যে পুরুষ স্ত্রীর থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করে ২০২৫

 বিবাহিত পুরুষ স্বপ্নে নিজের বিয়ে দেখলে কী হয়?

যে পুরুষ স্ত্রীর থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করে

রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন মাহিন। হঠাৎ স্বপ্নে দেখলেন, তিনি নতুন করে বিয়ে করছেন। কনে কারা যেন—চেনা আবার অচেনা। ঘুম ভাঙার পর তার মনে হাজার প্রশ্ন।

ইসলামীক ভাবে স্বপ্নকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়:

. সত্য স্বপ্ন (রুহানী স্বপ্ন),

. শয়তানি স্বপ্ন,

. মানসিক চিন্তার প্রতিফলন।

মাহিনের স্বপ্নটা হয়তো তার মনের গোপন চিন্তা, হয়তো সামাজিক চাপ, নয়তো বাস্তব জীবনের কোনো খালি জায়গা পূরণ করতে চাওয়া। এমন স্বপ্ন দেখা পাপ নয়, বরং আত্মজিজ্ঞাসার দরজা।

স্বপ্ন যদি অস্থিরতা তৈরি করে, তবে আল্লাহর কাছে দোয়া, দরূদ পাঠ, এবং ফজরের নামাজ আদায়—এগুলোই মানসিক প্রশান্তি ফেরানোর পথ।

---

যে পুরুষ স্ত্রীর থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করে

নাম তার জুবায়ের। বয়স পঁইত্রিশ। স্ত্রীর সঙ্গে তেমন কোনো বড় সমস্যা নেই। তবু সমাজের চাপে, বন্ধুদের উসকানিতে, কিংবা নিজের লোভে আবার বিয়ে করলেন।

প্রথম স্ত্রী নীলু কেঁদে বলল, “আমি কী কম কিছু ছিলাম?

এই প্রশ্নের জবাব জুবায়েরের জানা নেই।

ইসলামে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি থাকলেও তাতে কঠোর শর্ত রয়েছে—ন্যায়বিচার, ভালোবাসা এবং দায়িত্বের ভারসাম্য। কেবল শখ পূরণের জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেটা অমানবিক।

আসলেই, একজন পুরুষ যদি স্ত্রীর হক নষ্ট করে দ্বিতীয় বিয়েতে লিপ্ত হয়, তাহলে তা বৈধ হলেও ন্যায়পরায়ণ নয়। এটি সম্পর্ক ভাঙে, সন্তানদের মন ভেঙে দেয়, সমাজে বিষ ছড়ায়।

---

যে পুরুষ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করে – এক কথায় প্রকাশ

যদি এক কথায় প্রকাশ করা হয়, তাহলে বলা যায়—

অধিকারবঞ্চক

কারণ, যদি সে প্রথম স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব, ভালোবাসা, সম্মান বজায় না রেখে দ্বিতীয় বিয়েতে যায়, তবে সে শুধু স্বামী নয়—অধিকার হরণকারী।

তবে যদি সে দায়িত্বশীল হয়, দুটি পক্ষের সম্মতিতে এগোয়, তাহলে হয়তো বলা যায়—

দায়িত্বভার বহনকারী

শব্দটি নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচক—দুই দিকেই যেতে পারে, নির্ভর করে তার আচরণ আর নিয়ত অনুযায়ী।

---

স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে—মানসিক, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিফলন

ইসমাইল দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী রুনার সঙ্গে সংসার করছেন। রুনা সবসময়ই তাকে ভালোবেসে এসেছে। তবু একদিন সে জানল—ইসমাইল আরেকটা বিয়ে করেছে।

রুনার ভেতরে সেই মুহূর্তে যা ঘটল, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সমাজও বলল, “মেয়েটা তো দোষ করল না, তাহলে কেন তার ভাগ্য ভাঙল?”

ধর্মীয়ভাবে দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ, কিন্তু তা মানেই এই নয় যে তা ন্যায়সঙ্গত। একজন নারী যখন তার স্বামীকে ভালোবাসে, নির্ভর করে, তখন হঠাৎ তার জীবনে দ্বিতীয় একজন আসা—সে তো শুধু একটি সম্পর্ক নয়, সেটা হয় আত্মার ওপর একটা ঘা।

এই ঘা অনেক সময় সারা জীবনের ক্ষত হয়ে যায়। তাই দায়িত্ব আর ভালোবাসার ভারসাম্য ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে হতে পারে শুধুই আত্মকেন্দ্রিক এক সিদ্ধান্ত।

Previous Post Next Post