সংসার ভাঙ্গার কারণ
রাতে আমার বউ রিমি পেডিকু'ট ও ব্রা গায়ে উ*ন্মুক্ত হয়ে হুট করে আমার বুকের ওপর শুয়ে পরলো।এবার আদূরে গলায় বলল,,,
ওই জয় শুনছো,,
এইদিকে আমার রীতিমতো নেশা ধরে গেছে ওর ওমন শরী'র দেখে, তৎক্ষনাৎ দুহাত দিয়ে ওর পিঠ খাঁমচে ধরে... বলি।
বলো বউ...
- তোমার বাবা মা আর ছোট বোন কিন্তু ভীষণ বিরক্ত করছে আমায়। সংসার টা যেহেতু আমার, আমাকেই তো সামলাতে হবে সব তাই না। কিন্তু জানো তারা দিচ্ছেনা আমায় সামলাতে।
-ও তাই নাকি,, তা কিহ কারণে এমন মনে হলো বউ!!
বউ আমার পাক্কা বুদ্ধিমতি,,, আমার ঠোঁ'টে ওর ঠোঁ'ট ডুবিয়ে পাক্কা ৫ মিনিট কিস করার পর বলল,,
এই যে আমি কিহ রান্না করবো না করবো সেটা আমার বিষয়। সেখানে তোমার আম্মু এসে ঘটায় বিপত্তি। আমার যা পছন্দ রান্না করে খাবো কিন্তু উনি উনার স্বামী, ছোট মেয়ে কিহ পছন্দ করে সেটা রান্না করতে বলে,,,বলো তাদের পছন্দে কেন রান্না করবো আমি!! আমি কিহ চাকর নাকি হুম???
হ্যাঁ তাইতো তাইতো.. তুমি তো এ বাড়ির বউ। কাল দিনটা দেখো তুমি তারপর তোমাকে নিয়ে তোমার বাবার বাসায় যাবো হুম।
আমার এমন কথা শুনে রিমি মুচকি হাঁসে, আর মনে মনে বলে...যাক আমাকে এতো সহজে বশ করে ফেললো বুঝি, এমন সময় আহ্লাদী সূরে বলল,,
কেন গো বর, এই বাড়ি তো আমারই তাইনা। এক কাজ করি তোমার বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রম এ রেখে দিয়ে আসি। আর আমার বাবা মা ও ছোট ভাইকে এই বাসায় নিয়ে আসি, জানো ..বড় ভাইয়া তার বউয়ের কথায় উঠবস করে, বাবা মাকে কষ্ট দেয়।
- আমি বললাম...ইশশ এটা তো বড্ড খারাপ কথা বউ, নিয়ে এসো তাদের কেমন। তোমার বাবা-মা, তো আমারই বাবা-মা তাইনা। তবে তার আগে তোমাকে নিয়ে যাবো ওখানে কেমন।
রিমি খুশিতে আবারো চার ঠোঁট এক করে দেয় তারপর আমার নিচের দিকে....... কিহ হলো বলবো , জানি জানি আপনারা সব বুঝেন।
রাত এক টা বেজে গেছে রিমি গিয়েছে গোসল করতে। আর আমি ও করেছি গোসল তবে ওর আগে। বিছানায় শুয়ে পড়তে যাবো এমন সময় কিচেন থেকে কেমন যেন একটা শব্দ এলো বুঝলাম আম্মাজান কিছু বানাচ্ছেন,,তাই দেরি না করে চুপি চুপি ঘর থেকে বের হয়ে কিচেনে যেতেই দেখি আম্মু রুটি ভাঁজছে আর আব্বু পরোটা বানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তারা আমায় দেখেনি কারণ আমি তাদের পেছনে ছিলাম। এইদিকে আমার রুমের বাথরুমের দরজা খোলার শব্দে শুনে দ্রুত রুমে চলে আসি। এসে দেখি রিমি বের হয়ে কাপড় পড়ছে। কাপড় বলতে পরনে দুটো ছোট ছোট কাপড়। যার একটা পুরুষ দেখলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনা, আমিও পারিনি। পেছন থেকে জরিয়ে ধরে ওর চুল মিশ্রিত গলায় নাক ডুবিয়ে দেই আর হাতটা ওর উঁচু দুই বক্ষের মাঝে ঢুকিয়ে দিয়ে চাপ দিতেই রিমি বলে উঠে....এই এই ছাড়ো তো..অনেক হয়েছে আর না কাল তো বাবার বাসায় যাবো চলো ঘুমিয়ে পড়ি। আমি বউয়ের কথায় বললাম ঠিক ঠিক। চলো ঘুমিয়ে পড়ি।
মনে মনে হাঁসলাম আর রিমিকে ছেঁড়ে দিয়ে পাশে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। রিমি বরাবরই ঘুম কাতুড়ে মেয়ে একবার ঘুমালে তার উঠার নাম গন্ধ থাকে না। আমিও সেই সুযোগ ঘর থেকে বের হয়ে কিচেনে গিয়ে উপস্থিত হতেই আম্মু আব্বু দুজনেই চমকে উঠেন। খেয়াল করলাম তাদের দুজনেরই হাত কাঁপছে, তাদের এ অবস্থা দেখে আমার ইচ্ছে করছিলো নিজের গলায় নিজেই ছু'রিটা চালিয়ে দেই। তবুও নিজেকে শক্ত করে বললাম,,
আরে আব্বু আম্মু তোমরা এতোরাতে পরোটা ডিম ভাঁজি করছো যে????
আম্মু কিছু বলতে যাবে তার আগেই আব্বু বলে উঠে,,
-না এমনি তুই তো জানিসই আমি একটু ভোজন রসিক মানুষ। ঘুম পাচ্ছিলো না তাই আরকি তোর আম্মুকে বলেছিলাম চলো জয়ের মা আজ পরোটা বানাই।
-তা আব্বু আমার জন্য করেছো.. আমিও খাব কিন্তু,,,
তারা আমার কথা শুনে হাঁসলেন,,, আমি জানি তাদের হাঁসার কারণটা কিহ,,, আব্বু ছিলেন ডিস ও আর ওয়াইফাই ব্যবসায়ি,,,প্রতি শুক্রবার সকালে তিনি বের হতেন টাকা কালেশন করতে আর সকালে ভাত না খেয়ে পরোটা খেয়ে যেতেন। বর্তমানে আব্বু তার ব্যবসা আমায় দিয়ে দিয়েছেন যার জন্য আমি সকালে যাই টাকা কালেকশনে। আগে আম্মু আব্বুকে পরোটা করে দিতেন এখন আমায় দেয় আমার স্ত্রী রিমি তবে সে শুধু ভাঁজে আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে তবে সব কিছু যে আব্বু আম্মু রাতেই ঠিক ঠাক করে রাখেন সেটা আজ আমার নজরে আসলো।তবুও চুপ থাকলাম, দেখতে চেয়েছিলাম বাবা মা মুখ ফুঁটে বলে কিহ না,,, আমার মা বাবা দুজনেই ছিলেন প্রচন্ড রাগী কিন্তু তারা আমার বিয়ের পর হঠাৎ বিড়াল হয়ে গেলেন,,,আমি জানি সেই বিড়াল হওয়ার কারণ। তাদের ভয়,তারা মনে করেন ব্যবসা ছেলেকে দিয়ে দিয়েছেন, এইদিকে ছোট ছেলেকে আলাদা করে দিয়েছেন,আর মেয়ে তো শ্বশুর বাড়ি। তাই বাড়িটাও আমায় দিয়েছেন। এখন বউয়ের সাথে ঝামেলা করলে আমি যদি তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেই ।
আমি মনে মনে হাঁসতাম তাদের চিন্তা দেখে,মনে মনে নিজেকে বললাম আমাকে তোমরা মানুষ করেছো। অমানুষ করনি। আমি এমন কিছুই করবো না, কখনো না।
এসব ভাবছি এমন সময় আব্বু পরোটা আর ডিম অমলেট তুলে দিলেন প্লেটে। আমি ঝটপট খেয়ে নিলাম। তারপর রুমে এসে বিল কালেকশন এর স্লিপ আর কার্ড আব্বু কাছে দিয়ে বললাম,, আব্বু আগামীকাল আমি শ্বশুর বাড়ি যাব তুম বিল কালেকশন করে নিও।
আব্বুর এক উত্তর,, না বাবা আমি ওসব পারবো না। তাছাড়া কে কোন মাসের বিল দিয়েছে আমি তো জানি না। তুমি কাল তুলতে না পারলে পরের দিন তুলিও।
আমি আর কথা বাড়ালাম না। রুমে এসে শুয়ে পড়লাম,,পরেরদিন সকাল হতেই স্ত্রীকে নিয়ে হাঁজির হলাম শ্বশুর বাড়ি। আমাদের দেখে শ্বশুর শ্বাশুড়ি আর রিমির ভাই খুশি হলেও রিমির ভাবীর মুখ দেখলাম রীতিমতো কালো হয়ে গেলো । ,, যেমনটা আমার বোন আসলে রিমির মুখ ভাঁড় হতো। আমি বাঁকা হাসিতে হাঁসলাম তার চেহারা দেখে আর বললাম,, ভাবি টেনশন নেই। খেতে আসিনি আমি জাস্ট কিছু কথা বলে চলে যাবো। রিমি চলো ভিতরে,,,
ড্রইং রুমে রিমি, ওর বাবা- মা ভাই ভাবি আর আমি বসে আছি, এমন সময় রিমি বলে উঠে....
এই বলো কিহ বলতে এসেছিলে?
আমি রিমির দিকে তাকালাম। ওর চেহারায় যেন খুশির ঝলক উবছে পরছে। ও ভেবেছে আমি তার বাবা-মাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি।আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম সকাল ১০টা বাজে। আমাকে দ্রুত কথা শেষ করতে হবে তাই বলি,,,
বাবা-মা আপনারা কিহ জানেন আপনার মেয়ের চরিত্র কেমন??
রিমির বাবা অবাক হয়ে বললেন,,
-মানে বাবা বুঝলাম না!
- আসলে বাবা আমি বুঝাতে চাচ্ছি,,, আপনার মেয়ে আসলে জাতে ছোটলোক।না ছোট লোক বললে ভুল হবে। ও একটা কালনাগিনী,,, জানেন বাবা আপনার মেয়ে আমার বাবা-মাকে নিজের বাবা-মা মনে করে না। আমার বিয়ে হওয়ার পর, আমার রোজগার করা টাকা আমার বাবা-মা পেট ভরে একদিনো আরাম আয়শে খেতে পারেননি। অথছ যা বিয়ের আগে খেতেন,,,, আমি আজ ৫ টা মাস নিজের বাবা মাকে হাঁসতে দেখিনি। ওরা সব সময়ই ভীতু আর গম্ভীর হয়ে থাকেন। কোন এক চিন্তায়,,,,রাতে আমার মা এবং তার স্বামী মানে আমার বাবার জন্য মা লুকিয়ে তার পছন্দের খাবার রান্না করে দেন। তার কারণ কিহ জানেন বাবা! আপনার মেয়ে আমার বাবা মায়ের পছন্দের খাবার রান্না করতে দেয়না অতিরিক্ত খরচ হবে বলে।, আপনার মেয়ে হয়তো জানেনা আমি যে ব্যবসা করি সেটা আমার বাবার ব্যবসায়। ও যে বাড়িতে থাকে সেটাও আমার নয় আমার বাবার তৈরি করা সম্পদ। আর এই যে আমি মানে ওর স্বামী বিয়ের আগে আমি আমার বাবা-মায়ের চোখের সন্তান ছিলাম। অথছ আমার বাবার ব্যবসার টাকা, বাবার বাড়ি, আর বাবার ছেলের মুল্য নেই তার ছেলের বউ এর কাছে। আর আমারি বাবার সেই বাড়িতে যখন আমার ছোট বোন জামাই হয়ে আসে তখন আপনার মেয়ের মুখ হাঁসির বদলে কালো হয়ে যায়,যেমনটা আপনার ছেলের বউয়ের হয়েছে আমাদের দেখে।
আরো কিহ জানেন বাবা গতকাল আপনার মেয়ে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় এসে আমায় বশ করতে চেয়েছিলো। আমিও ওর কথায় তাল মিলিয়ে ওর মনের ভিতরের কথা গুলো জানতে পারি। ও হয়তো ভেবেছিল আমি ওর কথায় বশ হয়ে গেছি। তখন সে বলেছিলো আমার বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রম এ রেখে আসতে। শুধু তাই নয়, আমার বাবা মাকে বিদায় করে আপনার মেয়ে আপনাদের মানে আপনে আপনার স্ত্রী এবং তার ছোট ভাইকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে। তার কারণ হল আপনার ছেলে তার বউয়ের কথায় উঠবস করে। আপনাদের দিনের পর দিন কষ্ট দেয়,,,,তা শ্বশুর মশাই বলুন তো ছেলের বউয়ের কষ্ট কেমন লাগে আপনাদের????
এক নাগাড়ে কথা বলে আমি তাকালাম রিমির ভাইয়ের দিকে.. তিনি চেয়ে আছেন তার স্ত্রীর দিকে। রিমির ভাইয়ের চোখ দুটোয় টকটকে লাল হয়ে গেছে, কপালের রগ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে,, এমন সময় রিমির মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন,,
বাবা নিজের ছেলেকে না খাইয়ে কোনোদিন খাইনি,,ছেলে যা খেতে চেয়েছে তা খাইয়েছি ভেবেছিলাম আজ খেলে খেয়ে যাক, যখন আমরা বুড়া বুড়ি হব তখন ছেলের বউকে বলবো... মা আমি এটা খাবো ওটা খাবো,,তখন আমার বউমাও আমাদের রান্না করে খাওয়াবে। কিন্তু দেখো.... সময়ের সাথে সব উল্টো হয়ে গেলো। ছেলে বড় বড় মাছ আনলেও আমরা বুড়া-বুড়ি পেলাম বড় মাছের লেজ এর অর্ধেক অংশ।ভাত দিতো মেপে মেপে,, বিশ্বাস করো ওমন মাছ জীবনে আমি আমার শ্বাশুড়িকে দেয়নি,, যদিও তিনি আমার সাথে খুব খারাপ আচারণ করতেন,যা বলে বুঝাতে পারবো না। তবুও তাকে অসম্মান করিনি। আর আজ দেখো আমি আমার ছেলের বউকে বেশি ভালোবাসি, আমি যা কষ্ট পেয়েছি শ্বাশুড়ির থেকে তা তাকে দিতে চাইনি বলেই আজ আমাদের এই দশা। তবুও মুখ ফুটে ছেলেকে বলিনি এসব। আর বললেও বা কিহ হতো। আমার ছেলেতো বউ সোহাগা। প্রেম করে বিয়ে করেছে সে।
নিজের মায়ের মুখ থেকে এমন কথা শুনে রিমির ভাই তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো,,
তুই আজ বেঁচে গেলি রিয়া,, তোর পেঁটে শুধু আমার সন্তান বলে,, তোকে ভালোবাসি বলে এই নয় তুই আমার আড়ালে এসব করে বেড়াবে আমার বাবা মায়ের সাথে। জানিস তো.. তুই কোন ঘর থেকে এসেছিস??পান্তা পেলে লবন হতনা !!! তোর বৃদ্ধ বাবা-মাকে আমি সব সময় সহযোগিতা করেছি। বিয়ের আগে বাজারে গেলে মাছ মাংস সব কিছু দুটো কিনতাম একটা তোর বাবার বাড়ি আর একটা আমার বাড়ি আনতাম। আমি তোর বাপ মাকে খেতে দিতাম,,
কথাটা বলে রিমির ভাই উঠতে যাবে ওমনি রিয়া তার পায়ে পড়ে মাপ চাইতে শুরু করে দিলো। কিন্তু রিমির ভাই তাকে লা'তি দিয়ে দূরে ফেলে দেয়। তৎক্ষনাৎ রিমির বাবা-মা ছেলেকে সরিয়ে দিয়ে তাদের বউমাকে তুলে নিয়ে তাদের রুমে চলে যান।
এইদিকে রিমি আমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ওকে একটা থাপ্পড় মেরে বলি। তোর পেটে তো আর আমার বাচ্চা নেই। তাই তোকে এক্ষুণি ছেড়ে দিলাম।
চলি আর ফিরিসনা আমার বাবার বাসায়।
কথাটা বলে বের হয়ে আসতে থাকি। আমি পেছনে আর ফিরে তাকাই নি। জানি এই রিমি আমার আগেই বাসায় চলে যাবে। গিয়ে হয়তো অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইবে আব্বু আম্মুর কাছে। তারাও হয়তো ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমি নিশ্চিন্তে কালেকশন করে জুম্মার নামাজের আগে বাসায় ফিরতেই দেখি বোন এসেছে তার জামাইকে নিয়ে। কিচেনে চোখ বুলিয়ে দেখি মা রান্না করছেন, তবে কিহ রিমি আসেনি???
না আসলে নাই তবুও বাবা মার মুখে হাঁসি দেখে ভালো লাগছে আমার। শান্তি পাচ্ছি খুব,, ঘাম নিয়ে রুমে ঢুকতেই কেউ একজন আমার মুখের সামনে এক গ্লাস পানি বাড়িয়ে দেয়। চোখ তুলে তাকালাম দেখলাম রিমি,,, পাগলিটাকে দেখে শান্তির মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে উঠলো আমার। হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে টেবিলে রেখে গম্ভীর স্বরে বললাম,,
এখানে তুই আবার এসেছিস??
রিমি মাথাটা নিচু করে বলল,,ভাইয়াকে তো দেখলে ভাবির পেটে তার সন্তান বলে ছেড়ে দেননি , তাহলে তুমি কেন এমন করছো,,আমিও তো তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি।
আমি মনে মনে হাঁসলাম ওর কথা শুনে। টেবিলে রাখা শরবতের গ্লাস হাতে নিয়ে খেয়ে নিলাম নিমিষেই। এবার রিমির দিকে তাকালাম, দেখলাম ওর গালে পাঁচ আঙুল এর দাগ বসে গেছে। তবুও আমি ওর দিকে শক্ত চোখে তাকিয়ে আবারও বললাম... জীবনে আর ভুল করতে যেওনা! তাহলে এই আমি তোমাকে কখনো ক্ষমা করবো না।
রাতে বাবা-মা, বোন ও তার জামাই এবং আমি খেতে বসেছি। রিমি আমাদের খুব সুন্দর হাতে বেড়ে দিচ্ছে। হঠাৎ মা বলে উঠলেন, বউমা তুমিও আমাদের সাথে খেতে বসো। রিমি আমার দিকে ভয় সংকোচতায় তাকালো। এবার মাথা নাড়িয়ে বললো,, না মা আপনারা খেয়ে নেন। আমি পরে খেয়ে নেব। ও ভয় পাচ্ছে আমাকে। মা এবার উঠে গিয়ে বউ মাকে জোর করে বসালেন। রিমি চোখ দুটো মুহূর্তে জলে ভিজে গেলো।
এইদিকে আমি আবারো হাসলাম,,, আর মনে মনে নিজেকে বললাম..... এটা কেবলই রিমির চোখের জল নয়। এটা রিমির পরিবর্তন।
পরিবর্তন
ছোট_গল্প
লেখা- জুবেল আহমদ