হয়েছিলেন গুপ্তচর ও বার্তাবাহক
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নারীরা তাদের সামাজিক অবস্থানকে ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি, পরিকল্পনা ও গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে অনেক আক্রমণের আগে সতর্ক করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই কাজগুলো তারা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছেন।
---
নারীরা হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা—বন্দুক হাতে সম্মুখযোদ্ধা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শুধু পুরুষ নয়, বহু নারীও অস্ত্র হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়েছেন। তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, ফ্রন্টলাইনে গিয়েছেন এবং অনেকেই শহীদ হয়েছেন। যেমন ক্যাপ্টেন তাহমিনা বেগমের মত কিছু সাহসী নারী আজও আমাদের ইতিহাসের গৌরব। তারা প্রমাণ করেছেন, নারীরা শুধু পেছনের সারির যোদ্ধা নয়, তারা সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে পারেন।
---
নারীরা ছিলেন যুদ্ধাহতদের সেবায় নিয়োজিত সেবিকা
যুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা, প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ সরবরাহ ও সেবা দেওয়ার কাজে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অনেকেই নিজের বাসা কিংবা নির্জন স্থানে অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তুলে এই মানবিক কাজ করেছেন। অনেক সময় তারা নিজের জীবন বিপন্ন করেও সেবা দিয়েছেন, কারণ তারা বিশ্বাস করতেন, এটাই তাদের স্বাধীনতার লড়াই।
---
নারীরা গড়ে তুলেছেন সাহস ও আশার বাতিঘর
যুদ্ধে স্বামী, সন্তান বা পরিবারের সদস্য হারিয়েও নারীরা ভেঙে পড়েননি। বরং তাঁরা হয়েছেন অন্যদের অনুপ্রেরণা। মা হিসেবে তাঁরা সন্তানকে যুদ্ধের জন্য বিদায় দিয়েছেন, স্ত্রী হিসেবে স্বামীকে অস্ত্র তুলে নিতে সাহস জুগিয়েছেন। তাঁদের অদম্য মানসিক শক্তি ছিল মুক্তিযুদ্ধের নীরব চালিকা শক্তি।