নীল ক্যাফের ভালোবাসা
রান্না দেরি হওয়ায় মা'কে সজোরে লা'থি মারলো বাবা।চুলের মু'ঠি চেপে ধরে বললো
" সারাদিনে করিসটা কি? ভাতটাও সময় মতো পাই না। মুখ দেখার জন্য তোরে ঘরে আনছি নাকি? "
লাথি সহ্য করতে না পেরে মাটিতে প'রে গিয়ে পায়ে ব্যা'থা পেলো।ডাক্তার দেখে বললো পা ভে'ঙ্গে গেছে।দশ-বারোদিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারবে না।বাবাকে বললাম
" বাবা,বাড়ির এতো কাজ কে করবে এখন? একটা কাজের লোক ঠিক করতে হবে তো "
বাবা বললো " বাড়ির কি এমন কাজ? যেটুকু কাজ,এটা হাসতে হাসতে করা যাবে "
আজ দুইদিন হয়ে গেলো।বাবা আমি দু'জনই এক মুহুর্ত বসে নেই।সংসারের এতো এতো কাজ থাকতে পারে আমাদের জানা ছিলো না।এই দুইদিনে কাজের চাপে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময়টুকুও আমাদের হলো না।
রাতে খেতে বসে বাবা দুঃখীত স্বরে বললো
" দুইজন মিলে দিনরাত খাটুনির পরেও অর্ধেক কাজ বাকি রয়ে গেলো।তোর মা একা একা কিভাবে করে এতো কাজ? "
গল্প-সংসার
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
ভালোবাসার স্ট্যাটাস
বিধবা শ্বাশুড়ি মা আজকাল প্রায়ই বাসা থেকে বের হয়ে যান।ঘন্টার পর ঘন্টা কে'টে যায়,ফেরেন না।কোথায় যান?
মায়ের এই বেড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টা কাজের বুয়ার জানালো।চিন্তিতবোধ করলাম।এই বয়সে মা কোথায় গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে?
শুক্রবার দুপুরে মা"কে অনুসরণ করলাম।মা পার্কের দিকে হাঁটছেন।বেশ অবাক হলাম।
সত্যি সত্যিই মা পার্কে ঢুকলেন।তার হাতে একটা শপিং ব্যাগ।পার্কের বসে থাকার যায়গা বসে মা কার জন্য যেন অপেক্ষা করতে লাগলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনজন টোকাই মায়ের কাছে আসলো।মা ওদের সাথে ঘাসের উপর বসলেন।
শপিং ব্যাগ থেকে মা লুডুর কোড বেড় করলেন,টোকাইদের সাথে লুডু খেলছেন।চাকুরীজীবী দম্পত্তি আমরা!মা'কে সময় দিতে পারিনা।ছেলেটাকেও রেখেছি হোস্টেলে!মা তার একাকিত্ব বোধ টোকাইদের সাথে লুডু খেলে কাটান।মনে তীব্র কষ্টবোধ হলো।
গল্প-একাকিত্ব
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা
" ভিজে যাচ্ছেন।ছাতাটা নিন! "
কুসুম চমকে পেছনে তাকালো।ছেলেটা তার দিকে ছাতা এগিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।কুসুম আমতা আমতা করে বললো " আমায় বলছেন? "
" হ্যা।বসন্তের হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন "
কুসুম তার জীবনে বাবা এবং ভাই ছাড়া কোনো ছেলের সাথে তেমন কথা বলেনি।ভিষণ আনমনা,শান্ত মেয়ে।এ ধরনের মেয়েরা ছেলেদের সাথে মিশতে চায়,কিন্তু পারে না।আড়ষ্টভাব এদের প্রবল।
কুসুম জরতা নিয়ে বললো " ছাতা আমায় দিলে আপনিও তো ভিজে যাবেন "
" আমার কিছু হবে না।মাথায় পলিথিন পেঁচিয়ে যেতে পারবো।পাশেই মেস "
কথাটা বলে ছেলেটা দৌড়ে একটা দোকানে ঢুকলো।বেড় হলো পলিথিন নিয়ে।পলিথিন মাথায় পেঁচিয়ে কুসুমের দিকে মুচকি হাসি দিয়ে হাত ইশারায় বিদায় জানালো।কুসুমের বু"ক ধক করে উঠলো।এর আগে কোনো ছেলে তাকে ইশারা করেনি।
বাড়ি ফিরে কুসুম সযত্নে ছাতাটা টেবিলের সামনে রাখলো।ছাতাটা দেখলে তার মন আনচান আনচান করে,বু"কের ধুকপুকানি বেড়ে যায়,ঘনঘন শ্বাস নেয়।
ছাতাটা ফেরত দেওয়ার জন্য কুসুম কলেজের সামনের রাস্তাটায় রোজ ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে থাকে।ছেলেটা কখনো আসেনা।
কুসুমের উদ্দেশ্য কি শুধুই ছাতা ফেরত দেওয়া?না! ছাতাটা একটা বাহানা মাত্র।আসল উদ্দেশ্য ছেলেটাকে দ্বিতীয়বার একপলক দেখার!কিন্তু ছেলেটা তো সেটা বুঝে না!ছেলেটা তো বুঝেনা তাকে দেখার জন্য সহজ সরল,বোকা মেয়েটা রোজ ছাতা হাতে অপেক্ষা করে।
গল্প-অপেক্ষা
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
ভালোবাসার গল্প
-মোবাইলের গ্যালারিতে girlfriend এর ছবিটা চুপি সারে দেখছিলা' এমন টাইমে পিছন থেকে মা বলে উঠলো'
-মেয়েটা কেরে বাবা?
-একটু ভয় পেয়ে বল্লাম' মেয়েটাকে আমি বেশ ভালোবাসি মা আমার প্রেমিকা।
-বাহ মেয়েটা বেশ সুন্দর। বাসা কোথায়।
-এইতো মা রংপুরেই বাসা , আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ে।
-ঠিক আছে ভালো করে পরাশুনা কর' প্রতিষ্টিত হও আমি তোদের বিয়ে দিবো।
-সত্যি বলছো মা।
-হ্যারে পা*গল ছেলে আমার সত্যি বলতেছি। কেনো মাকে বুজি বিশ্বাস হয়না।
-অনেক বিশ্বাস করি তোমাকে।
-তাহলে।
-যদি বাবা কিছু বলে তখন।
-তোর বাবা কে রাজি করার দায়িত্ব তোর এই মায়ের বুজেছিস।
-ধন্যবাদ মা।
-পা*গল ছেলে পরতে বস এখন? আমি রান্না ঘড়ে গেলাম রান্না করতে।
-হ্যাঁ।
"আজ ৬ বছর পরে আমি প্রতিষ্টিত হয়েছি' সেই মেয়েটিকে ও বিয়ে করতেছি কিন্তু আমাকে বুঝা আমার সেই পা*গলি মা আর বেছে নেই। ব্লা*ড ক্যা*ন্সারে ২ বছর আগে মা*রা গিয়েছে😞
"আজ ছেলেটি বিয়ের আসরে চিৎকার করে বলতেছে মা আজ তোমার ছেলে প্রতিষ্টিত' সবাই তাকে স্যার বলে ডাকে কিন্তু তুমি নেই কেনো।
অপুগল্প:মা
কাহিনী ও লেখনীতে: মি_হাসিব