খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
খারাপ মেয়ে
রুমানা ছোটবেলা থেকে চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে ছিল। সে পড়াশোনায় ভালো, ব্যবহারেও নম্র। কিন্তু প্রেমে প্রতারিত হওয়ার পর সে বদলে যায়। মানুষ বলল, "রুমানা এখন খারাপ মেয়ের দলেই পড়ে।" কেউ জানল না, তার নির্ভরতার মানুষটাই তাকে এমন করে ফেলেছে।
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
সাবিনার পরিবার সব সময় চাইত সে যেন চুপচাপ থাকে, ঘরের ভিতরেই স্বপ্ন দেখে। একদিন সে নিজের পছন্দে চাকরি নেয়, শহরে একা বাসা নেয়। সমাজ বলল, "খারাপ হয়ে গেছে।" সাবিনা শুধু বলেছিল, "নিজের মতো বাঁচার চেষ্টা করলে মেয়েদের খারাপ বলতে সুবিধা হয়।"
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
নাজমা বিয়ের পর স্বামী-সংসার সামলাতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল। যখন আর সহ্য হচ্ছিল না, সে চলে আসে। সবাই বলল, "বউ হয়ে খারাপ কাজ করেছে।" কেউ বুঝল না, প্রতি রাতে সে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতো।
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
মায়া রাস্তায় একটা ছেলেকে চড় মারে, কারণ সে বাজে কথা বলেছিল। ভিডিও ভাইরাল হলো, সবাই বলল, "মেয়েটার রাগ অনেক, খারাপ ব্যবহার।" কেউ বলল না, মেয়েটা আসলে সাহসী, প্রতিবাদ করতে জানে।
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
রাখির বিয়ে হয় অল্প বয়সে। সে সংসার করতে না পেরে পালিয়ে যায়। গ্রাম বলল, "খারাপ মেয়ে, বিয়ের পবিত্রতা রক্ষা করতে পারল না।" কিন্তু সে বলল, "আমি তো শুধু আমার জীবনটা বাঁচাতে পালিয়েছিলাম, তোমরা সেটা দেখলে না।"
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
রিমি তিনটা প্রেম করেছিল, কেউ ধরে ফেললে আরেকটা শুরু করত না। বলত, "আমি যাকে বিশ্বাস করি, তাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসি।" তবু সমাজ বলত, "খারাপ মেয়ের নজির!" অথচ ওর প্রেমে কোনো ভণ্ডামি ছিল না।
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
সুমাইয়া একা ঘুরে বেড়াত, সাহস করে ট্রেকিং করত পাহাড়ে। লোকে বলত, "ভদ্র মেয়েরা এমন করে না। খারাপ মেয়েদের মতো আচরণ!" সুমাইয়া হেসে বলত, "যারা ভয়ের বাইরে বের হয়, তাদেরই তোমরা খারাপ ভাবো।"
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
রাহেলা বিয়ে ভেঙে নিজের মেয়েকে নিয়ে থাকত। অফিস করত, ছুটির দিনে সিনেমা দেখত। পাড়ার লোকেরা বলত, "খারাপ মা, খারাপ নারী।" কিন্তু মেয়েটা বলত, "আমার মা-ই আমার জীবনের সবচেয়ে সাহসী মানুষ।"
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
সে ভালোবেসেছিল নিঃস্বার্থভাবে, বিশ্বাস করেছিল চোখ বন্ধ করে। অথচ যাকে সে তার পৃথিবী ভাবত, সে-ই একদিন বলে উঠল, “তোমার মতো মেয়েরা শুধু সময় নষ্ট করে।” সেই দিন থেকেই সে বুঝে গেল—সবাই প্রেম চায়, কিন্তু দায়িত্ব নিতে চায় না।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
তাকে বলা হয়েছিল, “তুমি আমার সব।” অথচ যখন জীবনের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল একজন ভরসার, তখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। সে আজ আর কাউকে বিশ্বাস করে না। কারণ মানুষ কথায় ভালোবাসে, কাজে নয়।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
একজন নারী যখন কারো জন্য নিজের স্বপ্ন, আত্মসম্মান, এমনকি পরিবার পর্যন্ত ছাড় দেয়, তখন তাকে দুর্বল ভাবা হয়। কিন্তু সত্যি হলো, তার সেই আত্মত্যাগের ইতিহাসটা সবাই ভুলে যায়, যখন সে একটু ভালো থাকার কথা বলে।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
সে সংসার গড়েছিল, প্রতিটা ইচ্ছা বিসর্জন দিয়ে। কিন্তু একদিন শুনল, “তুমি বদলে গেছো।” বাস্তবে সে বদলায়নি, বদলে গিয়েছে তার জন্য বানানো মানুষটার প্রয়োজন।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
সে যে কাপড় পরত না, তাই নিয়ে কটাক্ষ। সে যে চুপ থাকত, তাই নিয়ে অভিযোগ। একদিন সে প্রতিবাদ করল—তারপর থেকেই সে “অভদ্র”, “বেহায়া”। আসলে সমাজ নারীর চুপ থাকাকেই চায়, কথা নয়।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
বিয়ের পর মেয়েটি তার ক্যারিয়ার ছাড়ল, শুধু সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু স্বামী যখন নতুন অফিসের কলিগের প্রেমে পড়ল, তখন সে মেয়েটিকে শুধুই এক “দায়িত্ব” বলল। এই দায় থেকে মুক্তি চাইলো সে।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
বন্ধুরা বলত, “তুই তো খুব লাকি, এত ভালো প্রেমিক!” অথচ সেই প্রেমিকই তার শরীরটুকুই ভালোবাসত, মনটাকে কখনো ছুঁতে পারেনি। একটা সময় সে বুঝেছিল—ভালোবাসা নয়, সে ছিল কেবল অভ্যাস।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
তাকে সবাই বলত, “তুই নরম মেয়ে, সবাই তোকে ব্যবহার করে।” একদিন সে শক্ত হল। তখন তার কাছের মানুষগুলো বলল, “তুই তো বদলে গেছিস, আগের মতো নেই।” সে হাসল, কারণ সে বুঝে গিয়েছিল—ভালো থাকলে সবার চোখে খারাপ হওয়া যায়।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
মেয়েটি স্বপ্ন দেখত কবিতা লেখার, বই বের করার। অথচ সংসার তাকে শিখিয়েছে—ভাত না রাঁধলে কবিতাও পড়ে না কেউ। সে লিখে গেছে, চুপিচুপি… একদিন হয়তো কেউ খুঁজে পাবে তার দুঃখের ডায়েরি।
---
খারাপ মেয়েদের নিয়ে স্ট্যাটাস
সে ছিল হাসিখুশি, প্রাণবন্ত একটা মেয়ে। একটার পর একটা প্রতারণা তাকে ভেঙে দিল। এখন সে চুপ থাকে, আড়ালে কাঁদে, মানুষ দেখে ভয় পায়। সবাই ভাবে সে বদলে গেছে, কিন্তু কেউ বোঝে না—সে এখন নিজেকেই আর বিশ্বাস করতে পারে না।