- কষ্টের স্ট্যাটাস
মেয়েটিকে বললাম " বিয়ের আগে আর পরের মধ্যে পার্থক্য কি? "
মেয়েটা বললো " বিয়ের আগে ছিলাম বাবার রাজকন্যা "
" আর এখন? "
" এখন হয়েছি শ্বশুর বাড়ির চাকরানী!কাজ করার যন্ত্র।আগে আমার মুখে বাবা-মা খাবার তুলে দিত!আর এখন আমাকে সবার মুখে খাবার তুলে দিতে হয়
আগে সবার আগে আমি ভাত খেতাম,এখন সবার পড়ে খাই,কখনো কখনো স্বল্পতার জন্য সাদা ভাত খেয়েই রাত পার করতে হয়।আগে ব্যথা পেলে চিল্লাচিল্লিতে সারা বাড়ি মাথায় তুলতাম।এখন ব্যথা পেলে টু শব্দটিও করি না,সহ্য করে নিই।আগে হাসার জন্য মা বকতো!এখন কাঁদতে গেলেও ভয় হয়!এই বুঝি শ্বশুর বাড়ির লোকজন চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় এটা বাবার বাড়ি না,এখানে থাকতে হলে না কেঁদে সব কষ্ট সহ্য করতে হবে!আগে একটু মন খারাপ হলে মা বুঝে ফেলতো।এখন ভিতরটা চুরমার হয়ে যায়,কেউ টের পায় না!স্বামীও না।আগে ভাবতাম বাহিরের জগৎটা অনেক শান্তির।এখন বুঝি মায়ের আঁচলের নিচের স্বর্গে ছিলাম।
গল্প সংসার
- চাপা কষ্টের স্ট্যাটাস
শ্বাশুড়ি মায়ের প্রে"গন্যান্সির খবর পেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়লাম!
দুঃখে,কষ্টে বু"ক হাহাকার করে উঠলো।রীতিমতো মাথায় হাত পরে গেলো আমার।স্ত্রী ভ্রু কুঁচকে বললো
" কি হয়েছে তোমার? "
নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম " কই,না তো কিছু না "
" ভূত দেখার মতো চমকে উঠলে যে! "
স্ত্রী ওনাদের একমাত্র মেয়ে ছিলো।ওকে বিয়ে করেছি শুধুমাত্র ওনাদের বিষয়সম্পদ দখল করে নিবো জন্য।কিন্তু এখন তো আশায় জল ঢেলে গেলো! সম্পত্তি কি হাতছাড়া হয়ে যাবে! এতোদিনের প্লান এভাবে নষ্ট হবে!
বিষয়টা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম।ওরা বললো " আরেহ,এতো ভেঙ্গে পড়ছিস কেন?বাচ্চাটা তো মেয়েও হতে পারে।অর্ধেক সম্পত্তি পেয়ে যাবি সমস্যা নাই "
সেই আশা নিয়েই অপেক্ষায় থাকলাম আরো সাত মাস।একরাতে স্ত্রী মন খারাপ নিয়ে কাছে এসে বললো
" মায়ের আজ আলট্রা-সনো-গ্রাফি করেছে "
স্ত্রীর মন খারা দেখে আত্মতৃপ্তির নিশ্বাস ফেললাম।বুঝতে বাকি রইলো না ওনার মেয়ে সন্তান হবে।ছেলে সন্তান হলে স্ত্রীর মুখ প্যাচার মতো হয়ে থাকতো না।বললাম
" কি সন্তান? অবশ্যই মেয়ে তাই না? আহা,মন খারাপ করে থেকো না।যা হয়েছে ভালোই হয়েছে,মেয়েরাই ঘরের লক্ষী "
স্ত্রী ধমকের স্বরে বললো " কে বলছে মেয়ে? আমার ফুটফুটে একটা ভাই হবে।এতো বছর পর ভাইয়ের অভাব পূরণ হবে, তাই ইমোশনাল হয়ে গেছি "
স্ত্রীর কথায় আমি চোখের জল আঁটকে রাখতে পারলাম না।আমার আম ও গেলো,সালাও গেলো।শ্বশুর বাড়ুর সম্পত্তি আমার আর পাওয়া হলো না।স্ত্রী বললো
" তুমি কাঁদছো কেন? "
বললাম " আমারো একটা শালার খুব শখ ছিলো।শালার বাচ্চাটা এসেও গেলো! শালার ঘরের শালা,মুঝে মারডালা "
গল্প-শালা
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- কষ্টের কথা
" মাঝরাতে সিদ্ধান্ত নিলাম খু"ন করবো।কিন্তু কাকে খুন করবো?পরিবারের কাউকে?"
এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পাঠকদের জন্য।খু"নের রহস্য ঘেরা থ্রিলার উপন্যাস লিখে পাঠকের মনে বিশাল যায়গা করে নিয়েছি।পাঠকের উপচে পড়া সমর্থন!
সবার একটাই প্রশ্ন, " লেখক, নতুন উপন্যাস কবে আসবে?অনেকদিন হয়ে গেলো,নতুন রহস্য পাচ্ছি না "
এই প্রশ্নের কি জবাব দেবো? বহুদিন হয়ে গেলো কোনো খু"নের রহস্য ভেদ করিনি।কোথাও খু"ন হচ্ছে না।পাঠকরা তো অপেক্ষা করে নারাজ।
উপায়ান্তর না পেয়ে নিজেই গভীর রাতে বেড় হলাম ধা"রালো ছু"রি নিয়ে,উপন্যাসের প্লট খুঁজতে।পাঠকরা শীঘ্রই পেতে যাচ্ছে নতুন খু"নের রহস্য।
গল্প-প্লট
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- অবহেলার কষ্টের স্ট্যাটাস
স্বস্তিকা রেগে আগুন হয়ে বললো " রান্না ঘরে আসতে পারো না একটু? সারাক্ষণ ফোনে কি করো? "
মুখ ভোতা করে বললাম " মাত্রই তো কাজ থেকে ফিরলাম! "
" মুখে মুখে তর্ক না করে এখানে আসো "
বুঝলাম মেয়েটা আমার সঙ্গ চায়।রান্নাঘরে গিয়ে ওকে পেছন থেকে জ"রিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম।
শুতে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে একটা শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বললাম " স্বস্তিকা,তোমার জন্য শাড়ি এনেছি।কাল সময় করে একবার পড়িও,দেখবো কালো শাড়িতে তোমায় কেমন লাগে "
ওর চোখ মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠলো।শরীর ক্লান্ত লাগছিলো খুব,তাই শুয়ে পড়লাম।একটু পর বউয়ের নিরীহ স্বর ভেসে এলো
" ধূর ভাল্লাগেনা,একা একা কি শাড়ী পরা যায় নাকি! "
ঘুমঘুম স্বরে বললাম " এখনি পড়তে বলিনি তো! "
" ও আচ্ছা "
এটা বলে ও শাড়ি খুলতে লাগলো।বুঝলাম মেয়েটা অভিমান করেছে।ধরফর করে উঠে গিয়ে শাড়ির কুঁচি ধরে বললাম " ইসসস,এইটুকু মেয়ে এতো রাগ করো কেনো? আসো আমি পড়িয়ে দিই "
স্বস্তিকা শাড়ি পড়তে পারে।শুধু আমি যখন আশেপাশে থাকি তখনই তার শাড়ি পড়াতে গন্ডগোল বেঁধে যায়।সেই গন্ডগোল আমি ছাড়া কেউ ঠিক করতে পারেনা।
অথচ আমি শাড়িই ধরতেই পারিনা।শাড়ির গন্ডগোল ঠিক করাতে আমার ভুমিকা শুধু ওর না"ভী স্পর্শ করে শাড়ির কুঁচি ধরে থাকা।বাকি সব ও নিজেই করে।শুধু এই কাজটার জন্যই আমার প্রয়োজন হয়।আমিও সুযোগের সৎ ব্যবহার করি,প্রতিবার ওর পে"টে,না"ভীর আশেপাশে চিমটি কাটি,সুরসুরি দিই।তখন স্বস্তিকার গাল আর নাক রেগে লাল হয়ে যায়।দেখতে তখন ভারী মিষ্টি লাগে।
পরেরদিন অফিসের সময়ে কল দিয়ে বললো " এতোক্ষণ ধরে কি কাজ তোমার? "
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম " কেবল বাজে দুপুর দুটা।অফিস চারটা পর্যন্ত! এতোক্ষণ কোথায়? "
স্বস্তিকা আমতা আমতা করে বললো " সে যাই হোক,তুমি ফিরতে অনেক দেরী করো।বাইরে আড্ডা দাও তাই না?ওকে দাও,যা ইচ্ছে করো "
এটা বলে ও ফোন কে'টে দিলো।আমি মুচকি হেসে ভাবি,মেয়েটা আসলেই পিচ্চি।এইটুকু সময় দূরে থাকার ওর সহ্য হয় না।
এর কিছুক্ষণ পর ফোন করে বললো " ঘরে বাজার নেই,এক্ষুনি বাজার করে আনো "
" আচ্ছা।তোমার জন্য কিছু নিবো? কিছু লাগবে? "
" না লাগবে না "
এতটুকু বলে ফোন কে'টে দিলো।ফেরার পথে বাজারের সাথে ওর জন্য চকলেট,চিপস্ আর ফুসকা নিয়ে গেলাম।ও যখনি তাড়াহুড়ো করে বাজারে যেতে বলে আমি বুঝে যাই ওর বাইরের জিনিস খেতে ইচ্ছে করছে।
বাড়ি ফিরে ফুসকা বাটিতে সাজিয়ে ওর কাছে নিয়ে গিয়ে বললাম
" এইযে বোকা মেয়ে,তোমার জন্য ফুসকা আনছি "
স্বস্তিকা ঠোঁ"ট বাঁকিয়ে বললো " খেতে ইচ্ছে করছে না "
" সে কি!ফুসকা তো তোমার অনেক পছন্দের "
ও মুখ ভোতা করে বললো " খেতে ইচ্ছে করছে না,এটা বলছি যেন তুমি খাইয়ে দাও।সেটা না করে বলতেছো ফুসকা আমার খুব পছন্দের? সব কথা কি বলে দিতে হবে? "
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ফুসকা তুলে ওর মুখে দিয়ে বললাম " বুঝি তো।তুমি না বললেও আমি সব বুঝি,কিন্তু মাঝেমধ্যে তোমার মুখ থেকে আবদার শুনতে ভালোলাগে "
ফুসকা খাওয়া শেষে স্বস্তিকা মন খারাপ করে বললো " তুমি আর আগের মতো আমাকে ভালবাসো না। দিন দিন পচা হয়ে যাচ্ছো "
ওকে জ"ড়িয়ে ধরে বললাম " তাই? আমি পচা হয়ে যাচ্ছি? "
" হু "
" তোমার আদর লাগবে সেটা বললেই তো হয়,শুধু শুধু আমায় দোষারোপ কেন করলে? "
স্বস্তিকা মুখ ভেংচি কেটে বললো " আদর নিতে আমার বয়েই গেছে,ভাগো "
ওকে জ"ড়িয়ে ধরলাম।গা"লের উপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে ঠোঁ"টে ঠোঁ"ট স্পর্শ করলাম।ও লজ্জায় কুঁ"কড়ে গিয়ে আমার আরো কাছে চলে আসলো।
কয়েক মুহুর্ত ঠোঁ"টের স্পর্শ দেওয়ার পর স্বস্তিকা বললো " আজ তোমাকে ঘুমাতে দিবোনা।আজ রাতে গোছানো বিছানাটা এলোমেলো করবো তোমার
দুষ্টুমিতে "
গল্প-প্রেয়সী
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস
মেয়েকে লুকিয়ে কাঁদতে দেখে জ"রিয়ে ধরে বললাম " কাঁদছিস কেনো মা? "
মেয়ে বলতে চাইলো না।আশ্বাস দিয়ে বললাম " কি হয়েছে বল না রে মা।কিসের এতো কষ্ট তোর? "
মেয়েটা হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বললো " সৃজিতকে ভিষণ ভালোবাসি মা।ওকে ছাড়া বাঁচবো না "
" ছোট থেকে এতো আদর,যত্ন,স্নেহ,মমতায় বড় করলাম।শত কষ্ট সহ্য করেও তোর মুখে হাসি ফুটিয়েছি।কখনো কাঁদতে দেইনি।আজ প্রেম করে কাঁদছিস! "
" আমি আর পারছি না মা।ভিষণ কষ্ট হচ্ছে।তোমরা ছেলে খোঁজা বন্ধ করো মা প্লিজ "
" ওই ছেলে কি করে? "
মেয়ে চোখের জল মুছে বললো " এখনো পড়াশোনা করছে।আমায় পাওয়ার জন্য চাকরির চেষ্টাও চালাচ্ছে "
মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম " ওই ছেলের জন্য এখন অপেক্ষা করবি? "
" তোমরা যদি চাও হাজার কষ্ট হলেও তোমাদের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে নিবো "
" আচ্ছা ঠিক আছে।ছেলেকে বল পড়াশোনা আগে শেষ করতে,তারপর চাকরি।ছেলে যদি পছন্দ করেই রেখেছিস তাহলে আমরা আর ছেলে খুঁজে কি করবো? "
মেয়ের চোখ মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠলো।জ"ড়িয়ে ধরে বললো
" এই দুনিয়ায় তুমিই একমাত্র আমায় বুঝতে পারো।আর কেউ পারে না "
মেয়েকে লজ্জা দেওয়ার জন্য বললাম " আমিই একমাত্র?যে ছেলেকে পছন্দ করিস সে বুঝে না? "
মেয়ের ঠোঁ"টে মিষ্টি হাসি।লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে বললো " মা, তোমায় আমি কত ভালোবাসি সেটা কি তুমি বুঝো? "
" হু বুঝি।মেয়ের মন মা এর থেকে কে বেশি বুঝবে? "
গল্প-মা_মেয়ে
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- পরিবার নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস
কাজের বুয়াকে সন্দেহজনক লাগছে।খেয়াল করলাম উনি ঠিকমতো কাজ করছে না।মাথায় হাত!
কাছে গিয়ে জিগ্যেস করলাম " কি হয়েছে টুকুর মা? "
বুয়া হাসির ভান করে বললো " কিচু হয়নাই গো মা"জান "
" সকাল থেকে দেখছি মাথায় হাত রেখে এখানে ওখানে বসে আছো,শরীর খারাপ? "
" না গো মা।শরীল তো ঠিকি আছে "
" ওহহ আচ্ছা "
তারপর চলে আসলাম।নজর রাখছি,উনি অনেক সময় নিয়ে চুলা পরিষ্কার করলেন।ওনার ব্যাপারটা এতক্ষণে আমি ধরতে পারলাম।
বুঝতে পেরে অনলাইনে এক প্যাকেট বিরিয়ানি অর্ডার করলাম।ডেলিভারি হলে প্লেটে বিরিয়ানি সাজিয়ে ডাকলাম
" টুকুর মা,একটু শুনে যাও তো "
টুকুর মা হেলেদুলে এলো।বললাম " খিদে পে'টে কাজ করলে হবে?আগে খেয়ে নাও "
টুকুর মায়ের চোখে জল টলমল করে উঠলো।খেতে বসে বললো
" মা"জান,অর্ধেকটা টুকুর জন্য নিয়া যাই?কাল রাত থেকে ওর পেটে ভাত ঢুকেনাই "
" পুরোটা তুমি খাও।টুকুর জন্য আরেকটা প্যাকেট আছে,নিয়ে যেও "
খাওয়ার পর টুকুর মা হেসেখেলে কাজ করতে লাগলো।চুলা পরিষ্কার করতে যার এতোক্ষন সময় লেগেছে সে এইটুকু সময়েই এতো এতো বাসন,কাপড় ধুয়ে ফেললো।এই মানুষগুলিকে খিদে দমিয়ে রাখে!
রাতে স্বামীকে বললাম " টুকুর মাকে এখন থেকে বেতনের সাথে পাঁচশ টাকা করে বেশি দিও তো।মাস শেষে ওদের খাবারের খুব কষ্ট হয় "
গল্প-খেয়াল
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়