি বেচারা লজ্জায় আর বাতরুম থেকে বের হতে পারছি না🥺🥺🥺🥺

কি কামডা করলাম,আর কখনো এমন রোমান্স করার চিন্তা ও করবো না আমি🥺

কিছুক্ষণ পর বাহির থেকে বউ ডাকতাছে সবাই চলে গেছে বের হয়ে আসো। 

আমি বাথরুম থেকে বের হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে রুমে ডুকে সেই যে দরজা বন্ধ করছি, এখনো খুলি নাই। 

রুমেই বসেই এই পোস্ট টা করছি।😷🥺🥺


সব ধরনের ভালোবাসার গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post