১. নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি
২০১৮ সালে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়। এটি ছিল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত যা নারীর স্বাধীনতায় বড় ভূমিকা রাখে।
২. অভিভাবকত্বের সীমিত শিথিলতা
আগে নারীরা বিদেশ ভ্রমণ বা সরকারি কাজের জন্য পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কিছুই করতে পারতেন না। ২০১৯ থেকে কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।
৩. কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ
আগে নারীদের অনেক পেশায় কাজ করতে দেওয়া হতো না। এখন নারীরা ব্যাংক, রেস্টুরেন্ট, আইন, স্বাস্থ্য ও এমনকি সামরিক বাহিনীতেও কাজ করছেন।
৪. স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ
সৌদি নারীদের শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রীদের হার পুরুষদের তুলনায় বেশি।
৫. নারীদের জন্য আলাদা জিম ও ক্লাব
সৌদি নারীরা এখন আলাদা জিম, ফিটনেস সেন্টার ও খেলাধুলার ক্লাবে অংশ নিচ্ছেন। আগে এগুলো সীমিত ছিল।
৬. পাবলিক জায়গায় আবায়া পরা বাধ্যতামূলক নয়
বর্তমানে সৌদি নারীদের জন্য কালো আবায়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে তারা সাধারণত শালীন পোশাক পরিধান করে থাকেন।
৭. নারীরা ব্যবসা শুরু করতে পারেন
সৌদি সরকার নারীদের নিজস্ব ব্যবসা খোলার অনুমতি দিয়েছে, এমনকি তারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ব্যবসার লাইসেন্স পেতে পারেন।
৮. বৈবাহিক অধিকার ও বিবাহ বিচ্ছেদ
নারীদের এখন কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে স্বতঃসিদ্ধ বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়েছে, যদিও এখনো এটি অনেক সময় কঠিন প্রক্রিয়া।
৯. পুরুষ অভিভাবকত্ব এখনো অনেক ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য
যদিও কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা এসেছে, তবুও অনেক ক্ষেত্রে এখনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হয়।
১০. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনশীল
যদিও আইনি পরিবর্তন এসেছে, অনেক পরিবার এখনো রক্ষণশীল। তবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতার প্রতি আগ্রহ ও সচেতনতা বাড়ছে।