- ভালোবাসার ফেসবুক স্ট্যাটাস
-ক্লাস ৮ম' থেকে আমাদের সম্পর্ক কিন্তু কলেজে উঠা মাত্রই সে পরিবর্তন হতে লাগলো।
-জিঙ্গাস করলাম' কি হয়েছে অথই আমার সঙ্গে এমন করছো কেনো।
-আশ্চর্য আমি আবার কী করলাম।
-কি করতেছো জানোনা। তুমি এতু চেন্স হয়ে যাচ্ছো কেনো। কলেজে দেখি সব সময় ছেলের সঙ্গে মিশো।
-ওরা আমার বন্ধু হয়।
-আমি তোমার Boyfriend থাকতে বন্ধুর কেনো প্রয়োজন বুঝলাম না।
-জানিনা।
-এই সব কিন্তু আমার ভালো লাগতেছেনা।
-ভালো না লাগলে আমি কি করবো শুনা।
-তুমি কোন ছেলে বন্ধুর সঙ্গে মিশবেনা। মেয়েদের মিশতে পারো।
-তুমি এমন করো' কেনো আমার সঙ্গে। তোমাকে তো আমি কিচ্ছু বলিন।
-এমন করি মানে।
-শোন হাসিব তোমার এই সব পাগলামি আমার একদম ভালো লাগেনা।
-ওহ!
-তোমার যদি ভালো না লাগে এই সব তাহলে ব্রেক-আপ করতে পারো।
-৩ বছরের সম্পর্ক ব্রেক-আপ বললেই হয়ে গেলো নাকি।
-তাহলে আমি এমন করে ঘুরে বেরাবো কিচ্ছু বলতে পারবেনা আমাকে ওকে।
'অথইয়ের মুখে এমন কথা শুনা মাত্রই হাসিব কেমন জনি নিশ্চুপ হয়ে গেলো। আর অথই সেখানে থেকে চলে গেলো।
'এই ভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে হাসিব অথই কে ফোন দিয়ে বলে।
-হ্যালো অথই তুমি কোথায় ঘুরতে যাবে।
-না' আমি ব্যস্ত আছি আমাকে ডিস্টাপ করবে না বলে দিলাম।
-ওহ ঠিক আছে।
'এর পরে হাসিব এক বুক কষ্ট নিয়ে বাসায় শুয়ে থাকে' girlfriend এর এমন ব্যবহার পরিবর্তন কেনো জানি মানতেই পাচ্ছেনা'
-সন্ধার পরে হাসিবের ফোন তার একটি বন্ধু ফোন দেয়'
-হ্যালো হাসিব তুই কোই আছিস।
-বাসায় আছি কেনো।
-আরে তুই কিচ্ছু জানিসনা নাকি।
-না।
-অথই আজ ওর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলো। পরে সুযোগ বুজে সবাই তারা অথই কে ধর্ষন করে! সেটাও আবর ফেসবুক ছারে।
-কি বলিশ এইই সব।
-হ্যারে মামা সব সত্যি কাহিনি।
"বন্ধুর মুখে এমন কথা শুনে হাসিব নিশ্চুপ?
"আসলেই যারা সত্যিকারের ভালোবাসার মূল্য দিতে পারেনা। এবং সঠিক মানুষ পেয়েও হারিতে ফেলে তাদের সঙ্গেই এমন হওয়া উচিৎ '
অনু_গল্প:ভুলটা_আমার_ছিলো
কাহিনী ও কাহিনিতে :-মি_হাসিব
মিথ্যা ভালোবাসা
-ইশশশ ছেলেটা কতো সুন্দর।
-কাজের ছেলে ওইটা আমাদের বাসার। তোর ওকেই পছন্দ হলো।
-হুমম আমি প্রেম করতে চাই ওর সঙ্গে।
-তোর মাথায় নিশ্চিত সমস্যা হয়েছে। এখনি ডাক্তার দেখাতে হবে বুজছি।
-কাজের ছেলেরা কি মানুষ নয়। ওদের ভালোবাসতে বুঝি ইচ্ছে করেনা।
-তাই বলে কাজের ছেলের সঙ্গে প্রেম করবি তুই অধরা।
-হ্যাঁ প্লিজ ম্যানেজ করে দেনা।
-আমি পারবোনা। তোর জন্যে কতো কোটিপতির ছেলে পাগল আর তুইইই কিনা।
-প্লিজজজ বান্ধবী আমার এমন করিশা বিশ্বাস কর প্রথম দেখাতেই ওর প্রেমে পরে গেছি আমি।
'বান্ধবির এমন রিকুয়েস্টে শেষ পযর্ন্ত সুভা হাসিব কে ডাক দেয়'
-এইই হাসিব এই দিকে আয়তো।
-হ্যাঁ আপা মনি বলুন।
-আচ্ছা তুইকি কাউকে ভালোবাসিস বা প্রেম করিশ।
-ছিইই আপামনি কি বলেন এইসব। আমাদের মতো গরিবের আবার ভালোবাসা।
-তার মানে তুই সিঙ্গেল।
-হ্যাঁ।
-এই অধরা এখন কি বলার আছে তুই বল। আমি নিছে গেলাম কাজ আছে।
-ঠিক আছেরে।
'এইবার অধরা কাছে এসে বলে'
-আমার নাম হচ্ছে অধরা আমি সুভার বেষ্ট ফ্রেন্ড। এক সঙ্গেই পরাশুনা করি।
-ওহ।
-তোমাকে একটি কথা বলতে চাই।
-জ্বী বলুন কী বলবেন।
-আমি তোমাকে ভালোবাসি হাসিব। তোমাকে বিয়ে করে এক সঙ্গে থাকতে চাই।
-আরে কি বলেন এই সব। মাথায় সমস্যা আছে নাকি আপনার হ্যা।
-সত্যি বলছি হাসিব বিশ্বাস করো আমাকে।
-আপনি কোথায় আর আমি কোথায় একবার ভেবে দেখেছেন। আমি হলাম কাজের ছেলে আপনি মালিক। এইটা কখনো সম্ভব বলুন।
-অবশ্যই সম্ভব।
-আমার তো এই কথাটি বিশ্বাস হয়না।
-শোন ভালোবাসার মানুষটি ধরে হাটি ধরে রাখে তাহলে কিছুই অসম্ভব না।
-না আমি এই সবে নেই।
-তুমি যদি রাজি না হও তাহলে আমি এই সাদ থেকে লাফদিয়ে আত্মহত্যা করবো।
-আপনি কি চান হ্যা।
-আমি তোমাকে চাই। তোমার সঙ্গে বাচতে চাই।
-আশ্চর্য আমি আপনাকে বিয়ে করে খাওয়াবো কি। নিজেই করি অন্যের বাসায় কাজে। এছারা আপনার বাবা মা জানলে আমাকে মেরেই ফেলবে। আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ।
-চিন্তা করিওনা আমরা দুজনে কোন এক অচেনা শহরে গিয়ে বসোবাস করবো। যেখানে আমাদের কেউ খুজে পাবেনা।
-যদি পরে ঠগান আমাকে।
-বিশ্বার রাখো আমার উপরে তোমাকে আমি কখনো ছেরে যাবোনা।
-সত্যি তো।
-হ্যা ৩ সত্যি বলতেছি।
-আমার না সত্যি বিশ্বাস হচ্ছেনা এখনো এই সব কিছু। কেমন জানি লাগতেছে।
-আরে পাগল সত্যি আমি তোমাকে ভালোবাসি l love you🌼
-I love you to🍀
"আসলে ভালোবাসা গুলা বরই অদ্ভুত' ছোটলোক / বড়লোক দেখে হয়না। যাকে একবার ভালো লাগে তাকে কখনোই মন থেকে মুচেফেলা যায়না"
অন_গল্প :-কাজের_ছেলেটি
কাহিনী ও লেখনীতে : -শূন্য_চিঠি
ভালোবাসা মানুষ
– বিয়ের ২০ দিন যেতে না যেতেই, মেয়েটার মাথা ঘুরানি আর বমি ভাব দেখে আমি অবাক হই নি।
বরং অবাক হয়েছে আমার গোটা পরিবার।
অবশেষে পরিবারের চাপে পড়ে নিয়ে গেলাম ,ডক্টরের কাছে।
চেকআপ করে সত্যটা প্রকাশ হলো।
আমি বাচ্চার বাবা হতে চলেছি।
যেখানে আমার খুশি হওয়ার কথা।
সেখানে আমি নারাজ।
মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে আসলাম।
মেয়েটার চোখে চোখ দেখে জানতে চাইলাম।
সত্যি কি, এ বাচ্চার বাবা আমি।
মেয়েটা চুপ করে আছে।
কোন উত্তর নেই, মাথায় হাত বুলিয়ে সাহস দিলাম।
ভয় পেয়ো না।
আমি তোমাকে ত্যাগ করবো না।
শুধু একজন পুরুষ হয়ে,সেই পুরুষ কে ধিক্কার জানাবো।
যে আমার স্বপ্নটা পূরণ হতে দেয়নি।
মেয়েটার চোখ দিয়ে শুধু পানি ঝরছে।
কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে তার।
কান্নার আওয়াজ আমার অন্তর ভেঙ্গে খান খান করে দিচ্ছে।
আমার উত্তর পেয়ে গেছি।
তবুও তাকে দোষ দেইনি।
ভাগ্য বলে, চালিয়ে নিলাম।
এতটাই ভালবাসি যে,ছুঁড়ে ফেলতে পারলাম না।
আমি পরিবার থেকে বঞ্চিত হলাম।
অন্য অফিসে বদলি হলাম।
মেয়েটা কেমন যেন বোবা হয়ে গেছে।
বাসায় একা একা মন মরা হয়ে থাকে সারাক্ষণ।
কোন কথা বলে না।
হঠাৎ এক গভীর রাতে হু হু করে কেঁদে উঠেছে।
আমি চমকে গেলাম।
জেগে দেখি মেয়েটা আমার বুকের উপর মাথা রেখে,
চোখের পানিতে আমার গেঞ্জি ভিজিয়ে ফেলেছে।
চোখ মুছে দিয়ে আবার বুকে জড়িয়ে নিলাম।
ভালোবাসার কষ্টের গল্প
আমি ওকে একটু ঠকাইনি।
তবে সে আমাকে ঠকিয়েছে।
এটাই তার দুঃখ।
তবে ব্যাপার না, আমি এই বাচ্চাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম।
বিয়ের বয়স ৮মাস হতেই, বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলো।
দুঃখের বিষয়, বাচ্চাটা হলো মরা।
মেয়েটার জ্ঞান ফেরার পর, যখন জানতে পারল বাচ্চাটা মারা গেছে।
সে তখন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে আমাকে ডাক দিয়েই আবার বেহুঁশ হয়ে গেল।
তারপর থেকে মেয়েটার কথা বলতে পারেনা।
এখনো দুজন দুজনকে পাগলের মতো ভালোবাসি।
বিয়ের বয়স আজ ৪ বছর।
বাবা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।
তবুও সারাদিন পরিশ্রম শেষে, যখন ডিম লাইটের আলো নিভিয়ে মেয়েটা আমার বুকের অপর মাথা রাখে।
বিশ্বাস করুন, আমি তখন স্বর্গে ছোঁয়া পাই।
ভালো থাকুক,ভালোবাসা।
ভালো থাকুক, ভালোবাসার মানুষগুলো।
আমি ওকে একটুও ঠকাইনি তবে সে আমাকে ঠকিয়েছে।🥺
সমাপ্ত। 🥰🥀