সৌদি প্রবাসীদের | সৌদি প্রবাসী খবর | সৌদি প্রবাসী গল্প

 সৌদি প্রবাসীদের

সৌদি প্রবাসী নারী

রিয়াজ মিয়া একজন দরিদ্র কৃষকের ছেলে। বাড়িতে ছিল বৃদ্ধ মা, দুই বোন আর একটা ছোট্ট স্বপ্ন—ভালো কিছু করার। দালালের মাধ্যমে অনেক ধারদেনা করে সে সৌদি পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে সে দেখে, বাস্তবতা কতটা কঠিন। তীব্র রোদ, টানা ১২ ঘণ্টা কাজ, নোংরা ঘর, না-পাওয়া খাবার—সব মিলে জীবনটা যেন যুদ্ধ। তবুও মায়ের মুখে একমুঠো হাসি দেখার আশায় সে লড়েই চলেছে।

সৌদি প্রবাসী খবর

মদিনায় এক কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করতেন কিশোর। দেশে তার স্ত্রী গর্ভবতী। সন্তান জন্ম নেবে, এই খবরে তার মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সেই দিনেই কাজের সময় মাথার ওপর পড়ে যায় এক বড় লোহা। হাসপাতালেও নেয়া হয়নি ঠিকভাবে। কয়েকদিন পরেই চলে আসে তার মৃত্যুর খবর। বাড়িতে কান্নার রোল—বউয়ের কোল ভরে সন্তান এলো, কিন্তু বাবা ফিরল না।

সৌদি প্রবাসী নিউজ

জসিমকে নিয়ে নিউজ হয় অনলাইনে—এক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে পড়ে যায় তিনতলা থেকে। কোম্পানি কোনো দায়িত্ব নেয় না, হাসপাতালে রেখে দেয় নামমাত্র চিকিৎসায়। দেশে পরিবার কিছুই জানে না, কেবল প্রতীক্ষা করে কখন ছেলেটা ফোন দেবে। কিন্তু সেই অপেক্ষার শেষ হয় এক ভয়াবহ খবর দিয়ে—জসিম আর নেই।

সৌদি প্রবাসীর বউ

রাহেলা প্রতিদিন বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে, কখন ফোন আসবে স্বামীর। মিজান সাত বছর ধরে সৌদিতে। প্রথমে খুব যোগাযোগ ছিল, এখন কমে গেছে। রাহেলার মনে সন্দেহ—সে কি অন্য কিছু করছে? নাকি কষ্টে আছে? একদিন রাতে হঠাৎ ফোন আসে, ওপাশে কান্নাভেজা গলা—“আমি আর পারতেছি না রাহেলা, ফিরে আসতে চাই… কিন্তু টাকা ছাড়া ফেরাও সম্ভব না।” রাহেলার চোখ ঝাপসা হয়ে যায়।

সৌদি প্রবাসী

হাসিবের প্রবাস জীবনের শুরুর দিন ছিল একেবারে নতুন রকম। চোখে স্বপ্ন ছিল, একদিন বাড়ি ফিরে নিজের নামে দোকান খুলবে। কিন্তু রিয়ালে বেতন পেলেও সেটা জীবন চালাতে গিয়ে আর দেশে পাঠানো হয় না। দিনে মাত্র একবেলা খায়, বাকি সময় পানি আর শুকনা রুটি। তবুও পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে সে নিজের ক্ষুধার কথা ভুলে যায়।

সৌদি প্রবাসীর বেতন ২৫০০ রিয়াল

আবদুল করিমের বেতন মাসে ২৫০০ রিয়াল। শুনলে মনে হয়, অনেক টাকা। কিন্তু বাসাভাড়া, খাবার, যাতায়াত, ফোন, এবং দেশে পাঠানো টাকা মিলিয়ে হাতে আর কিছুই থাকে না। অনেকে ভাবে, সে অনেক ধনী হয়ে গেছে, কিন্তু বাস্তবে সে নিজের জন্য একটা প্যান্টও কিনতে পারে না। কষ্ট করে, নিঃশব্দে, শুধু পরিবারের মুখে হাসি রাখতে সে এই জীবন মেনে নিয়েছে।

কষ্টের বাস্তব জীবনের গল্প

সোহেল প্রতি রাতে কাজ শেষে ছাদের কোণায় বসে আকাশের দিকে তাকায়। দেশে তার বাবা মারা গেছে এক মাস হলো, সে তখন কাজ করছিল এক গরম ছাদের ওপর। ছুটি চেয়েছিল, মালিক দেয়নি। এখনো মনের মধ্যে চাপা কান্না, বুকভরা কষ্ট। কেউ বোঝে না প্রবাসীদের এই না-পারার যন্ত্রণা। সবাই ভাবে তারা টাকা পাঠায়, তাই বুঝি সুখে আছে।

Previous Post Next Post