যৌতুক
বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলের বিল্ডিৎ ঘর আছে কিনা যাচাই
করার আগে বিল্ডিং ঘরের মানুষ গুলাে মানুষ নাকি
অমানুষ তা যাচাই করা জরুরী।
যৌতুক নিয়ে গল্প
-দুপুর ২ টায় স্বামীর 'বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলাম। এমন সময় শাশুড়ি বাহির থেকে বলে উঠে।
-বিনিতা বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেলো কবে তোমার বাবা-মা যৌতুক দিবে।
'নিশ্চুপ হয়ে শুনলাম'
-কি হলো উত্তর দিচ্ছোনা কেনো। একটু আগেই তো স্বামীর সঙ্গে ফিস ফিস করে কথা বল্লে।
-ভিতর থেকে উত্তর দিলাম! মা আমাদের পরিবারে একটু সমস্যা চলতেছে। অপেক্ষা করুন দিয়ে দিবে।
-এই অপেক্ষা অপেক্ষা আর ভালো লাগেনা। তোমার বাবা মাকে ফোন দিয়ে বলো এই সপ্তাহের ভিতরে আমাদের টাকা চাই।
-ঠিক আছে মা বলবো।
-এক সপ্তাহের ভিতরে টাকা দিতে না পারলে এই সংসার আর হবেনা।
'শাশুড়ির মুখে এমন কথা শুনে বিনিতা তার স্বামীকে বলে। অভয় তুমি একটু মাকে বুঝাওনা প্লিজজ। আমাদের বাড়িতে বতর্মান অনেক সমস্যা চলতেছে।
-আমি এই সব নেই বিনিতা। তোমার বাবা মা যেই টাকা দিতে চেয়েছে সেইটা দিয়ে দিলেই তো কাহিনী শেষ!
ওহ!
'সবাই যখোন এতো করে বলতেছে, তাই বিনিতা বাসায় ফোন দিয়ে কথা বলে।
-হ্যালো বাবা।
-হ্যাঁরে মা আমি তোর বাবা বল কি বলবি।
-বাবা আমার শশুর শাশুড়ি যৌতুক চায়। আর যৌতুক না পেলে আমার সংসার হবেনা।
-তাদের একটু বুঝিয়ে বলনা কয়টা মাস দেরি হবে।
-বাবা অনেক বুঝিয়েছি তদের একটি কথা এই সপ্তাহে যদি টাকা না পায় তাহলে সমস্যা হবে।
-ওহ ঠিক আছে আমি দেখতেছি তুই চিন্তা করিশনা মা আমার।
-আচ্ছা বাবা।
'এর ঠিক ২দিন পরে বিনিতার বাবা যৌতুকের সব টাকা নিয়ে মেয়ের বাড়িতে চলে যায়।
'টাকা পেয়ে সবাই বেশ খুশি' কিন্তু বিনিতার মুখে হাসি নেই। কারন সে জানেনা তার বাবা এতো তারা তারি টাকা কোথায় পেলো।
'একটু পরে বিনিতা তার বাবাকে ডাক দেয়'
-বাবা তুমি এতো টাকা কোথায় পেলে সত্যি করে বলবা কিন্তু বললাম।
-আরে তুই এই সব চিন্তা করিশনা।
-প্লিজজ বাবা বলো' আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।
-আমাদের বাড়ি ভিটা সব বিক্রি করে দিয়েছি মা এই টাকার জন্যে।
-কিইই তোমরা এখন থাকবে কোথায়।
-আমাদের চিন্তা করিশনা। তোই সুখে থাকলেই আমাদের সুখ।
'বাবার মুখে এমন কথা শুনে বিনিতা নিস্তব্ধ' বাবাকে আর কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা'
-এই পাগলি কান্না করিশনা থাক আমি গেলাম।
-বাবা আমার সুখের জন্যে তোমার সুখটাই বিক্রি করে দিলে।
'বিনিতার মন কথা শুনে বাবা মুচকি হেসে চলে যায়'
"এটাই বুঝি বাবা মায়ের ভালোবাসা ' এটাই বুঝি তাদের আত্তত্যাগ' এটাই বুঝি একটি বট গাছের ছায়'
অনুগল্প :যৌতুক
কাহিনী ও লেখনীতে :মি_হাসিব
বিয়ে নিয়ে স্ট্যাটাস
আমাদের সময় "ধাতুক্ষয়" নামক এক ধরনের অদ্ভুত যৌনরোগ ছিলো। অল্প বয়সী ছেলেদের হতো। এই রোগের চরম ও চূড়ান্ত চিকিৎসা ছিলো বিবাহ।
আমার সমবয়সী বন্ধু বজলু এই অদ্ভুত ধাতুক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ধাতু রোগের প্রভাবে তার শরীর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে খানখান, চোখ ঢুকে গেছে গর্তে , দিনদিন সে কঙ্কালিক দেহাবয়বের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বজলুকে বাঁচাতে তার বাপ চাচারা সলাপরামর্শ করে ধাতুক্ষয় রোগের চরম ও চূড়ান্ত চিকিৎসা বিবাহের বন্দোবস্তো করলো। দিন-দশেকের মধ্যেই পাশের গ্রামের এক ডাগর আঁখির চঞ্চলা হরিণীর সাথে বজলুর বিবাহকাব্য রচিত হলো।
নববিবাহিত বজলু হুড তোলা রিকশায় লাল চাদর পেঁচিয়ে নববধূ নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যায়।
বউভক্ত বজলু বউয়ের জন্য রসগোল্লা কিনে, শ্বাশুড়ির জন্য পান সুপারি কিনে, ছোট্ট শালির জন্য আদুরে খেলনাপাতি কিনে।
বিবাহ সম্পাদনের পরপরই অভূতপূর্বভাবে বজলুর হারানো স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার হলো। ঈর্ষনীয় আনন্দময় জীবন পেলো ধ্বজভঙ্গ বজলু।
বজলুর এই জীবনধারা দেখে আমার মানসপটে একটাই আকাঙ্খা, কেন আমার ধাতুক্ষয় রোগ হচ্ছে না!
একদিন একান্ত আলাপে বজলুকে বললাম,
- বন্ধু, কি করলে এই রোগ হবে?
প্রিয় বন্ধু বজলু কাউকে না বলার শর্তে ধাতুক্ষয় রোগের প্রারম্ভিক ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানালো। এবং আমি সে অনুযায়ী প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলাম।
তারপর একদিন আমার এক প্রতিবেশী দাদাকে ঘটনা জনালাম,
- দাদা, আমার তো বজলুর মতো ধাতুক্ষয় রোগ হইছে।
দাদাজান বিস্ময়ে চোখ কপালে তুলে বললেন,
- কস কী?
- জী দাদাজান, আব্বাকে বলেন চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে।
অতঃপর এক কাক ডাকা দুপুরে আব্বা আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি আব্বার সামনে লজ্জাবনত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
ভেবেছিলাম ধাতুক্ষয় রোগের চিকিৎসা বিষয়ক কথাটথা হবে, কিন্তু না!
কোনোকিছু বুঝার আগেই আব্বাজান আমার মাথা, কান ও গালের সম্মিলন স্থলে একটা কুংফু থাপ্পড় লাগালেন।
আব্বার থাপ্পড় শিল্প পর্যায়ের। প্রথমার্ধে ঝিমঝিম অনুভূতি হয় দ্বিতীয়ার্ধে ফার্স্ট টাইম গাঁজা খেলে যেমন অনুভূতি হয় তেমন লাগে।
থাপ্পড় খেয়ে আমি ঢলো ঢলো পায়ে মাতালের মতো হেঁটে গৃহ থেকে ক্ষানিক দূরের এক আম্রবাগানে পা মেলে বসে আছি।
মাথা কাজ করছেনা, মনে হচ্ছে মস্তিষ্কের ইকুইলিব্রিয়াম পুরোপুরি ডেমেজ হয়ে গেছে।
আব্বার ঐ থাপ্পড়ের সুদূরপ্রসারী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমার ধাতুক্ষয় রোগ সমূলে উৎপাটন করতে সক্ষম হয়।
অভিবাদন হে পিতা 🫡
যৌতুক নিয়ে কিছু কথা
বিয়ের পর 👰
যদি আমার বাবার বাড়ি থেকেই, 👉🏡
সব জিনিস পত্র নিয়ে যেতে হয়, 🚚
তাহলে তো আমি👩🦰
আমার বাবার বাড়িতে থাকতে পারি ভাই,🏡
তোমার 👉🤵
বাড়িতে যাওয়ার কি দরকার,।🏠👈
আমাকে রাখার মতন বিছানা হবেনা,🛏️
আমার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার মত আলমারি,ড্রেসিং টেবিল,শোকেস হবেনা,🚪🛋️
লেপ-কাঁথা, বালিশ সবই নিয়ে যেতে হবে।
তাহলে তুমি কি এতোদিন গাছ তলায় থাকতে?🌴
নাকি ঘরে কিছু নেই,,🏠
শুধু তুমি একাই থাকতে,,🤵
নাকি বিয়ে করে,,👳♂️👰
ঘরের যাবতীয় জিনিস নেবে ভেবেছ!🏠🛏️🛋️🚪
কোনটা,?
আবার এগুলোকে নাকি যৌতুক বলা যাবে না,🤫
উপহার হিসেব করা হবে,🎁
তাহলে এক কাজ কর,,
তুমি আমার বাড়িতে চলে এসো,!👳♂️👉🏠
আমার বাড়িতে দুইজনে একসাথে সংসার করবো,,!👳♂️👰
আর হে তোমার কিছু আনতে হবে না..
শুধু তুমি আসলেই চলবে।🙂
নিঃশঙ্কচে থাকতে পারো,।🙂😊
আত্ত মর্যাদা সম্পুর্ণ পুরুষ👉🤵
কখনো শশুর বাড়ির👉🏠
টাকা 💵
ফার্নিচারের 🚪🛋️🛏️
আশা করে না,,।
কাউকে ছোট করে পোস্ট করা হয়নি,,
তাও যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🙏🙏
-সমাপ্ত____
গল্প-শশুর_বাড়ি
লেখক তরিকুল_ইসলাম_তিশান