বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প | সমাজের কিছু বাস্তব কথা

  •  জীবনের কিছু বাস্তব কথা

জীবনের কিছু বাস্তব কথা

অন্ধকার রাস্তায় দ্রুত পায়ে হাঁটছে তিশা।বিড়বিড় করে বললো " ইশশ,অনেক রাত হয়ে গেলো।রান্না করবো কখন,উনি তো না খেয়ে আছে! "


এসব বিড়বিড় করতেই তিশার ননদ বললো " বউদি একটু আস্তে হাঁটো না! পায়ে ব্যা'থা করছে তো "


তিশা বললো " অনেক দেরি হয়ে গেছে।তোমার দাদার নিশ্চয়ই খিদে পেয়েছে "


" কিন্তু বাড়িতে তো রান্না করা নেই।কি খেতে দিবে? "


" কিছু একটা হোক দ্রুত করে দিতে হবে "


এসব বলতে বলতে তিশা বাড়িতে চলে আসলো।দেখলো বাড়ির সামনে বাইক দাড় করানো।তারমানে তার স্বামী অফিস থেকে চলে এসছে।তিশা ভয়ে ভয়ে বাড়িতে ঢুকলো।না জানি স্বামীর কাছে কতোই না বকা খেতে হবে।দরজা খুলতেই দেখলো তার স্বামী সোফায় বসে টিভি দেখছে।তিনি তিশাকে দেখে বললেন


" তোমরা চলে এসছো?যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।আজকে আমি রান্না করেছি "


তিশা হকচকিয়ে বললো " আপনি অফিস থেকে ফিরে রান্না করেছেন? "


" হু।তুমি ছিলে না,ভাবলাম কোনো কাজে গেছো হয়তো।সন্ধা হয়ে গেলো তবুও তোমাকে ফিরতে না দেখে নিজেই রান্না করলাম।ফ্রেশ হয়ে আসো যাও,আমি খাবারটা গরম করি "


তিশা দৌঁড়ে গিয়ে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বললো " অনেক ভালোবাসি আপনাকে "


-গল্প: -আদর্শ_স্বামী

  • বাস্তব জীবন নিয়ে স্ট্যাটাস

"স্বামি প্রতিদিন আমাকে ১০ টাকা করে দিবেন প্লিজজ।


'কৌতুহলবশত বউকে জিঙ্গেস করলাম" তুমি দশটাকা নিয়ে করবাটা কী?


'সময় হলে দেখিও এখন বলা জাবেনা।


'ঠিক আছে আমার মানিব‍্যাগ থেকে প্রতিদিন 'দশ টাকা করে নিও। এর বেশি না।


'আচ্ছা স্বামী।


'এর পরে থেকে প্রতিদিন রিফা তার স্বামীর মানিব‍্যাগ থেকে দশ টাকা করে জমিয়ে রাখতো।


'এইটা দেখে তার স্বামী ভাবতো হয়তো নাস্তা/নিজের কিছু কেনা কাটা করার জন‍্যে নেয়। 


'এই ভাবে বেশ কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পরে হঠাৎ একদিন রিফার স্বামী বলে উঠলো।


'রিফা আজ যদি আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা থাকতো তাহলে সুন্দর একটি ব‍্যবসা করতে পারতাম।


'স্বামীর মুখে কথাটি শুনেই রিফা তার কাপড়ের আলমারি থেকে কয়েকটি টাকার বান্ডিল বের করে নিয়ে এসে স্বামী কে দেয়।


'যা দেখে স্বামী বেশ আশ্চর্য হয়। এবং জিঙ্গেস করে?


'কি ব‍্যাপার রেফা. তুমি এতো টাকা কোথায় পেলে। 


'কেনো তোমার মনে নেই।


'না।


'শোন তাহলে আমি যে তোমার কাছে থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা করে নিতাম আর জমাতাম। তার পরে বাড়িতে হাস, মুরগি বিক্রি করতাম সেই গুলা জমাইতাম। এই ভাবে ৭০ হাজার টাকা হয়েছে। এই নাও সব তোমার হাতে তুলে দিলাম তুমি ব‍্যবসার কাজে লাগাও*?


'বউয়ের এমন কাহিনি দেখে বুঝতে পাচ্ছিনা। তাকে কি বলবো। তবুও কাছে টেনে নিয়ে আলতো করে কপালে একটি চুমু দিলাম! আর একটি কথাই বললাম তোমাকে অনেক ভালোবাসি বউ।

( শুনেছি বউয়ের কপালে চুমু দিলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় )


'আরে পাগল কান্না করিওনা স্বামীর বিপদে বউ এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক তাই না। 


'হ‍্যাঁ।


"আসলেই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটি এমনি হওয়া উচিৎ। যতোই সমস্যা আসুক দুজনেই তার সমাধান বের করবে। "গল্পটী গ্রামের একটি কাহিনী নিয়ে! গ্রামের বউরা এমনটি বেশি করে।


অনুগল্প: -গ্রামের_বউ

  • কিছু বাস্তব কথা

স্বামী পর"কীয়া করে।রোজকার অত্যচার সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসলাম।


আমায় দেখে পরিবারের সবাই আশ্বাস দিলো।বাবা বললো " একদম ভাববে না।আমার ঘরের রাজকন্যা ছিলে,রাজকন্যাই থাকবে "


ছোট ভাই বললো " দিদি,তোর কিছু লাগলে আমায় বলবি।আমরা আছি তোর সাথে "


জীবনের এই চরম অন্ধকার সময়ে পরিবারের সাপোর্ট পেয়ে চোখে জল চলে আসলো।


কে'টে গেলো কয়েকমাস।ইদানীং সবার আচরণে এতটুকু বুঝতে বাকি রইলো না,আমি পরিবারের বোঝা।বাবা কিছু কঠিন কথা বলতে চান হয়তো, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারেনা।


বাবার মুখের দিকে তাকিয়েই ছোট ভাই ও কিছু বলার সাহস করে উঠতে পারছে না।তবে আচরনে বুঝিয়ে দেয় আমাকে তাদের আর সহ্য হচ্ছে না।ডিভোর্সি মেয়েকে নিয়ে সমাজের লোকের কটু কথা,অপমান পরিবারের আর সহ্য হচ্ছে না।


এককালে এই পরিবারের রাজকন্যা আমি এখন নিজেকে ভিখারিনি মনে হচ্ছে!


তার কিছুদিনের মধ্যেই বাবা চিন্তায়, দুঃচিন্তায় শয্যাশায়ী হয়ে গেলেন।ছোট ভাই একরাতে খেতে বসে বললো 


" দিদি একটা কথা বলি,তুমি মন খারাপ করিও না।তোমার জন্যই কিন্তু বাবা আজ ম"রতে বসেছে।কেন আমাদের বোঝা হয়ে আছো বলতো? শেষ বয়সে বাবাকে শান্তিতে থাকতে দিলে না "


এই কথা শুনে তিনদিন অনবরত কাঁদলাম।সাহসের অভাবে দে"হত্যা"গটাই শুধু করতে পারলাম না।তেরোদিন শয্যাশায়ী থেকে বাবা মা"রা গেলেন।


ছোট ভাই সরাসরি বললো " আমি আর তোমার দায়িত্ব নিতে পারবো না দিদি।এতোদিন বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারিনি।তুমি কি করবে করো,আমার নিজেরো পরিবার আছে,বাড়তি ঝামেলা নিতে চাচ্ছি না "


এই কথা শোনার পরে ওই বাড়িতে আর থাকা চলে না।মনের দুঃখে সেই রাতেই বাড়ি ছাড়লাম।


-গল্প -আত্নব্যথা 


মন ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারন গল্প।

Previous Post Next Post