বাঁচতে হলে হাসতে হবে | হাসতে দেখো গাইতে দেখো

  • হাসতে নাকি জানেনা কেউ

হাসতে নাকি জানেনা কেউ

 স্বামীর সাথে রাগ দেখিয়ে বললাম " ধূর,আজ আছাড় মে"রে সব ভেঙ্গে ফেলবো "


স্বামী বোকা বোকা মুখ করে বললো " কেন কি হয়েছে? "


হুংকার দিয়ে বললাম " আর কতবার বলবো আমার মন খারাপের কারন জিগ্যেস করবে না?আমার মন খারাপের কোনো কারন লাগেনা।এক কথা একবার বললে কানে যায় না তোমার? "


স্বামী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো " ইয়ে মানে,আচ্ছা একটু তো শান্ত হও "


" হবো না।আমার ভাল্লাগেনা "


" তাহলে কি ভালোলাগে? "


স্বামীর সরল মুখ দেখে হঠাৎ মুডসুইং হয়ে গেলো।বললাম " তোমাকে ভাল্লাগে,চু"মু খেতে ইচ্ছে করে "


লজ্জায় স্বামীর মুখ লাল হয়ে গেলো।গা"ল টিপে ধরে বললাম " আসো একটু আদর করে দিই "


গল্প-মুডসুইং

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়

  • হাসতে পারলে জীবন সুন্দর

-রাত ১টা বাজে' একটি বন্ধ চায়ের দোকানে বসে কান্না করছিলাম।


-এমন সময় কিছু হি'জ'রা এসে আমাকে জিঙ্গেস করতে লাগলো।


-কান্না করো কেনো ভাই কি হয়েছে তোমার?


-তাদের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম। আজ আমি ঝগরা করে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি। ভিষণ ক্ষুদা লাগছে আমার।


-চল আমাদের সঙ্গে'


-না আমি যাবোনা তোমাদের সঙ্গে। তোমরা ভালো মানুষ না।


-পাগল ছেলে একটা। ভয় করিশনা আমাদের সঙ্গে চল তোকে পেট ভরে খাওয়াবো।


-যদি আমার ক্ষতি করো তখন।


-বিশ্বাস রাখতে পারিশ আমাদের উপরে। তোর কোন ক্ষতি করবোনা আমরা।


-এমন কথা শুনে সোয়েব ওদের সঙ্গে চলে যায়' এর পর থেকে আস্তাগফিরুল্লাহ্ সোয়েব ও এখন হাত তালি দিয়ে বেড়ায়😬


"অনু_গল্প: হাত_তালি

কাহিনী ও লেখনীতে : মি_হাসিব 

জাস্ট একটি ফানি গল্প : ডন্ট মাইন্ড🌼

  • প্রচুর হাসতে হবে

খাবার টেবিলে বসে আমার ৭ বছরের ছোট ভাই নিজের পেটে হাত রেখে আদুরে গলায় বলল ও আমার লাল আজ থেকে আমি ভালোমতো খাব শুধুমাত্র তোর জন্য!


আমি আম্মুর দিকে তাকালাম। আমার চোখে প্রশ্ন কি বলে এসব?


আম্মু বিস্ময়ের সাথে ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করল বাবা কাকে কি বলছো? কার জন্য তুমি ভালোমতো খাবে?


ছোট ভাই ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে বলল আম্মু আমার পেটে যে তোমার নাতি বেড়ে উঠছে। বেশি করে খেতে হবে না এখন?


আমার গলায় খাবার আটকে গেছে। আম্মু চোখ কপালে তুলে আবার ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করল তুমি কিভাবে বুঝলে যে তোমার পেটে আমার নাতি আছে?


ছোট ভাই বলল আমার খুব শখ আমার একটা বাবু হবে। আমি তার সাথে খেলব। তাই আল্লাহ কে বলেছি আমাকে একটা বাবু দিতে! এরপর আমার পেট গুড়ুম গাড়ুম করছে!

আমার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেল ওর কথা শুনে। এমনেই মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। একটা মেয়ে হাই লিখে মেসেজ দিয়েছিল ।।আমি সাধারণত কোন মেসেজ রিকোয়েস্টের রিপ্লাই করি না। কি বা ভাগ্যে রিপ্লাই করলাম জি? তারপর মেয়েটা বলে নাথিং! আরে আবাল কিছু বলার নাই তো আজাইরা মেসেজ দিলি কেন? অনেক কড়া কথা শোনানোর ইচ্ছা থাকলেও শুনাই নি। আগুন তুষে চাপা দিয়ে দিয়েছিলাম। এখন ভাইয়ের কথায় তুষের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ঊঠল। চিৎকার দিয়ে বললাম ছেলেদের বাচ্চা হয় কখনো শুনেছিস?

ছোট ভাই মুখ গোমড়া করে বলল Oggy কার্টুনে ওগির পেটে বাবু হইছিল না? ওগি কি ছেলে না?

মনটা চাচ্ছে থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেল দিতে।

----ঐ আবাল কার্টুনের সাথে তোর সাথে? ওগি কার্টুনে এটা একটা চাল ছিল ঐ তিনটার। কি জানি নাম! যাক গে! ছেলেদের কখনোই বাচ্চা হয় না।

ছোটভাই এবার মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে ভ্যাঁ করে কান্না জুড়িয়ে দিল! কেন তার বাচ্চা হবে না! কি সমস্যা!

আম্মুর অবস্থা খারাপ! আর আমি নিজের চুল নিজেই ছিড়তেছি! এটা কোন জাতের ছেলেরে বাবা!

আম্মু অবশেষে বলল মেয়েদের বাচ্চা হয় ছেলেদের হয় না। তোমার বিয়ের পর তোমার বউয়ের বাবু হবে!

কথাটা মুভের মতো কাজ করল। ছোট ভাই কান্না থামিয়ে বলল তাহলে আমাকে বিয়ে দিয়ে বউ আনো। আমার ক্লাসের রিয়াকে আমার খুব পছন্দ।

  • শব্দ করে হাসতে মানা

মন্টু সিগারেট টানতে ছিলো হঠ্যাৎ তার ছোট ভাই বল্টু দেখে ফেলে এবং ,তার বড় ভাই মন্টুকে বলে...🥹🫰🏻

বল্টু : ভাইয়া তুমি সিগারেট খাও আমি আব্বুকে বলে দিবো ।🥹🥹

মন্টু : তোরে চকলেট, চিপস, আইসক্রিম কিনে দিবো । তবুও তুই আব্বুকে বলবি না প্লিজ!🙁🙁

বল্টু : না আমি আব্বুকে বলবোই বলবো ! 🥲🥲

মন্টু : প্লিজ প্লিজ আব্বুকে বলবি না । আচ্ছা তুই যা চাস তাই খাওয়াবো । বল তুই কি খাবি!🫣🫣

বল্টু : আমি আব্বুকে বলবো না। কিন্তু একটা শর্ত আছে!🫠🫠

মন্টু:কি শর্ত!😑😑

বল্টু : তাহলে বিড়িটা দেও ,আমিও একটা টান মারি !🙂🙂

.

রম্য গল্প: ছোট ভাই 

  • জীবনে প্রচুর হাসতে হবে

এই রাতের বেলা বসে বসে বিরিয়ানি খাচ্ছি হটাৎ আমার gf জান্নাত ফোন দিলো...!!

- জান্নাত : হ্যালো তিশান কী করো তুমি জান..!!

- আমি : গরুর ঘাস কাটি খাটবা....!!

- জান্নাত : আরে কী বলো এসব গরুর গাস কেনো কাটবো....!!

- আমি : আচ্ছা কী বলবা বলো.....!!

- জান্নাত : তুমি কি আমায় ভালোবাসো... জান...!!

- আমি : বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করো আমি অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে....!!

- জান্নাত : ধরো তোমার শার্টের পকেটে মাত্র ৫০০ টাকা আছে, তা থেকে আমি ৪৫০ টাকা চাইলাম, তুমি দিতে পারবে...!!

- আমি : জরুরি টাকাটায় তোমার চোখ পরেছে মনে মনে ভাবছি , বিব্রত হয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম , কেনো পারবো না, একশবার পারবো | তবে পরীক্ষার তারিখটা একটু পিছানো যায় না |🤣🤣🤣


সমাপ্ত


-প্রেমের_পরীক্ষা

-লেখা_তরিকুল_ইসলাম_তিশান

  • হাসতে ভালোবাসি ক্যাপশন

দুই বান্ধবী মিলে দুইটা মুরগি কিনেছি। পালবো বলে। ছোট মুরগি কিনে পেলেপুষে বড় করলাম। এরপর মুরগি ডিম দেয়না বলে কত্তো টেনশন ওর। এদিকে আমারটাও দেয়না। ওরে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, “হয়তো বয়স হয়নি এখনো তাই দিচ্ছে না।” ও বললো, “আরে ডিম কেম্নে দিবে? মুরগিওয়ালার বাড়ি চল। বেডারে জিগামু ডিম ক্যান দেয়না? বিয়ে দিতে হবে।” তারপর একদিন গেলাম। ও মুরগিওয়ালাকে গিয়ে বলে, “আপনার থেকে আড়াইশো টাকা দিয়ে মুরগি কিনলাম। আর ডিম দেয়না কেন? আজ দু’ মাস হলো ওরে বড় করলাম। তাও ডিম দেয়না।” মুরগিওয়ালা হাসতে হাসতে এমন পর্যায়ে গেলো যে, পাগল হবার যোগাড়। পরে বললো “অতো কথা শুনতে চাইনা। মুরগির জন্য এখন একটা মোরগ দেন।” ছেমরি মোরগ একটা আনলোই; কিন্তু টাকা দিলো না। আমি বললাম, “মোরগ একটা নিলি ক্যান? দুইটা নে।” ও বলে, “একটাতেই হবে; আর লাগবে না। বেডা কি তোর শ্বশুর হয় যে, দুইটা মোরগ দিবে? এই মোরগ আমার বাড়ি কিছু দিন রেখে পরে তোর বাড়ি রাখবো কিছুদিন। এরপর আবার মালিককে ফেরত দিয়ে দিবো।” তা-ই করলো। পরে একদিন কল দিয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে বলে, “মুরগি আমার খালি ডাকে আর ছোটাছুটি করে।” আমি বললাম, “ডিম দিবে মনে হয়।” তা-ই হলো। পরপর বারোটা ডিম দিলো। ও বলে, “তাহলে এখন এই মোরগ তুই নিয়া যা।” আমি বললাম, “লাগবেনা, আমার মুরগি আরেকটা মোরগের সাথে প্রেম করে। মনে হয় ওই মোরগটারেই বিয়ে করবে।” তার ঠিক দেড় সপ্তাহের মাথায় আমার মুরগি ডিম দিলো। একেবারে ১৯ খানা। আমি বান্ধবীরে বললাম, “মুরগিরে ডিম দিয়ে বসিয়ে দে।” ও বলে, “দিছি, এক সপ্তাহ হলো।” আমারে জানালো না; কষ্ট পেলাম। পরে বললো, “আচ্ছা, বাবু হলে তোরেই আগে জানাবনে।” শুনে খুশি হলাম। আমিও আমার মুরগিটাকে ডিম দিয়ে বসিয়ে দিলাম। তারপরেই ও বললো, “মুরগি বাচ্চা ফুটিয়েছে।” খুশি হয়ে এতোটাই যত্ন নিতে লাগল যে, উঠা বসা মুরগির সাথেই করতে লাগল। আমি বললাম, “ওদেরকে ওদের মতো থাকতে দে। অতো বেশী ধরিসনা।” ও কথা না শুনে বললো, “আরেহ্, পরশু আমি শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে দিছি। এখন আরো দেখতে সুন্দর হয়েছে।” তার তিনদিন পরই শুনি, মুরগির তিনটা বাবু মারা গেছে। ছিলো বারোটা। তার মধ্যে নয়টা টিকেছে। সেখান থেকেও আবার তিনটা মারা গেলো। এরপর এমনি এমনিই মারা গেলো আরো দুইটা। চারটা একটু বড় হলো। একদিন বাড়ি ছেড়ে মামার বাড়ি গেছে ও। আর ওর ছোট বোন একটারে ধরে জবাই করে খেয়ে ফেলেছে। বাড়ি এসে এটা জানতে পেরে কষ্টে ও দুইদিন না খেয়ে থাকে। এরপর আমার বাসায় এসে কথাগুলা আমারে শুনালে ওর ব্যথায় মর্মাহত হয়ে কথা দিলাম, “একটা বাবু আমি দিবনি।” শুনে খুশি হয়ে আমার মুরগিটারে দেখে সেদিন বাড়ি চলে গেলো। এরপর ওই তিনটাই ছিলো। দু’ টা মারা গেলো। এখন একটা আছে। তার খুব খেয়াল রাখে। আর গত পরশু আমার মুরগি চৌদ্দটা বাবু দিলো। সেদিন সারাটা রাত আর আমার ঘুম নেই।এ পাশ ও পাশ করতে করতেই রাত পেরিয়েছি। রুমে একটা মশা ভীষণ জ্বালাতন করছিলো! বেলকনিতে গিয়ে কোয়েল লাগাব।এরই মধ্যে মুরগির বাবুর আওয়াজ শুনে ঘুম আর ধরবে কি? সবই অন্ধকার আকাশে উড়িয়ে গেলো।তারপর; রাত সাড়ে তিনটা বাজে বাহিরে গিয়ে মুরগির ঘরের পাশে পিড়ি নিয়ে বসে মুরগির বাচ্চাগুলোরে প্রায় বারো মিনিট ধরে দেখলাম। তারপর সকালে সবগুলারে বের করে দেখি, সব গুলোই দেখতে বাবার মতো হয়েছে। আজ বান্ধবী আমার মুরগির বাবু দেখতে বাড়ি আসবে। তার আগে ছবি উঠিয়ে বান্ধবীর ইনবক্সে দিলাম।ও লাল হয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে বলছে: আচ্ছা ওদের জন্য কি নিবো? সেরেলাক্স? নাকি সূজি? আবার বলছে আচ্ছা ওদের মুখে মধু ছোঁয়াস নি? ওরা মুরগি তো কি? কোকিলের মত ডাকবে! বিশ্বাস করেন ভাই আমার হাসতে হাসতে শরীর তিন কেজি কমিয়ে গিয়েছে এমনটাই মনে হচ্ছিলো। 


অতঃপর কথাগুলো একেবারেই এমনি।বান্ধবীর সাথে এমনি কথোপকথন চলে।আরেহ্ ভাই কি করব? তাই দেড় মাস ব্যস্ত সময় কাটালাম।বান্ধবী এমনিতেই অসম্ভব লেভেলের মজার মানুষ। তারউপর আমি,,বুঝতেই পারছেন ঢোলের উপর একটু বাড়ি। যাই-হোক " চৌদ্দ টা বাবুর মা হয়েছে আমার মুরগি। মুরগি বেডিরে চাইপ্পা ধইরা চুমাইতে মন চাইতেছে।


বিদুষী বিনোদিনী।


মন ছুঁয়ে যাওয়া মজার গল্প পড়ুন।

Previous Post Next Post