বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য ২০২৫
২০২৫ সালে বাংলাদেশ দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে এগিয়ে চলেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বাণিজ্যিক গতি বেড়েছে। ঢাকা মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, স্মার্ট সিটি প্রকল্প এবং কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। একই সাথে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটিরও বেশি ছাড়িয়েছে, যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে জনগণের আগ্রহের প্রমাণ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র, যা তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং আদান-প্রদানের মাধ্যমে মানবজীবনকে সহজ ও গতিশীল করে তোলে। এটি শুধু ইন্টারনেট নয়, বরং মোবাইল, সফটওয়্যার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিংসহ অসংখ্য প্রযুক্তির সংমিশ্রণ। বর্তমানে স্কুল, ব্যাংক, চিকিৎসা, কৃষি, এমনকি আদালতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
তথ্য কি
তথ্য মানে হলো এমন কোন উপাদান, যেটি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের উপর জ্ঞান বৃদ্ধি করে। এটি হতে পারে শব্দ, সংখ্যা, ছবি বা চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত যেকোনো কিছু, যা মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। যেমন: একজন কৃষকের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রহণ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং আদান-প্রদান করা যায়। এটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল, সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ক্লাউড প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে। আজকের বিশ্বে ব্যবসা, শিক্ষা, প্রশাসন এমনকি গৃহস্থালীর কাজেও ICT অপরিহার্য।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ, যা দেশের গণমাধ্যম নীতি, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, বেতার, অনলাইন সংবাদমাধ্যম, এবং বিজ্ঞাপন বিষয়ক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। ২০২৫ সালে এই মন্ত্রণালয় ডিজিটাল সংবাদ পরিবেশনার মানোন্নয়ন ও ভুয়া খবর প্রতিরোধে AI প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্যোগ নিয়েছে। এ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও উন্নয়ন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা।