- সত্যিকারের ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা
--১টা সন্তান হলেই তোমাকে ডিভোর্স দিবো।
--বাসার রাতে স্বামীর মুখে এমন কথা শুনেই রাত্রি প্রশ্ন করে বসে।
--এইটা আবার কেমন কথা বল্লে হাসিব। আর যদি এমনটাই করবা তাহলে বিয়ে করলে কেনো আমাকে।
হাসিব : আসলে বিয়েটা করার একটি কারন আছে।
রাত্রি : কি কারন শুনি।
হাসিব : আমার এতো এতো সম্পত্তি দেখা শুনা করার জন্যে একটি সন্তান প্রয়োজন।
রাত্রি : কেউ বউয়ের প্রয়োজন হবেনা।
হাসিব : না! কারন নারী জাতকে আমি ঘৃনা করি।
রাত্রি : কেনো জানতে পারি কি প্লিজজ।
হাসিব : জীবনের প্রথম একটি মেয়েকে অনেক অনেক ভালোবাসছিলাম কিন্তু সে আমাকে ধোকা দিয়েছে তাই।
রাত্রি : সবাই কিন্তু এক না।
হাসিব : এতো কথা বলতে পারবোনা?
রাত্রি : আচ্ছা!
"এর পরে এই ভাবে দিন কাটতে লাগলো। যতো দিন যায় ততোই রাত্রির মনে হাসিবের কথাটি ভেসে উঠে। তাই যতোটা পারে হাসিবের সেবা যত্ন করার চেষ্টা করে।
"হঠাৎ একদিন রাতে হাসিব রাত্রিকে বলে"
হাসিব : রাত্রি ইদানিং দেখি তুমি মন মরা হয়ে থাকো। কাহিনী কি।
রাত্রি : না কিছু না।
হাসিব : বলো কি হয়েছে প্লিজজজ।
রাত্রি : আসলে আর ৩ মাস পরে তো আমি স্বামী থেকে বন্চিত হয়ে যাবো।
হাসিব : এই জন্যে এতো চিন্তা পাগলি।
রাত্রি : হুমমম।
হাসিব : তোমাকে আমি কখনো ছারবোনা।
রাত্রি : কেনো।
হাসিব : তোমাকে যদি ছেরে দেই তাহলে কে আমাকে এতোটা ভালোবাসবে। কে আমার এতোটা যত্ন নিবে। কে নিয়ম মতো খাওয়াবে। বিশ্বাস করো রাত্রি তুমি আমার জীবনে আসার পরে কেমন জানি আমার জীবনটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। নারীর প্রতি যতো অভিযোগ ছিলো সব মিথ্যা প্রমান হয়েছে। (তবে কিছু মেয়ে আছে যারা খারাপ ) আমি তোমার সঙ্গে আমার চিরটা-কাল থাকতে চাই।
রাত্রি : সত্যি স্বামী।
হাসিব : হুমমম বউ আমার সত্যি। আমাকে সব সময় কিন্তু ভালোবাসতে হবে।
রাত্রি : হুমম একটু কাছে আসোতো।
হাসিব : আসলাম এখন বলো।
"হাসিব কছে আসা মাত্রই রাত্রি হাসিবের ঠোঁটের সঙ্গে নিজের ঠোট এক করেদিয়ে কিস করতে থাকে "
"ইশশ ভালোবাসা কতোই না সুন্দর। একটি মেয়ে চাইলে তার ভালোবাসা দিয়ে,, একটি যঘন্য তমো খারাপ ছেলেকেও ভালো করতে পারে। নারীর ভালোবাসা অতুলনীয় 😊
অনু_গল্প
মি_হাসিব
- ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা
-১৮ বছরের নিছে 'মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারনে ৫ বছরের জেল হলো!
-শোন পুর্ণতা আমি জেল থেকে বের হয়েই তোমাকে বিয়ে করো।
-আচ্ছা! আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো।
-চিন্তা করিও না' দেখতে দেখতেই সময় চলে যাবে। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি?
-হুমম বিশ্বাস করি!
'এর পরে পুলিশ সিয়াম কে গারদে নিয়ে যায়, শুরু হয় সিয়ামের দিন গনা। কবে সেই ছারা পাবে,আর কবে পুর্ণতাকে আপন করে নিবে।
'এই ভাবে দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পরে সিয়াম জেল থেকে মুক্তি পায়' এবং সঙ্গে সঙ্গে পুর্ণতার বাসায় চলে যায়'
'গিয়ে দেখে ছোট্ট একটি বাচ্চা কোলে নিয়ে আছে পুর্ণতা। এইটা দেখে সিয়াম বুঝে যায় পুর্ণতা আর তার নেই। সে এখন অন্য কারো?
'তাই দুঃখো ভরাকান্ত মন নিয়ে যেইনা পিছন ফিরবে এমন সময় পুর্ণতা বলে উঠে!
-সিয়াম চলে যাচ্ছো যে। আমাকে সঙ্গে নিবানা।
-সেই অধিকার যে আমার নেই। অনেক আগেই হয়তো সেই অধিকার হারিয়ে ফেলছি আমি।
-কেনো?
-এইই যে তোমার কোল জুরে আজ ফুট ফুটে বাচ্ছা। তুমি কথা রাখতে পারোনি।
-মানে।
-মানে তোমার বিয়ে হয়েছে, তোমার সন্তান হয়েছে, আরো সেই অধিকার থাকে।
-পাগল একটা।
-হ্যা পাগল, এই পাগল টাকেই সবাই ঠগায়।
-আরে এই বাচ্ছা আমার না! এইটা আমার ভাইয়ার সন্তান, তাছারা আমি এখনো বিয়ে করিনাই।
-কেনো বিয়ে করোনাই।
-একজন কে যে কথা দিয়েছিলাম, তোমার জন্যে অপেক্ষায় থাকবো।
-তার মানে তুমি আমাকে এখনো ভালোবাসো।
-যেই মানুষ টা আমার জন্যে পাচটি বছর জেলে বন্ধি তাকে ঠগানো কি ঠিক হবে।
-ভালোবাসি পুর্ণতা তোমাকে।
-আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি সিয়াম। তোমার জন্যে চিরকাল অপেক্ষায় থাকতে আমি রাজি আছি।
'পুর্ণতার এমন কথা শুনে সিয়াম আলতো করে ওর কপালে চুমু একে দেয়।
"হয়তো এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা।
অনুগল্প : তুমি_আমার_পুর্ণতা
লেখনীতে : মি_লাবিব
- স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা
-২'য় বিয়েতে ডিভোর্সি স্বামী কে বেশ আশ্চর্য হয়ে বললাম।
-অভয় তুমি এখানে বুঝলাম না!
-ওহ আজ আমার এক আক্তিয়োর বিয়ে। তাই এসেছি কিন্তু তুমি এখানে কেনো।
-আজা আমার বিয়ে!
-ওহ! কিন্তু বিয়ে হবে তোমাদের বাসায়। এটাতো তোমাদের বাসা না তাই না।
-আমাদের বাসার কাজ চলতেছে। তাই বিয়েটা এখানে নেয়া হয়েছে।
-ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি অন্য কেউ দেখার আগে।
-কেনো।
-আমি চাইনা আমার জন্যে তোমার সমস্যা সৃষ্টি হোক।
-আরে সমস্যা হবে কেনো। তুমিও গেস্ট!
-সেটা ঠিক। তবে একটি কথা মানতে হবে তোমার স্বামী কিন্তু বেশ ভালো একজন মানুষ।
-হুম শুনেছি।
-আচ্ছা।
-কেমন আছো অভয় তুমি।
-এইতো আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি তুমি।
-হুমম আমি ও ভালো আছি। তুমি আর বিয়ে করোনি ডিভোর্সের পরে।
-নাহ!
-কেনো বিয়ে করোনাই।
-বাদ দাওনা এই সব কথা প্লিজজজজজজজজ।
-এখনো ভালোবাসো আমাকে তাইতো।
-জানিন!
-কিন্তু আমি ঠিকেই জানি। অভয় একটি কথা বলি আজ তোমাকে।
-বলো।
-স্ত্রী এবং মা দুজন দুজনের জায়গাই। কখনো মায়ের কথা শুনে স্ত্রীকে ভুল বোঝা ঠিক না। আবার স্ত্রীর কথা শুনে মাকে ভুল বোঝা ঠিক না। তুমি যদি এই ব্যপারটা বুঝতে তাহলে আমাদের মাঝে এই ফাটল সৃষ্টি হতোন।
বিশ্বাস করো সেইদিন তোমার মা আমার নামে সব মিথ্যা বলেছিলো। কিন্তু তুমি সব সত্যি ভেবে আমাকে ডিভোর্স দিলা।
(আমি তোমাকে ভালোবেসে বিয়ে করছিলাম। আর সেই ভালোবাসার মানুষ কে ছেরে কি অন্য কারোর সঙ্গে আবার সম্পর্কে যায়)
-থাকনা আজ এই সব কথা।
-ঠিক আছে ভালো থাকিও। যদি পারো সম্পুর্ণ বিয়েটা উপভোগ করে চলে যেও?
-হুমম।
-নিজের খেয়াল নিও। অনেক দেখি শুখাই গেছো শরীরের যত্ন নিও আল্লাহ্ হাফেজ।
-কথাটি বলেই ঝিনুক সেখানে থেকে চলে যায়' আর সেটা অভয় দেখতে থাকে' আর ভাবে'
কেনো যে সেই দিন এমন করলাম, আজ প্রিয় মানুষটাই অন্য কারো হয়ে যাচ্ছে।
"বর্তমান সংসারে ডিভোর্সের হওয়ার একটি বর কারন শাশুড়ি!
"সব অভিযোগ এই শাশুড়ির!
"হায়রে সমাজ!
অনু_গল্প: শাশুডির_বিক্ষপ
লেখনীতে : মি_হাসিব
- ভালোবাসার কথা
শ্বাশুড়ি মায়ের প্রে"গন্যান্সির খবর পেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়লাম!
দুঃখে,কষ্টে বু"ক হাহাকার করে উঠলো।রীতিমতো মাথায় হাত পরে গেলো আমার।স্ত্রী ভ্রু কুঁচকে বললো
" কি হয়েছে তোমার? "
নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম " কই,না তো কিছু না "
" ভূত দেখার মতো চমকে উঠলে যে! "
স্ত্রী ওনাদের একমাত্র মেয়ে ছিলো।ওকে বিয়ে করেছি শুধুমাত্র ওনাদের বিষয়সম্পদ দখল করে নিবো জন্য।কিন্তু এখন তো আশায় জল ঢেলে গেলো! সম্পত্তি কি হাতছাড়া হয়ে যাবে! এতোদিনের প্লান এভাবে নষ্ট হবে!
বিষয়টা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম।ওরা বললো " আরেহ,এতো ভেঙ্গে পড়ছিস কেন?বাচ্চাটা তো মেয়েও হতে পারে।অর্ধেক সম্পত্তি পেয়ে যাবি সমস্যা নাই "
সেই আশা নিয়েই অপেক্ষায় থাকলাম আরো সাত মাস।একরাতে স্ত্রী মন খারাপ নিয়ে কাছে এসে বললো
" মায়ের আজ আলট্রা-সনো-গ্রাফি করেছে "
স্ত্রীর মন খারা দেখে আত্মতৃপ্তির নিশ্বাস ফেললাম।বুঝতে বাকি রইলো না ওনার মেয়ে সন্তান হবে।ছেলে সন্তান হলে স্ত্রীর মুখ প্যাচার মতো হয়ে থাকতো না।বললাম
" কি সন্তান? অবশ্যই মেয়ে তাই না? আহা,মন খারাপ করে থেকো না।যা হয়েছে ভালোই হয়েছে,মেয়েরাই ঘরের লক্ষী "
স্ত্রী ধমকের স্বরে বললো " কে বলছে মেয়ে? আমার ফুটফুটে একটা ভাই হবে।এতো বছর পর ভাইয়ের অভাব পূরণ হবে, তাই ইমোশনাল হয়ে গেছি "
স্ত্রীর কথায় আমি চোখের জল আঁটকে রাখতে পারলাম না।আমার আম ও গেলো,সালাও গেলো।শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তি আমার আর পাওয়া হলো না।স্ত্রী বললো
" তুমি কাঁদছো কেন? "
বললাম " আমারো একটা শালার খুব শখ ছিলো।শালার বাচ্চাটা এসেও গেলো! শালার ঘরের শালা,মুঝে মারডালা "
গল্প শালা
লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়